এনআইডি সেবা নিজেদের হাতে রাখতে চায় ইসি
Published: 12th, January 2025 GMT
জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সেবা নিজেদের হাতে রাখতে চায় এ এম এম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই সেবা নিজেদের হাতে রাখার বিষয়ে সরকারের সঙ্গে পত্রালাপ করবে ইসি।
আজ রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ইসির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সভা শেষে নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ সাংবাদিকদের এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।
২০০৭ সালে সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকাররের আমলে ছবিসহ ভোটার তালিকা তৈরির কাজ শুরু করে নির্বাচন কমিশন। তখন এর উপজাত হিসেবে জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সে অনুযায়ী ভোটারদের এনআইডি দিয়ে আসছে নির্বাচন কমিশন। আওয়ামী লীগ সরকার এনআইডি সেবা ইসির কাছ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে হস্তান্তর করার সিদ্ধান্ত নেয়। এ জন্য ২০২৩ সালে আইনে সংশোধনীও আনা হয়। তবে ওই আইন এখন পর্যন্ত কার্যকর হয়নি।
নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো.
এক প্রশ্নের জবাবে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ইসিতে জনবল, প্রশিক্ষণ, সক্ষমতা তৈরি করা হয়েছে। ইসি মনে করে, এই সেবা নিয়ে যাওয়া সংগত হবে না। তথ্যভান্ডারটি ইসির নিজস্ব।
ইসির বৈঠকে বিশেষ এলাকায় ভোটার অন্তর্ভুক্তিতে ভোগান্তি কমাতে উদ্যোগ নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান আবুল ফজল। তিনি বলেন, ২০ জানুয়ারি থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নতুন ভোটার নিবন্ধনের উদ্যোগ শুরু হচ্ছে। তিনি বলেন, মাঠপর্যায় কিছু ‘ফিডব্যাক’ তাঁরা পেয়েছেন। বিশেষ তথ্য ফরম–২ পূরণ করতে গিয়ে সাধারণ নাগরিকেরা ভোগান্তি ও দীর্ঘসূত্রতার মুখে পড়ছেন। এটি সহজ করা নিয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত হয়েছে।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাসহ বরখাস্ত ২
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে টাকা নিয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে ভোটার করার অভিযোগে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও ডেটা এন্ট্রি অপারেটরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি তাদের গ্রেপ্তার করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন জাতীয় পরিচয়ত্রপত্র (এনআইডি) নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এএসএম হুমায়ুন কবীর।
আজ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা জানান তিনি। এ সময় এনআইডি উইংয়ের কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসনানুজ্জামান, তকদিন আহমেদ, জনসংযোগ পরিচালক মো. শরিফুল আলম ও সহকারী পরিচালক আশাদুল হক উপস্থিত ছিলেন।
বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তারা হলেন-উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুজিবুর রহমান ও নির্বাচন অফিসের ডেটা এন্ট্রি অপারেটর জুবায়ের।
ইসি মহাপরিচালক হুমায়ুন কবীর বলেন, শুধু জগন্নাথপুর উপজেলায় স্থানীয়দের বায়োমেট্রিক তথ্য ব্যবহার করে ১০৬ জন প্রবাসী বাংলাদেশিকে অবৈধভাবে ভোটার করার চেষ্টা হয়েছে। জনপ্রতি লাখ টাকার ওপরে অবৈধভাবে লেনদেন হয়েছে। তারা বাংলাদেশি নাগরিক হলেও প্রবাসে থাকেন। তাদের অনেকের ভুয়া বায়োমেট্রিক ও আঙ্গুলের ছাপ নেওয়া হয়েছে। ঢাকা থেকে এনআইডি উইংয়ের একটি তদন্ত দল জগন্নাথপুরে গিয়ে সার্বিক বিষয়ে তদন্ত করে যথাযথ প্রমাণ পেয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এরপরই বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। বাকিদের অজ্ঞাতপরিচয়ে আসামি করা হয়েছে। গ্রেপ্তার করে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্রের অনিয়ম নিয়ে কঠোর অবস্থানে নির্বাচন কমিশন। অনিয়ম করলে কর্মকর্তাকেও ছাড় দেওয়া হবে না। মানুষের ভোগান্তি কমাতে কাজ করছে কমিশন। এনআইডি সংশোধনে আরও সচেষ্ট হয়ে কাজ কার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে মহাপরিচালক বলেন, সারাদেশে ২০ জানুয়ারি থেকে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হচ্ছে। তথ্য সংগ্রহকারীরা বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন। আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে এ কাজ।
এনআইডি ডিজি বলেন, ইতিমধ্যে গত ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত ১৭ লাখ ৭ হাজার ৫৭০ জনের হালনাগাদ তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। এতে প্রমাণিত হয়, আমাদের তথ্য সংগ্রহকারীরা বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন। এ কাজের সবার সহযোগিতা চান তিনি।