গল্পের মতো করে পড়ার চেষ্টা করতাম
Published: 12th, January 2025 GMT
১. প্রথমেই প্রশ্ন বিশ্লেষণ
ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতির প্রথম ধাপ ছিল বিগত বছরের প্রশ্ন বিশ্লেষণ। এতে প্রশ্নের ধরন এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয় চিহ্নিত করা সম্ভব হয়। যেমন, বাংলার ক্ষেত্রে ব্যাকরণ এবং সাহিত্য অংশে কোন বিষয়গুলো বেশি গুরুত্ব পায়, ইংরেজিতে গ্রামার এবং ভোকাবুলারির ওপর কতটা জোর দেওয়া হয়—এসবই স্পষ্ট হয়ে ওঠে। প্রশ্ন বিশ্লেষণ আমাকে পড়ার রূপরেখা তৈরি করতে সাহায্য করেছে। শিখিয়েছে, কীভাবে অপ্রয়োজনীয় বিষয় এড়িয়ে সঠিক বিষয়ে মনোযোগ দিতে হয়।
২.টেক্সট বুকই ভরসা
অনেকেই ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতিতে বাজারের সহায়ক বইয়ের ওপর নির্ভর করে। আমি কিন্তু উচ্চমাধ্যমিকের টেক্সট বুকগুলোর ওপরই ভরসা রেখেছি। বাংলা, ইংরেজি, ইতিহাস, ভূগোল ও আইসিটি বইগুলোতে যা পড়ানো হয়েছে, তার প্রতিটা অধ্যায় বারবার পড়েছি। প্রশ্নের বড় অংশই মূলত এখান থেকে আসে। তাই টেক্সট বুকগুলোকে ভালোভাবে আয়ত্তে আনার পাশাপাশি বিগত বছরের প্রশ্ন সমাধান এবং বিষয়ভিত্তিক পড়া নিশ্চিত করেছি। অনুশীলনের জন্য কেবল সহায়ক বই নিয়েছি।
আরও পড়ুনপরীক্ষায় ক্যালকুলেটর ব্যবহার নিষিদ্ধ, তাই হাতে হিসাব করার চর্চা করতাম৪ ঘণ্টা আগে৩. সময় ভাগ নয়, পড়াকে টার্গেট করেছিপড়ার জন্য সময় ভাগ করে নেওয়া অনেকের জন্য কার্যকর। কিন্তু আমার ক্ষেত্রে তা কাজ করেনি। বরং প্রতিদিনের জন্য নির্দিষ্ট টার্গেট নির্ধারণ করতাম। যেমন, আজ বাংলার দুটি অধ্যায় শেষ করব, ইংরেজির গ্রামারের কিছু অংশ অনুশীলন করব বা সাধারণ জ্ঞানের নির্দিষ্ট একটি অংশ পড়ে শেষ করব। এভাবে পড়ার নির্ধারিত অংশ প্রতিদিন সম্পন্ন করতাম। কত সময় ধরে পড়ছি, এটা না ভেবে পড়ার মানের ওপর বেশি জোর দিয়েছি।
৪. চ্যালেঞ্জিং বিষয় সহজ করার কৌশলআমার কাছে সবচেয়ে কঠিন মনে হতো সাধারণ জ্ঞান। গৎবাঁধা মুখস্থ করার পদ্ধতি তেমন কাজ করত না। তাই গল্পের মতো করে পড়ার চেষ্টা করতাম। যেমন, ইতিহাসের ঘটনাগুলো কল্পনায় সাজিয়ে গল্প হিসেবে পড়তাম। একইভাবে, ভূগোলের বিষয়গুলো মানচিত্রের সঙ্গে মিলিয়ে পড়েছি। বাংলা সাহিত্য অংশে কবি-লেখকদের জীবন এবং রচনাগুলোও গল্পের মতো কল্পনা করে পড়েছি। বারবার রিভিশন দিয়ে মনে রাখার চেষ্টা করতাম।
৫. পরীক্ষার পরিবেশে অনুশীলন ও মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণপরীক্ষার আগে নিজের প্রস্তুতি যাচাই করার জন্য নিয়মিত মডেল টেস্ট দিতাম। এটি পরীক্ষার সময় ব্যবস্থাপনা এবং চাপ সামলাতে সাহায্য করেছে। মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো, হাঁটাহাঁটি এবং ছোট ছোট বিরতি নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। পরীক্ষার হলে কোনো প্রশ্ন আটকে গেলে তা নিয়ে সময় নষ্ট না করে পরবর্তী প্রশ্নে চলে যেতাম। নেগেটিভ মার্কিং এড়াতে নিশ্চিত প্রশ্নগুলোর উত্তর আগে দিয়েছি।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র মো. মাহিনুর রহমানউৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সরকারিভাবে ৩০০ নারী কর্মী নেবে জর্ডান, আসা-যাওয়ার বিমানভাড়াও মিলবে
বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেডের (বোয়েসেল) মাধ্যমে জর্ডানের তাস্কার অ্যাপারেল কোম্পানিতে নারী পোশাককর্মী নিয়োগ দেওয়া হবে। কর্মীদের বিনা মূল্যে থাকা, খাওয়া ও চিকিৎসার সুবিধা দেওয়া হবে। কর্মীদের আসা-যাওয়ার বিমানভাড়াও নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান দেবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, তাস্কার অ্যাপারেল কোম্পানিতে নারী মেশিন অপারেটর পদে ৩০০ জন নারী কর্মী নেওয়া হবে। প্রার্থীদের সংশ্লিষ্ট কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে এবং বয়স ২০ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে হতে হবে। প্লেইন মেশিন ও ওভারলক মেশিন পরিচালনার বাস্তব অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। মাসিক মূল বেতন ২১ হাজার ৩১১ টাকা।
চাকরির শর্তদৈনিক আট ঘণ্টা ডিউটি, সপ্তাহে ছয় দিন। ওভারটাইম রয়েছে। চাকরির চুক্তি তিন বছর, তবে নবায়নযোগ্য। নিয়োগকর্তা থাকা, খাওয়া ও প্রাথমিক চিকিৎসা এবং পরিবহনের খরচ দেবেন। চাকরিতে যোগদানের বিমানভাড়া ও তিন বছর সন্তোষজনকভাবে চাকরি শেষে দেশে ফেরত আসার বিমানভাড়া নিয়োগকর্তা দেবেন। অন্যান্য শর্ত জর্ডানের শ্রম আইন অনুযায়ী প্রযোজ্য হবে। যাঁদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে বা জর্ডানে কোনো মামলা আছে, তাঁরা নিয়োগের অযোগ্য হবেন। একাধিক পাসপোর্ট থাকলে সঙ্গে আনতে হবে। প্রত্যেক কর্মীকে ন্যূনতম দুটি মেশিনের কাজে পারদর্শী হতে হবে। যাঁরা আগে জর্ডান থেকে এসেছেন, তাঁদের আবেদনের প্রয়োজন নেই, শুধু তাস্কার কোম্পানিতে ছিলেন, তাঁরাই পুনরায় আবেদন করে ইন্টারভিউয়ে অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
আরও পড়ুনবিডার সংশোধিত নিয়োগে পদ বেড়ে ১০৮, আবেদন শুরু ৪ মার্চ০৩ মার্চ ২০২৫বোয়েসেলের সার্ভিস চার্জ ও অন্যান্য খরচনির্বাচিত নারী মেশিন অপারেটরদের মেডিকেল ফি বাবদ ১ হাজার টাকা, ফিঙ্গার প্রিন্ট বাবদ ২২০ টাকা এবং বোয়েসেলের সার্ভিস চার্জ বাবদ ২৩ হাজার ৫০০ টাকা সোনালী ব্যাংক, মগবাজার শাখায় “বোয়েসেল, ঢাকা” নামে পে-অর্ডার করে বোয়েসেল অফিসে জমা দিতে হবে। বোয়েসেলের সার্ভিস চার্জ বাবদ ২৩ হাজার ৫০০ টাকা তাস্কার কোম্পানি কর্তৃক জর্ডান যাওয়ার তিন মাস পর কর্মীকে দেওয়া হবে। এই টাকা ছাড়া অন্য কোথাও কোনো প্রকার অতিরিক্ত খরচের প্রয়োজন নেই।
সাক্ষাৎকারের সময় যা আনতে হবেচার কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি, মূল পাসপোর্ট ও মূল পাসপোর্টের ছবিযুক্ত অংশের চার সেট রঙিন ও চার সেট সাদাকালো ফটোকপি, একাধিক পাসপোর্ট থাকলে অবশ্যই সঙ্গে আনতে হবে।
সাক্ষাৎকারের স্থান ও তারিখআগ্রহী প্রার্থীদের ৭ মার্চ সকাল আটটায় সাক্ষাৎকার দিতে মহিলা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, দারুস সালাম রোড, মিরপুর, ঢাকায় উপস্থিত থাকতে হবে। এ-সংক্রান্ত যেকোনো তথ্যের জন্য ০২-৪৮৩১৯১২৫ ও ০২-৪৮৩১৭৫১৫ টেলিফোন নম্বরে ও প্রবাস বন্ধু কলসেন্টার ১৬১৩৫-এ যোগাযোগ করা যেতে পারে। নিয়োগ সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য এই লিংকে জানা যাবে।
আরও পড়ুনস্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে ৬৬ পদে পুনর্নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি৬ ঘণ্টা আগেঅনলাইনে আবেদনপ্রার্থীদের জীবনবৃত্তান্ত সঙ্গে আনার প্রয়োজন নেই। অনলাইনে আবেদন করা যাবে এই লিংকের মাধ্যমে। অনলাইনে আবেদন ইন্টারভিউ প্রদানের নিশ্চয়তা বহন করে, তবে চাকরি প্রাপ্তির নিশ্চয়তা নয়। চাকরির জন্য অবশ্যই আপনাকে ট্রেড টেস্ট/ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। কর্মীদের অনলাইনে আবেদনের ক্ষেত্রে ১০০ টাকা আবেদন ফি দিতে হবে। বোয়েসেলের কোনো এজেন্ট বা সাব এজেন্ট নেই। বোয়েসেল কর্মী নির্বাচনে নিজে সিদ্ধান্ত নেয়।
আরও পড়ুনকারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরে বিশাল নিয়োগ, সংশোধিত পদ ৭৫১০১ মার্চ ২০২৫