পড়াগুলো ‘সর্বোচ্চ’, ‘মাঝারি’ ও ‘কম গুরুত্বপূর্ণ’—এভাবে ভাগ করতাম
Published: 12th, January 2025 GMT
১. স্বপ্নপূরণের সংগ্রাম
বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির যাত্রাপথটা সহজ না। প্রতিটি ধাপেই আছে কষ্ট, ত্যাগ ও চ্যালেঞ্জ। কিন্তু এই চ্যালেঞ্জগুলোকে শক্তিতে পরিণত করে নিজেকে প্রস্তুত করেছি। সঠিক পরিকল্পনা ও ধৈর্য্য ধরে এগিয়ে যাওয়ায় সফলতার দরজা খুলে গেছে।
২. প্রশ্নব্যাংক বিশ্লেষণআমার প্রস্তুতির মূল ভিত্তি ছিল প্রশ্নব্যাংক বিশ্লেষণ। বিগত বছরের প্রশ্ন থেকে কোন বিষয়গুলো বেশি গুরুত্ব পেয়েছে, চিহ্নিত করতাম। পড়াগুলো ‘সর্বোচ্চ’, ‘মাঝারি’ ও ‘কম গুরুত্বপূর্ণ’—এভাবে ভাগ করতাম। জানা বিষয় এড়িয়ে দুর্বল অংশে বারবার মনোযোগ দিতাম। এতে করে সময় বাঁচে, কমে পড়ার চাপ। প্রতিদিন ছোট ছোট লক্ষ্য নির্ধারণ করে তা পূরণে মনোযোগ দিতাম।
আরও পড়ুনবুয়েট ক্যাম্পাসে দেখা হচ্ছে তো?০৬ অক্টোবর ২০২৪৩.রিভিশন
আমার সাফল্যের প্রধান চাবিকাঠি ছিল রিভিশন। নতুন কিছু শেখার চেয়ে পুরোনো বিষয়গুলো বারবার রিভিশন দিয়েছি। মডেল টেস্ট সমাধান করে সময় ব্যবস্থাপনা এবং অ্যাকুরেসির মাত্রা উন্নত করেছি। পরীক্ষার পর প্রতিটি ভুল বিশ্লেষণ করে চিহ্নিত করতাম। নিশ্চিত করতাম, পরে যেন ভুল না হয়। ভুলগুলো লাল কালি দিয়ে দাগিয়ে রাখতাম, বারবার পড়তাম।
৪. অফলাইন পরীক্ষা ও অনুশীলনঅফলাইন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ প্রস্তুতিকে দৃঢ় করেছে। এটি পরীক্ষার হলে সময় ব্যবহারের কৌশল এবং মানসিক চাপ সামলানোর দক্ষতা গড়ে তোলে। প্রতিটি পরীক্ষার ভুল বিশ্লেষণ করতাম এবং সেগুলো সংশোধন করতাম। এতে আত্মবিশ্বাস বাড়ত, দূর হতো পরীক্ষাভীতি।
৫. মানসিক চাপযখন হতাশা বা চাপ বোধ করেছি, পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটিয়েছি। তারা আশ্বস্ত করত, সাহস জোগাত। বড় ভাইয়েরা বলতেন, ‘তোমার সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা কোরো, বাকিটা আল্লাহর ইচ্ছা।’ এই সাপোর্ট আমাকে নতুন উদ্যমে সামনে এগোতে সাহায্য করেছে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ছাত্র মো. অপু শাজীউৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ভক্তদের ডাকে ফিরছে ‘অড সিগনেচার’
সিলেটে এক কনসার্টে যাওয়ার পথে গত বছর নরসিংদী সদর উপজেলার পাঁচদোনায় যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় ব্যান্ড অড সিগনেচারের। এতে ব্যান্ডটির গিটারিস্ট ও ভোকাল আহাসান তানভীর পিয়াল ও মাইক্রোবাসের চালক আবদুস সালাম মারা যান। দুর্ঘটনায় আরও তিন ব্যান্ড সদস্য আহত হন। এরপর ব্যান্ডটির সব কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখা হয়।
বেশ কয়েক মাস ধরেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সংগীতবিষয়ক বিভিন্ন পেজ ও গ্রুপে ভক্তরা নিয়মিতই ‘অড সিগনেচার’কে ফেরার আকুতি জানাচ্ছিলেন। কিন্তু মানসিক ট্রমা ও পরিবার থেকে অনুমতি না পাওয়ায় ফেরা হচ্ছিল না সদস্যদের। তবে এবার ভক্তদের জন্যই ফিরছে ব্যান্ডটি। চলতি মাসেই নতুন কিছু নিয়ে হাজির হচ্ছে ‘অড সিগনেচার’।
ব্যান্ডটির কি–বোর্ডিস্ট ও ভোকাল অমিতাভ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা এ মাসেই ফিরছি। কবে ফিরছি, তা এখন বলা যাচ্ছে না। তবে এখন থেকে নিয়মিতই আমাদের পাওয়া যাবে। চলতি মাসের শেষেই সবকিছু জানা যাবে।’
গত পরশু ফেসবুক পোস্টে ‘অড সিগনেচার’–এর ফেরার ঘোষণা আপ্লুত করেছে ভক্তদের। মন্তব্যের ঘরে এক ভক্ত লিখেছেন, ‘উদ্গ্রীব হয়ে অপেক্ষায় আছি, আমার প্রথম আবেগ।’ আরেকজন লিখেছেন, ‘আপনাদের আবারও মঞ্চে দেখার অপেক্ষা ফুরাচ্ছে না।’ প্রয়াত ব্যান্ড সদস্য পিয়ালকে নিয়ে একজন লিখেছেন, ‘পিয়াল ভাইকে অনেক মিস করব।’
২০১৭ সালে যাত্রা করে অড সিগনেচার, বিশেষ করে তরুণ শ্রোতাদের মধ্যে ব্যান্ডটি বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করে। ‘আমার দেহখান’ গান অড সিগনেচারের অনুরাগীদের ছাপিয়ে সাধারণ মানুষের মুখে মুখেও ফেরে। এর বাইরে ‘ঘুম’, ‘প্রস্তাব’, ‘দুঃস্বপ্ন’, ‘মন্দ’ শিরোনামের গানগুলোও শ্রোতাদের মধ্যে সাড়া ফেলে।