চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যদের অবস্থান কর্মসূচি
Published: 12th, January 2025 GMT
চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে রাজধানীর ফুলবাড়িয়া এলাকায় পুলিশ সদর দপ্তরের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যরা। তাঁদের অভিযোগ, প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল থেকে চাকরি ফেরত পাওয়ার রায় পেলেও তাঁদের চাকরিতে পুনর্বহাল করা হচ্ছে না।
আজ রোববার সকালে চাকরিচ্যুত অর্ধশতাধিক পুলিশ সদস্য এ কর্মসূচি পালন করেন।
গরহাজিরার কারণে চাকরি চলে গেছে পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো.
জাকারিয়া বলেন, ‘হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের পুরো প্রক্রিয়াটি শেষ করতে ১৪ বছর সময় লাগবে। এত দিন চাকরি ছাড়া আমরা কীভাবে সংসার চালাব?’ তাই দ্রুত চাকরি ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানান তিনি।
ঝিনাইদহ জেলায় চাকরি করার সময় মাদক উদ্ধারের একটি অভিযানে গিয়ে র্যাবের কয়েকজন সদস্যের সঙ্গে মারামারির ঘটনায় চাকরিচ্যুত করা হয় সোহেল আহমেদ নামের এক কনস্টেবলকে। তিনি বলেন, ওই অভিযানে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাঁদের সঙ্গে ছিলেন। ওই ঘটনায় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কারও চাকরি যায়নি। কনস্টেবল বলে তৎকালীন পুলিশ সুপার তাঁকে চাকরিচ্যুত করেছেন।
সোহেল বলেন, ‘আমরা প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল থেকে চাকরি ফিরে পাওয়ার রায় পেয়েছি, কিন্তু চাকরিতে যোগ দিতে পারছি না।’
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ফরিদপুরে পুলিশের হাত থেকে আটক ব্যক্তি ছিনতাই
ফরিদপুরের সদরপুর থানা পুলিশের হাত থেকে এক আটক ব্যক্তি ছিনতাই হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আটক ওই ব্যক্তিকে ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িতদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
জানা গেছে, বুধবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে আটরশি বিশ্ব জাকের মঞ্জিল মোড় এলাকা থেকে ফারুক হোসেন বাকু নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ। তিনি আটরশি এলাকার সাড়ে সাতরশি গ্রামের মৃত মানিক মল্লিকের ছেলে।
এ বিষয়ে সদরপুর থানা পুলিশের ভাষ্য, আটরশি উরস শরীফকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি আটরশি এলাকায় ফারুক হোসেন বাকু পার্শ্ববর্তী ভাঙ্গা থানার দুর্বৃত্তকারী লোকজন নিয়ে প্রতিনিয়ত মহরা দেয় নিজের শক্তি জানান দেওয়ার জন্য। পরে পুলিশ এলাকার শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে বাকুকে বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসে।
বাকুকে আটকের পর থেকে মুক্ত করতে সদরপুর উপজেলা স্থানীয় বিএনপির’র একটি অংশ থানায় ছুটে আসেন।
এরপর রাত সাড়ে ৮টার দিকে কাকতালীয় ভাবে আটক বাকু অসুস্থতার কথা জানালে স্থানীয় বিএনপির ওই অংশ তাকে হাসপাতালে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করে। ওই সময় থানার এসআই হাদীউজ্জামান ও সঙ্গীয় কনস্টেবল দিয়ে বাকুকে চিকিৎসার জন্য সদরপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মাইদুল হাসান শাওন তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেন।
এসআই হাদীউজ্জামান বলেন, ওই সময় আমি ও একজন কনস্টেবল ছিলাম। বাকুর প্রায় ২০ জন লোক ছিল। হাসপাতাল থেকে বের হলেই বাকুর লোকজন পুলিশের হাত থেকে তাকে ছিনিয়ে একটি প্রাইভেট কারে উঠিয়ে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে সদরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোতালেব হোসেন জানান, পুলিশের নিকট থেকে আটকৃত ফারুক হোসেন বাকুকে যারা ছিনিয়ে নিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে। এবং তাকে আটক করতে থানা পুলিশের অভিযান চলছে।