আইফোনের ত্রুটি দূর করতে আইওএস হালনাগাদ করল অ্যাপল
Published: 12th, January 2025 GMT
গত ডিসেম্বর মাসে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক বেশ কিছু নতুন সুবিধা যুক্ত করে আইওএস ১৮.২ সংস্করণ উন্মুক্ত করে অ্যাপল। সংস্করণটিতে কাস্টম জেনমোজি, ভিজ্যুয়াল ইন্টেলিজেন্স এবং সিরিতে চ্যাটজিপিটি ব্যবহারের সুযোগ মিললেও বেশ কিছু ত্রুটি থাকায় আইফোন ব্যবহারকারীদের অনেকেই নিজেদের অসন্তোষ প্রকাশ করে আসছিলেন। আর তাই এক মাসের মধ্যে ‘আইওএস ১৮.
নতুন সংস্করণটিতে বেশ কিছু নিরাপত্তাত্রুটি সমাধানের কথা বলা হলেও সেগুলো সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করেনি অ্যাপল। তবে আইওএস ১৮.২ সংস্করণে থাকা গ্রুপ চ্যাটের নোটিফিকেশন সমস্যার পাশাপাশি ফটো অ্যাপের অস্বাভাবিক ধূসর অনুভূমিক লাইন এবং অ্যাপল কার প্লের সংযোগ সমস্যার সমাধান করা হয়েছে নতুন সংস্করণে। পাশাপাশি আইফোনের ধীরগতি, অ্যাপ ক্র্যাশ ও কি–বোর্ড ঠিকমতো কাজ না করা সমস্যারও সমাধান করা হয়েছে।
আরও পড়ুননতুন আইফোন কিনে বিপাকে ব্যবহারকারীরা২২ অক্টোবর ২০২৪অ্যাপলের তথ্যমতে, আইফোনে স্বয়ংক্রিয় ডাউনলোড সুবিধা চালু থাকলে আইওএসের হালনাগাদ সংস্করণটি নিজ থেকেই ইনস্টল হয়ে যাবে। তবে ডাউনলোড না হলে, সেটিংস অ্যাপে প্রবেশ করে ‘সফটওয়্যার আপডেট’ বিভাগে যেতে হবে। সেখানে ‘সফটওয়্যাড আপডেট এভেইলেবল’ নামে একটি বার্তা দেখা যাবে। এই বার্তায় ট্যাপ করলে আপডেট ইনস্টল করার অপশন দেখাবে। সেখানে ‘ডাউনলোড এবং ইনস্টল’ নির্বাচন করতে হবে। এরপর পাসকোড প্রবেশ করে ইনস্টলেশনের প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। ইনস্টলেশনের সময় ডিভাইসটি অবশ্যই চার্জে দিয়ে রাখতে হবে। হালনাগাদ ইনস্টলের কোনো বার্তা না দেখালে সেটিংস থেকে ‘জেনারেল’ মেনুতে গিয়ে ‘সফটওয়্যার আপডেট’ অপশনে ক্লিক করতে হবে। পরবর্তী সময়ে হালনাগাদ স্বয়ংক্রিয়ভাবে ইনস্টল করার জন্য ‘অটোমেটিক আপডেটস’ চালু রাখতে হবে।
সূত্র: ডেইলি মেইল
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ইতালির কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে দুইজনকে গুলি করে হত্যা
ইতালির কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে ফরিদপুরের দুই যুবককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এমনকি হত্যার পর পরিবারের সদস্যদের হোয়াটসঅ্যাপে তাদের ছবি পাঠানো হয়।
নিহত দুই যুবক হলেন- ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের কুমারখালী গ্রামের মিন্টু হাওলাদারের ছেলে হৃদয় হাওলাদার (২৪) ও মজিবর হাওলাদারের ছেলে রাসেল হাওলাদার (২৬)।
হৃদয়ের বাবা মিন্টু হাওলাদার বলেন, দু’মাস আগে স্থানীয় আবু তারা মাতুব্বর, আলমাছ ও আনোয়ারের মাধ্যমে ১৬ লাখ টাকা দিয়ে ছেলেকে বিদেশ পাঠাই। ছেলেকে প্রথমে দুবাই সেখান থেকে সৌদি আরব তারপর লিবিয়া নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে হৃদয়কে হত্যা করা হয়েছে।
হৃদয়ের বড় ভাই মোখলেছুর রহমান বলেন, ৪/৫ দিন ধরে হৃদয়ের কোন খোঁজ পাচ্ছিলাম না। দালালরা শুক্রবার দুপুরে আমার ভাইয়ের লাশের ছবি পাঠিয়েছে। ১৬ লাখ টাকা দেওয়ার পরও বিদেশ থেকে ফোন করে আরও টাকা দাবি করছিল পাচারচক্র। টাকা না দেওয়ায় ওরা আমার ভাইকে খুন করেছে।
একই গ্রামের ফয়সাল হোসেন বলেন, রাসেল নামের আরও একজনকেও লিবিয়াতে হত্যা করা হয়েছে। ওরা একই গ্রামের বাসিন্দা। ওই মানবপাচার চক্র এভাবে মানুষকে জিম্মি করে টাকা আদায় করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে। টাকা না দিলেই তাদের সাথে খারাপ কিছু ঘটানো হয়। কখনও নির্যাতন করে আবার কখনও হত্যা করে।
ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার ওসি মো. মোকসেদুর রহমান বলেন, ভাঙ্গার দুটি ছেলেকে লিবিয়ায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে শুনেছি। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় এখনও লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়নি। ওই পরিবারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। তাদের সঙ্গে আলোচনা করে দালালচক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।