গত বছর গায়িকা সাবরিনা পড়শী তাঁর বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সারলেও প্রকাশ্যে আনেননি। আজ রোববার দুপুরে প্রথম আলোর মাধ্যমে খবরটি প্রথম প্রকাশ্যে আসে। পড়শীর বর নিলয় পরিবারের সবাইকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন। দুই পরিবারের চাওয়া, আপাতত তাঁরা পড়শী–নিলয়ের বিয়ের খবরটি প্রকাশ্যে আনতে চান না। সামনে সুবিধাজনক সময় দেখে নিলয়ের সঙ্গে পড়শীর বিয়ের খবরটি প্রকাশ্যে আনবেন, এমনটাই চাওয়া। গানে গানে ব্যস্ত সময় পার করা পড়শীর বর কে এই নিলয়?
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এক যুগের বেশি সময় ধরে নিলয় যুক্তরাষ্ট্রে থাকলেও গানের সঙ্গেও তিনি যুক্ত আছেন। যথাবিরতিতে তাঁর গাওয়া গান প্রকাশিত হয়। নিলয়কে গানের মানুষ হিসেবে প্রথম দেখা যায় ২০০৮ সালে। চ্যানেল আইয়ের রিয়েলিটি শো ‘ক্ষুদে গানরাজ’ যাঁরা দেখেছেন, তাঁরা নিলয়ের গান শুনেছেন।
আরও পড়ুনবিয়ে করেছেন পড়শী২ ঘণ্টা আগেঅসংখ্য খুদে শিল্পীর মধ্যে টাঙ্গাইলে জন্ম নেওয়া নিলয় তাঁর গায়কি দিয়ে সবার নজর কাড়েন। সংগীত প্রতিভা দিয়ে জায়গা করে নিয়েছিলেন সেরা দশে! শুধু তা–ই নয় ‘রঙের দুনিয়া তোরে চাই না’, ‘তুমি যদি বলো’, ‘মুনের দুঃখ মনে রইল’ কিংবা ‘সোয়াচান পাখি’র মতো গানগুলো গেয়ে তুমুল জনপ্রিয়তাও পেয়েছিলেন তিনি। সেরা ছয়ে থামে নিলয়ের ক্ষুদে গানরাজের সফর! একই আসরে প্রতিযোগী হিসেবে ছিলেন সাবরিনা পড়শী। ওই আসরে পড়শী চ্যাম্পিয়ান হওয়ার গৌরব অর্জন করেছিলেন।
২০০৮ সালে ক্ষুদে গানরাজ প্রতিযোগিতার সেরা ছয়ে জায়গা করে নিলেও সংগীত ক্যারিয়ার নিয়ে পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। দেশ–বিদেশে বহু স্টেজ শোতে অংশ নেন এই খুদে শিল্পী। ২০১০ সালে মা-বাবার সঙ্গে পাড়ি জমান যুক্তরাষ্ট্রে। বর্তমানে সেখানেই স্থায়ী হন। ব্যস্ত হয়ে পড়েন পড়ালেখায়। দেশ কিংবা নিজের চেনা পরিমণ্ডল ছেড়ে গেলেও সংগীত ছাড়েননি নিলয়। পড়ালেখার পাশাপাশি সংগীত চর্চা করে গেছেন তিনি। স্টেজ শো কিংবা পারফর্ম না করলেও নিজের মতো করে গানের চর্চা চালিয়ে গেছেন। পরিবারের সমর্থনে নিউইয়র্কের সিটি কলেজে লেখাপড়া করেছেন মিউজিক নিয়েই।
দীর্ঘ বিরতির পর ২০২২ সালের দিকে নতুন গান প্রকাশও করেন ক্ষুদে গানরাজের নিলয়! নিউইয়র্ক থেকে নিলয় তখন জানান, ‘ওয়ার্ল্ড মিউজিক’–এর ইউটিউব চ্যানেল থেকে গানটি প্রকাশিত হয়েছে। ‘তোমার জন্য’ শিরোনামের গানটি গাওয়ার পাশাপাশি এর কথা, সুর ও সংগীতায়োজন করেন নিলয়। তখন এ গানটি প্রকাশ্যে আনার উদ্যোগ নেওয়ায় তিনি কৃতজ্ঞতা জানান ইজাজ খান স্বপনের প্রতি।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
পরাজিত শক্তি নিউইয়র্ক টাইমসে মিথ্যা তথ্য দিয়ে রিপোর্ট করিয়েছে: রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, পরাজিত শক্তি নিউইয়র্ক টাইমসে মিথ্যা তথ্য দিয়ে রিপোর্ট করিয়েছে। ফ্যাসিবাদের দোসররা হাজার হাজার কোটি অবৈধ টাকার মালিক। তাদের অবৈধ টাকা ব্যবহার করে বাংলাদেশকে কলঙ্কিত করার চেষ্টা করছে।
বুধবার নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, বাংলাদেশে উগ্রবাদের কোনও উত্থান ঘটেনি। বরং বর্তমানে বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদের কোনও ছোবল নেই, মানুষ নির্বিঘ্নে ধর্মপালন করছে, কথা বলতে পারছে। নির্ভয়ে ঈদ পালন করেছে, ফ্যাসিবাদের দৌরাত্ম ছিল না। বিগত দিনে কেউ স্বস্তিতে ঈদ উদযাপন করতে পারেনি। শেখ হাসিনার আমলে যা সম্ভব ছিল না।
তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী অপতথ্য ছড়াচ্ছে আওয়ামী লীগের দোসররা। শেখ হাসিনা জঙ্গি দমনের নামে যে নাটক করেছেন সেটা তিনি বিশ্ববাসীকে দেখিয়েছেন। এটা ক্ষমতায় টিকে থাকতে তার রাজনৈতিক কৌশল ছিল। একজন সাবেক আইজিপির বইয়েও তা ওঠে এসেছে।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগ বসে নেই। কালো টাকা খরচ করছে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে। আওয়ামী লীগ অবৈধ টাকা অর্জন করে বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। আওয়ামী লীগ অন্তর্ঘাতমূলক কর্মকাণ্ড করছে।
বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, শেখ হাসিনার নির্দেশে যেভাবে মুগ্ধ ফাইয়াজদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছে সে বিষয়ে তার কোনও বক্তব্যে অনুতপ্ততা নেই। অস্থিরতা তৈরি করতে দেশকে ঘোলাটে করার চেষ্টা করছেন বিদেশে পালিয়ে থাকা আওয়ামী লীগের নেতারা। প্রশাসনের চারদিকে আওয়ামী লীগের দোসররা বসে আছে।
তিনি আরও বলেন, কিছু উপদেষ্টা বিএনপির বিরুদ্ধে বিষােদগার করছেন। ষড়যন্ত্রমূলকভাবে বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছেন। একজন উপদেষ্টা ২০০৭ সালেও বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছিলেন। তিনি এবারও তা করছেন। মেহেরপুরে পেঁয়াজের দাম না পেয়ে একজন কৃষক আত্মহত্যা করেছেন। উপদেষ্টারা সেগুলো নিয়ে কথা বলছেন না। তারা সিন্ডিকেট ভেঙে দিলে কৃষক তার পণ্যের ন্যায্য মজুরি পেত।
গত দুদিনে সড়কে ২০-২৫ জন প্রাণ হারিয়েছে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, প্রশাসন শক্তভাবে কাজ করলে এতো লোক সড়কে প্রাণ হারাতো না।
নির্বাচন নিয়ে গড়িমসি সাধারণ মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য নয় উল্লেখ করে রিজভী বলেন, নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখ স্পষ্ট না করলে ধোঁয়াশা তৈরি হবে। ড. ইউনূসকে এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।