ঢাকায় কাবিশের কনসার্ট ২৪ জানুয়ারি
Published: 12th, January 2025 GMT
পাকিস্তানের গণ্ডি পেরিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের শ্রোতাদের কাছেও পরিচিতি ‘বাচপান’, ‘তেরে পেয়ার মে’-এর গানের পাকিস্তানি ব্যান্ড কাবিশ। প্রথমবারের মতো ঢাকায় গাইতে আসছে এই ব্যান্ডটি।
কাবিশকে নিয়ে রাজধানীর সেনা প্রাঙ্গণে ১০ ও ১১ জানুয়ারি ‘ঢাকা ড্রিমস: কাবিশ লাইভ ইন কনসার্ট’-এর আয়োজনের কথা ছিল। তবে শেষ মুহূর্তে তারিখ পরিবর্তনের ঘোষণা দিয়েছে আয়োজক প্রতিষ্ঠান ব্লু ব্রিক কমিউনিকেশনস।
প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, দুই দিনব্যাপী এই কনসার্ট একই ভেন্যুতে ২৪ ও ২৫ জানুয়ারি হবে। যদিও পেছানোর কোনো কারণ তারা উল্লেখ করেনি। ব্যতিক্রম সুর ও কাব্যিক কথার গানের জন্য পরিচিত কাবিশ। ‘নিন্দিয়া রে’সহ তাদের জনপ্রিয় গানগুলো দক্ষিণ এশিয়ার সংগীতাঙ্গনকে এক অন্যরকম উচ্চতা দিয়েছে।
‘ঢাকা ড্রিমস: কাবিশ লাইভ ইন কনসার্ট’-এ কাবিশ দুই দিনই পারফরম করবে। এ ছাড়া প্রথম দিনে [২৪ জানুয়ারি] দেশ থেকে গাইবে ব্যান্ড ‘লেভেল ফাইভ’ ও ‘শূন্য’। দ্বিতীয় দিন [২৫ জানুয়ারি] প্রথমে গাইবেন আরমিন মুসা ও তাঁর কয়্যার দল। দুই দিনব্যাপী এই কনসার্টের টিকিট পাওয়া যাচ্ছে ‘টিকিট ভাই’ প্ল্যাটফর্মে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’