পাসপোর্ট ছাড়াই ভারত থেকে আসার সময় সাতক্ষীরার কলারোয়া সীমান্ত থেকে দুই বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। আজ রোববার ভোর পাঁচটার দিকে উপজেলার চান্দুরিয়া গোয়ালপাড়া এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

আজ দুপুরে ৩৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরশাফুল হক স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

গ্রেপ্তার দুজন হলেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলার গোয়ালপাড়া গ্রামের আবদুল বারীর ছেলে আজিজুল ইসলাম (৫০) ও যশোরের শার্শা উপজেলার গোগা গ্রামের মশিউর রহমানের ছেলে আনিসুর রহমান (১৮)।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গোপন সূত্রে বিজিবি খবর পায়, ভারত থেকে কয়েকজন অবৈধভাবে বাংলাদেশে ঢুকছেন। এর ভিত্তিতে কলারোয়া উপজেলার চান্দুরিয়া বিওপির একটি দল কলারোয়ার চান্দুরিয়া গোয়ালপাড়া এলাকায় অভিযান চালায়। ভোর পাঁচটার দিকে সীমান্তের ওপার থেকে আসা দুজনকে আটক করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে ও স্থানীয় তথ্যের ভিত্তিতে তাঁদের নাম-ঠিকানা পাওয়া যায়।

পাসপোর্টবিহীন অবৈধভাবে সীমান্ত পারাপারের অভিযোগে ওই দুজনকে আসামি করে কলারোয়া থানায় মামলা করেছেন চান্দুরিয়া বিওপির হাবিলদার নাসিম উদ্দিন। পরে তাঁদের কলারোয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়।

কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুল আরেফিন বলেন, অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে ভারত ও বাংলাদেশে যাতায়াতের অভিযোগে থানায় একটি মামলা হয়েছে। ওই মামলায় দুই আসামিকে থানায় হস্তান্তর করেছে বিজিবি।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

নওগাঁ মেডিকেল কলেজ বন্ধ হলে চাল-আম সরবরাহ বন্ধের হুঁশিয়ারি

নওগাঁ মেডিকেল কলেজ বন্ধ করা হলে চাল ও আম সরবরাহ বন্ধসহ কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন নওগাঁ মেডিকেল কলেজ রক্ষা আন্দোলন কমিটি। আজ শনিবার দুপুরে নওগাঁ শহরের মুক্তির মোড়ে নওগাঁ মেডিকেল কলেজ বন্ধের অপচেষ্টার প্রতিবাদে ডাকা প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন।

নওগাঁ জেলার সর্বস্তরের জনগণ ও নওগাঁ মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের ব্যানারে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী, বিএনপি, জামায়াত, বাসদ, একুশে পরিষদ নওগাঁসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

এর আগে গতকাল শুক্রবার বিকেলে নওগাঁ মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের আহ্বানে নওগাঁ মেডিকেল কলেজের চলমান ইস্যু নিয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় নওগাঁ মেডিকেল বন্ধের অপচেষ্টা রুখতে বিএমএ নওগাঁর সভাপতি ইস্কেন্দার হোসেনকে আহ্বায়ক করে নওগাঁ মেডিকেল কলেজ রক্ষা আন্দোলন কমিটি গঠিত হয়।

নওগাঁ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ মুক্তার হোসেন বলেন, সম্প্রতি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম থেকে তাঁরা জেনেছেন নতুন যে ছয়টি মেডিকেল কলেজ রয়েছে, সেগুলোর মান যে পর্যায়ে উন্নত হওয়ার কথা ছিল সেই পর্যায়ে নাকি আসেনি। যার কারণে সরকার এসব কলেজের শিক্ষার্থীদের অন্য মেডিকেল কলেজে নিয়ে নেবে। এরপর এই ছয়টি মেডিকেল কলেজ বন্ধ করে দেওয়া হবে। তবে এখনো বন্ধের চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি।

নওগাঁ মেডিকেল কলেজ রক্ষা আন্দোলন কমিটির আহ্বায়ক ইস্কেন্দার হোসেনের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহসমবায়বিষয়ক সম্পাদক, নওগাঁ পৌরসভার সাবেক মেয়র নজমুল হক প্রমুখ।

সমাবেশে ইস্কেন্দার হোসেন বলেন, ‘নওগাঁ মেডিকেল কলেজ কখনোই মানহীন হতে পারে না। আমাদের এখানে শিক্ষার্থী অনুপাতে প্রতি চারজন শিক্ষার্থীর জন্য একজন করে শিক্ষক আছে। আমার মনে হয় না এটি বাংলাদেশের আর কোনো মেডিকেল কলেজে আছে। এখানে যাঁরা শিক্ষক আছেন তাঁরা সবাই উচ্চ দক্ষতাসম্পন্ন। রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে যে ২৬টি মেডিকেল কলেজে পরীক্ষা হয় সেই পরীক্ষায় বরাবরই নওগাঁ মেডিকেল কলেজ প্রথম স্থান কিংবা দ্বিতীয় স্থানে থাকে। ভালো ফলাফল সত্ত্বেও এই মেডিকেল কলেজ বন্ধের সিদ্ধান্ত সরকারের হঠকারিতা। এই কলেজ বন্ধ করা হলে নওগাঁ থেকে চাল, আম সরবরাহ বন্ধ, অনশনসহ কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।’

সমাবেশে বক্তারা বলেন, শুধু ভবন না থাকা একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মান যাচাইয়ের মাপকাঠি হতে পারে না। সরকারি প্রতিষ্ঠান মানহীন হলে এর দায়ভার সরকারের। মান উন্নয়ন না করে উল্টো সরকার যে মানহীন আখ্যা দিয়ে মেডিকেল কলেজ বন্ধ করতে যাচ্ছে, এটি হঠকারী সিদ্ধান্ত ছাড়া কিছুই না। এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে মেডিকেল শিক্ষা ও চিকিৎসা খাতের বিশাল ঘাটতি তৈরি হবে। বিশেষ করে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা সংকুচিত হয়ে পড়বে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ