সুনামগঞ্জে কিশোরকে কুপিয়ে ধানখেতে ফেলে যায় দুর্বৃত্তরা, হাসপাতালে মৃত্যু
Published: 12th, January 2025 GMT
ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকের চালক এক কিশোরকে কুপিয়ে ও গলা কেটে মুমূর্ষু অবস্থায় ধানখেতে ফেলে যায় দুর্বৃত্তরা। গতকাল শনিবার রাতে জেলার জামালগঞ্জ উপজেলার ফেনারবাক ইউনিয়নের উররাবিল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আজ রোববার সকালে হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
ওই কিশোরের নাম আকরাম হোসেন (১৫)। সে জেলার দিরাই উপজেলার সরমঙ্গল ইউনিয়নে ধনপুর গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে। রফিকুল পরিবার নিয়ে দুই বছর ধরে সুনামগঞ্জ পৌর শহরের মোহাম্মদপুর এলাকায় বসবাস করতেন। বাবা ও ছেলে দুজনই শহরে ইজিবাইক চালাত।
আকরামের চাচাতো ভাই রায়হান মিয়া (২০) বলেন, শনিবার বিকেলে আকরাম ইজিবাইক নিয়ে শহরে বের হয়। রাত একটার দিকে জামালগঞ্জ থানার পুলিশ ফোনে জানায়, আকরামকে কে বা কারা কুপিয়েছে। তার অবস্থা গুরুতর। পরে পুলিশই একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে সুনামগঞ্জ পাঠায়। রাত তিনটার দিকে সুনামগঞ্জ থেকে তাকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। আজ রোববার সকালে সেখানে সে মারা যায়।
রায়হান মিয়া বলেন, ‘আমরা বুঝতে পারছি না সে রাতে এত দূরে কীভাবে গেল। যারা মেরেছে, তারা গাড়ি, টাকাপয়সা নেয়নি। শুধু মোবাইলটা পাওয়া যাচ্ছে না।’
আরেক প্রতিবেশী সুলতান মিয়া (৪৮) বলেন, লাশের মুখ ও বুকে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। গলাকাটা ছিল। এই বাচ্চা ছেলেরে কে বা কারা এমন নৃশংসভাবে হত্যা করল, বুঝতে পারছেন না।
জামালগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শ ম কামাল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, শনিবার রাতে স্থানীয় লোকজন খবর দিলে পুলিশ গিয়ে সড়কের পাশে ধানখেত থেকে আকরাম হোসেনকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। ইজিবাইকটিও ধানখেতে ছিল। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’