কনস্টেবলকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ, ছাত্র-জনতাকে গুলির ঘটনার ভিডিওর স্থিরচিত্র ট্রাইব্যুনালে দাখিল
Published: 12th, January 2025 GMT
পুলিশের এক কনস্টেবলকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। তাঁর নাম মোহাম্মদ সুজন হোসেন। রাজধানীর চানখাঁরপুলে ছাত্র–জনতার ওপর গুলি করার ঘটনায় তাঁকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিওর স্থিরচিত্র ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা হয়েছে।
আজ রোববার কনস্টেবল মোহাম্মদ সুজন হোসেনকে হাজির করা হলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো.
প্রসিকিউশন পক্ষে শুনানিতে অংশ নিয়ে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর বি এম সুলতান মাহমুদ বলেন, রাজধানীর চানখাঁরপুলে বোরহানউদ্দিন কলেজের পাশে গত ৫ আগস্ট সুজন হোসেনকে কখনো দাঁড়িয়ে বা কখনো শুয়ে ছাত্র-জনতার ওপর গুলি করতে দেখা গেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিওর স্থিরচিত্র ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা হয়েছে। শুনানিতে সুজন হোসেনের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।
বি এম সুলতান মাহমুদ প্রথম আলোকে বলেন, সুজন হোসেনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে এখনো কোনো মামলা নেই। তবে শাহবাগ থানার একটি মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্ত প্রতিবেদনের জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে।
আরও পড়ুনচানখাঁরপুলে শিক্ষার্থীদের অবস্থান লক্ষ্য করে গুলি, পাঁচজন গুলিবিদ্ধ১৬ জুলাই ২০২৪শুনানির সময় ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হুসাইন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সামারিক শক্তিতে মিয়ানমারের চেয়ে ২ ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশ
চলতি বছর সামরিক শক্তির দিক থেকে মিয়ানমারের চেয়ে দুই ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। চলতি সপ্তাহে সামরিক শক্তি পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার প্রকাশিত সূচকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংস্থাটি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই র্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের সামরিক বাজেট। সেনাবাহিনীর আকার, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর শক্তিকেও বিবেচনা করা হয়েছে সমীক্ষায়।
গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ারের সূচক অনুযায়ী, বিশ্বে সামরিক শক্তির ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, এরপরে পরে রয়েছে রাশিয়া, চীন, ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়া। পরমাণু শক্তিধর হলেও পাকিস্তানের অবস্থান ১২ নম্বরে। তালিকায় বাংলাদেশ রয়েছে ৩৫তম অবস্থানে। বাংলাদেশের আগে রয়েছে উত্তর কোরিয়া ও আর্জেন্টিনা। আর বাংলাদেশের প্রতিবেশী মিয়ানমার রয়েছে ৩৭তম অবস্থানে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটির বেশি। এর মধ্যে প্রায় ৬ কোটি ৬১ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীতে মোট সেনা সংখ্যা ১ লাখ ৬৩ হাজার। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৭ হাজার ৪০০ সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ২৫ হাজার ১০০ সেনা।
অন্যদিকে, মিয়ানমারের মোট জনসংখ্যা ৫ কোটি ৭৫ লাখ। এর মধ্যে প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। মিয়ানমারের সক্রিয় সৈন্য সংখ্যা ১ লাখ ৫০ হাজার। মিয়ানমারের রিজার্ভ সৈন্য রয়েছে ২০ হাজার। দেশটির বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৫ হাজার সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ১৬ হাজার সেনা।
ঢাকা/শাহেদ