দিনাজপুরে সাবেক সংসদ সদস্য শিবলী সাদিকসহ ৭৫ জনের নামে মামলা
Published: 12th, January 2025 GMT
দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় হামলা, ককটেল বিস্ফোরণ ও মারধরের অভিযোগে সাবেক সংসদ সদস্য শিবলী সাদিকসহ উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীসহ ৭৫ জনের নামে থানায় মামলা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে। নবাবগঞ্জ উপজেলার তর্পণঘাট গ্রামের বাসিন্দা ও স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী নজরুল ইসলাম (৪০) বাদী হয়ে ৮ জানুয়ারি নবাবগঞ্জ থানায় এ মামলা করেন।
মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন দিনাজপুর-৬ (নবাবগঞ্জ, বিরামপুর, হাকিমপুর ও ঘোড়াঘাট) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও নবাবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শিবলী সাদিক (৪২); তাঁর চাচা দিনাজপুর জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন (৬৫); নবাবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ মো.
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত বছর দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে মামলার আসামিরা রাষ্ট্রের আইনের বিপক্ষে অবস্থান নেন এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য নবাবগঞ্জ বাজারে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে একটি গোপন সভা করেন। সভায় নবাবগঞ্জ উপজেলায় চলমান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী ছাত্র-জনতা যেন জোরালো আন্দোলন গড়ে তুলতে না পারেন, সে জন্য জনমনে ভীতি সঞ্চারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, গত ৪ আগস্ট বেলা সোয়া ২টার দিকে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা দেশি ধারালো অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমবেত হন। একই সময়ে মামলার বাদীসহ আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় মামলার আসামি শিবলী সাদিক ও দেলোয়ার হোসেনের নির্দেশে আসামি সায়েম সবুজ, মাসুদ রানা, সানোয়ার হোসেন মণ্ডল ও সাদ্দাম হোসেন ককটেল নিয়ে এবং অন্য আসামিরা হাতে ধারালো হাঁসুয়া, লোহার রড, চায়নিজ কুড়াল ও দেশ বিভিন্ন অস্ত্র নিয়ে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা করেন।
এ সময় আসামি সায়েম সবুজ, মাসুদ রানা, সানোয়ার হোসেন মণ্ডল ও সাদ্দাম হোসেন সেখানে বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটান। অন্যরা ধারালো দেশি অস্ত্র দিয়ে বাদীর (নজরুলের) নবাবগঞ্জ বাজারে থাকা চারটি দোকান ভাঙচুর করেন। এতে প্রায় পাঁচ লাখ টাকার মালামাল ক্ষয়ক্ষতি হয়। নজরুল ইসলামসহ ছাত্র-জনতাকে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ি মারধর করা হয়। একপর্যায়ে বিস্ফোরিত ককটেলে নজরুল ইসলাম, মিন্টু সম্রাট, জহুরুল হক ভুট্টুসহ অনেকে গুরুতর আহত হন।
নবাবগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহুবার রহমান প্রথম আলোকে বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় ৮ জানুয়ারি নবাবগঞ্জ থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইন ও অন্যান্য ধারায় একটি মামলা হয়েছে। মামলার আসামিরা পলাতক আছেন। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সামারিক শক্তিতে মিয়ানমারের চেয়ে ২ ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশ
চলতি বছর সামরিক শক্তির দিক থেকে মিয়ানমারের চেয়ে দুই ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। চলতি সপ্তাহে সামরিক শক্তি পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার প্রকাশিত সূচকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংস্থাটি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই র্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের সামরিক বাজেট। সেনাবাহিনীর আকার, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর শক্তিকেও বিবেচনা করা হয়েছে সমীক্ষায়।
গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ারের সূচক অনুযায়ী, বিশ্বে সামরিক শক্তির ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, এরপরে পরে রয়েছে রাশিয়া, চীন, ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়া। পরমাণু শক্তিধর হলেও পাকিস্তানের অবস্থান ১২ নম্বরে। তালিকায় বাংলাদেশ রয়েছে ৩৫তম অবস্থানে। বাংলাদেশের আগে রয়েছে উত্তর কোরিয়া ও আর্জেন্টিনা। আর বাংলাদেশের প্রতিবেশী মিয়ানমার রয়েছে ৩৭তম অবস্থানে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটির বেশি। এর মধ্যে প্রায় ৬ কোটি ৬১ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীতে মোট সেনা সংখ্যা ১ লাখ ৬৩ হাজার। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৭ হাজার ৪০০ সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ২৫ হাজার ১০০ সেনা।
অন্যদিকে, মিয়ানমারের মোট জনসংখ্যা ৫ কোটি ৭৫ লাখ। এর মধ্যে প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। মিয়ানমারের সক্রিয় সৈন্য সংখ্যা ১ লাখ ৫০ হাজার। মিয়ানমারের রিজার্ভ সৈন্য রয়েছে ২০ হাজার। দেশটির বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৫ হাজার সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ১৬ হাজার সেনা।
ঢাকা/শাহেদ