Prothomalo:
2025-03-03@14:27:58 GMT

পড়শীর বর কে এই নিলয়

Published: 12th, January 2025 GMT

গত বছর গায়িকা সাবরিনা পড়শী তাঁর বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সারলেও প্রকাশ্যে আনেননি। আজ রোববার দুপুরে প্রথম আলোর মাধ্যমে খবরটি প্রথম প্রকাশ্যে আসে। পড়শীর বর নিলয় পরিবারের সবাইকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন। দুই পরিবারের চাওয়া, আপাতত তাঁরা পড়শী–নিলয়ের বিয়ের খবরটি প্রকাশ্যে আনতে চান না। সামনে সুবিধাজনক সময় দেখে নিলয়ের সঙ্গে পড়শীর বিয়ের খবরটি প্রকাশ্যে আনবেন, এমনটাই চাওয়া। গানে গানে ব্যস্ত সময় পার করা পড়শীর বর কে এই নিলয়?

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এক যুগের বেশি সময় ধরে নিলয় যুক্তরাষ্ট্রে থাকলেও গানের সঙ্গেও তিনি যুক্ত আছেন। যথাবিরতিতে তাঁর গাওয়া গান প্রকাশিত হয়। নিলয়কে গানের মানুষ হিসেবে প্রথম দেখা যায় ২০০৮ সালে। চ্যানেল আইয়ের রিয়েলিটি শো ‘ক্ষুদে গানরাজ’ যাঁরা দেখেছেন, তাঁরা নিলয়ের গান শুনেছেন।

আরও পড়ুনবিয়ে করেছেন পড়শী২ ঘণ্টা আগে

অসংখ্য খুদে শিল্পীর মধ্যে টাঙ্গাইলে জন্ম নেওয়া নিলয় তাঁর গায়কি দিয়ে সবার নজর কাড়েন। সংগীত প্রতিভা দিয়ে জায়গা করে নিয়েছিলেন সেরা দশে! শুধু তা–ই নয় ‘রঙের দুনিয়া তোরে চাই না’, ‘তুমি যদি বলো’, ‘মুনের দুঃখ মনে রইল’ কিংবা ‘সোয়াচান পাখি’র মতো গানগুলো গেয়ে তুমুল জনপ্রিয়তাও পেয়েছিলেন তিনি। সেরা ছয়ে থামে নিলয়ের ক্ষুদে গানরাজের সফর! একই আসরে প্রতিযোগী হিসেবে ছিলেন সাবরিনা পড়শী। ওই আসরে পড়শী চ্যাম্পিয়ান হওয়ার গৌরব অর্জন করেছিলেন।

২০০৮ সালে ক্ষুদে গানরাজ প্রতিযোগিতার সেরা ছয়ে জায়গা করে নিলেও সংগীত ক্যারিয়ার নিয়ে পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। দেশ–বিদেশে বহু স্টেজ শোতে অংশ নেন এই খুদে শিল্পী। ২০১০ সালে মা-বাবার সঙ্গে পাড়ি জমান যুক্তরাষ্ট্রে। বর্তমানে সেখানেই স্থায়ী হন। ব্যস্ত হয়ে পড়েন পড়ালেখায়। দেশ কিংবা নিজের চেনা পরিমণ্ডল ছেড়ে গেলেও সংগীত ছাড়েননি নিলয়। পড়ালেখার পাশাপাশি সংগীত চর্চা করে গেছেন তিনি। স্টেজ শো কিংবা পারফর্ম না করলেও নিজের মতো করে গানের চর্চা চালিয়ে গেছেন। পরিবারের সমর্থনে নিউইয়র্কের সিটি কলেজে লেখাপড়া করেছেন মিউজিক নিয়েই।

দীর্ঘ বিরতির পর ২০২২ সালের দিকে নতুন গান প্রকাশও করেন ক্ষুদে গানরাজের নিলয়! নিউইয়র্ক থেকে নিলয় তখন জানান, ‘ওয়ার্ল্ড মিউজিক’–এর ইউটিউব চ্যানেল থেকে গানটি প্রকাশিত হয়েছে। ‘তোমার জন্য’ শিরোনামের গানটি গাওয়ার পাশাপাশি এর কথা, সুর ও সংগীতায়োজন করেন নিলয়। তখন এ গানটি প্রকাশ্যে আনার উদ্যোগ নেওয়ায় তিনি কৃতজ্ঞতা জানান ইজাজ খান স্বপনের প্রতি।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

‘অবশেষে সফল হলো আমার ৮১তম চেষ্টা’

অভিনন্দন, আজ শুধু তোমাদের শিক্ষাজীবনের বিশেষ দিনটিরই উদ্‌যাপন হচ্ছে না, আজ শুরু হতে যাচ্ছে তোমাদের জীবনের নতুন এক অধ্যায়। চেনা এই প্রাঙ্গণ থেকে বেরিয়ে যে অপার সম্ভাবনার জগতে তুমি পা রাখতে যাচ্ছ, মনে রেখো এটাই হবে তোমার জীবনের সব অধ্যায়ের মধ্য থেকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

এই সফরের শক্তি হবে তোমার বলিষ্ঠ কণ্ঠ। যখন আওয়াজ তুলবে, সেটা যেন এমন এক ভবিষ্যৎ তৈরির জন্য হয়, যেখান সত্য ও সততা তোমাকে পথ দেখাবে। ভয়কে কখনো কণ্ঠরোধের সুযোগ দেবে না। সামনের পথ যত কঠিন আর অনিশ্চিতই হোক না কেন, নিজের প্রত্যয়কে দৃঢ় রেখো। তোমার কণ্ঠই তোমাকে ও অন্যদের অন্ধকার পেরিয়ে আলোর পথ দেখাবে।

একজন চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে আমি সব সময় গল্প বলতে চেয়েছি। প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়ে নারী, পুরুষ, শিশুর গল্প তুলে এনেছি। এই গল্পগুলো তুলে আনতে গিয়ে আমি তাদের জীবনকে কাছ থেকে দেখেছি। পেয়েছি কিছু সহজ-সরল শিক্ষা, আজ সেগুলোই তোমাদের বলব।

নিজের সিদ্ধান্তে অটল থাকো

মাত্র ১৪ বছর বয়সে পত্রিকায় লেখালেখি শুরু করি। ১৭ বছর বয়সে একটি সাহসী সিদ্ধান্ত নিই। ঠিক করি এমন এক বিষয় নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করব, যে বিষয়টা কেউ ঘাঁটতে চায় না। স্পষ্ট মনে আছে, এক ঈদের দিনে আবিষ্কার করলাম বাড়ির আশপাশে স্প্রে পেইন্ট দিয়ে কেউ আমার বিরুদ্ধে গ্রাফিতি এঁকেছে। আমাকে সামাজিকভাবে হেয় করা, আমাকে চুপ করানো আর ভয় দেখানোই ছিল এই গ্রাফিতির উদ্দেশ্য। কারণ, আমি শহরের কিছু প্রভাবশালীর বিপক্ষে আওয়াজ তুলেছিলাম। আমার অনুসন্ধান তাদের স্বার্থের বিরুদ্ধে গিয়েছিল। আমার বাবা, যাঁর প্রভাব আমার জীবনে অসামান্য, আমাকে সেদিন একটি কথাই শুধু বলেছিলেন, ‘তোমার কথাগুলো যদি সত্য হয়, আমি তোমার সঙ্গে আছি।’ এরপর নিজ হাতে সেদিন প্রতিটা দেয়াল পরিষ্কার করেছিলেন। সেদিন সেই মুহূর্তে শিখেছিলাম, পৃথিবী যতই তোমাকে ভয় দেখাক, ন্যায়ের জন্য সাহস করে দাঁড়িয়ে গেলে সেটাই হবে সবচেয়ে শক্ত হাতিয়ার। আজ যখন তুমি ভবিষ্যতের দোরগোড়ায়, মনে রেখো তোমার একেকটা সিদ্ধান্ত, একেকটা সৎ ও সাহসী পদক্ষেপ তোমাকে ভবিষ্যতের জন্য গড়ে তুলবে। এবার তুমি তোমার স্বপ্নকে অনুসরণ করো, অথবা গতানুগতিক ধারাকে প্রশ্নবিদ্ধ করো। যে পথই বেছে নাও না কেন, মাথায় রেখো—তোমার সিদ্ধান্ত শুধু তোমার একার নয়, পুরো বাংলাদেশের ভবিষ্যৎকেও বদলে দিতে পারে।

আরও পড়ুন৮ মাস প্রশিক্ষণ নিয়ে জাপানে চাকরির সুযোগ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫অদম্য আর জেদি স্বপ্নগুলো আগলে রাখো

‘প্যাশন’ হলো সেই চালিকা শক্তি, যা তোমাকে জীবনের চড়াই–উতরাইগুলো পার হতে সাহায্য করবে। আমার জীবনে বরাবরই গল্প বলা আর সত্যকে তুলে ধরার অদম্য আকাঙ্ক্ষা ছিল। অনেক প্রত্যাখ্যানের পরও আমি সম্ভবের সীমানা পেরিয়ে অসম্ভবকে অর্জনের স্বপ্ন দেখতাম।

অর্থনীতি ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করেও ২০০২ সালে সিদ্ধান্ত নিই—তথ্যচিত্র নির্মাতা হব। প্রথম চলচ্চিত্র বানানোর জন্য প্রস্তাবপত্র লিখে বিশ্বের নানা দেশের ৮০টি টেলিভিশন চ্যানেল ও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানকে পাঠাই। এরপর তাদের জবাবের অপেক্ষা করতে থাকি। আসতে থাকে একের পর এক প্রত্যাখ্যান। আমি লড়তে থাকি নিজের সঙ্গে। নিজের অশ্রু, আক্ষেপ আর মানসিক যন্ত্রণার সঙ্গে।

বুঝতে পারছিলাম না, কেন কেউ ২১ বছর বয়সী একজন নবীন নারী নির্মাতা, যে ঠিকমতো ক্যামেরা ধরতে পারে না, যার সিনেমা নিয়ে পড়াশোনা নেই, ডিগ্রি নেই, তাকে কাজ দিতে চাইছে না! স্পষ্টত, মানুষ আমার ধারণার চেয়েও বেশি বাস্তববাদী ছিল তখন, যার জন্য এত এত প্রত্যাখ্যান! কিন্তু আমি হাল ছাড়িনি। লেগেই থাকলাম। এরপর একদিন কোনো কারণ ছাড়াই নিউইয়র্ক টাইমস টেলিভিশনের প্রেসিডেন্ট বরাবর একটা অযাচিত ই–মেইল লিখে বসলাম। সঙ্গে দিলাম আমার প্রস্তাবপত্রটিও। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই এল ফিরতি ই–মেইল। তাতে লেখা ছিল, আমার তথ্যচিত্রের প্রস্তাব সশরীর শোনানোর জন্য আমাকে নিউইয়র্কে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

নিউইয়র্কের ট্রেন ধরলাম, আর একদল অভিজ্ঞ সাংবাদিকের সামনে নিজেকে আবিষ্কার করলাম। খুব জলদিই আমার তথ্যচিত্রের প্রস্তাব পাস হয়ে গেল। আমাকে চলচ্চিত্র নির্মাণের প্রশিক্ষণও দেওয়া হলো। অবশেষে সফল হলো আমার ৮১তম চেষ্টা। সামনে খুব সহজ দুটি পথ ছিল—হাল ছেড়ে দাও, অথবা নিজের স্বপ্নের পেছনে লেগে থাকো। জীবনে এমন মুহূর্ত অনেক আসবে, যেখানে হতাশ হয়ে মনে হবে হাল ছেড়ে দিই। আমি অনুরোধ করব, তোমরা বড় স্বপ্ন দেখো। প্রতিদিন যেন ঘুম ভেঙে সেই স্বপ্নের পেছনে ছোটার তাড়না তোমাদের সাফল্যের দিকে নিয়ে যায়।

আরও পড়ুনব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে ব্লকচেইন একাডেমি০৩ নভেম্বর ২০২৪এই পরিচালকের জন্ম পাকিস্তানে, তবে থিতু হয়েছেন কানাডায়

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘অবশেষে সফল হলো আমার ৮১তম চেষ্টা’
  • গাড়ি দুর্ঘটনায় সংগীতশিল্পী অ্যাঞ্জি স্টোন মারা গেছেন
  • এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের চ্যালেঞ্জ নিয়ে ইরানে যাচ্ছে নারী কাবাডি দল