সাকিব আল হাসান এখন অর্ধেক ক্রিকেটার। সেটা তাঁর নিজের মানদণ্ডেই। ক্রিকেটবিশ্ব এই বাঁহাতিকে চেনে অলরাউন্ডার হিসেবে। কিন্তু অননুমোদিত অ্যাকশনের কারণে সাকিবের এখন বোলিং করার সুযোগ নেই। শুধুই ব্যাটসম্যান। আর শুধু ব্যাটসম্যান হিসেবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দলে সাকিবের জায়গা দেখেননি নির্বাচকেরা।

প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন আজ মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে স্পষ্ট করেই বলেছেন, শুধু ব্যাটসম্যান বলে সাকিবকে দলে রাখা হয়নি। তবে অন্য দুটি প্রশ্নের জবাবে প্রধান নির্বাচক যা বলেছেন, তাতে সাকিবের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দলে না থাকা শুধুই ‘অর্ধেক ক্রিকেটার’ বলে নয়।

সাকিব যে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দলে থাকছেন না, সেটি প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায় গতকাল সাকিবের দ্বিতীয় দফার অ্যাকশন পরীক্ষায় ফেল করার খবরে। আজ দল ঘোষণার সময় সেই প্রসঙ্গ টেনে প্রধান নির্বাচক বলেছেন, ‘বোলিং অ্যাকশন নিয়ে সমস্যায় পরীক্ষায় নেগেটিভ, তাই শুধু ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতে পারবেন। আমরা তাকে দল গঠনে ব্যাটসম্যান হিসেবে বিবেচনা করেছি। কিন্তু কম্বিনেশনে শুধু ব্যাটসম্যান হিসেবে তাকে জায়গা দেওয়া যায়নি।’

সাকিব শুধু ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতে পারবেন.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!

ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন

গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।

এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ