নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সামগ্রিক ফোকাস (মনোযোগ) হচ্ছে জাতীয় নির্বাচন। ইসি জাতীয় নির্বাচনের দিকে এগোচ্ছে। জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি থাকলে অপরাপর সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়ে যাবে।

আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথাগুলো বলেন এই নির্বাচন কমিশনার।

আবুল ফজল মো.

সানাউল্লাহ বলেন, শুধু নির্বাচন অনুষ্ঠান নয়, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বাস্তবতা হচ্ছে, একটা সংস্কার কমিশন কাজ করছে। তাদের (সংস্কার কমিশন) প্রস্তাব সামনে আসবে। এটাকে ধারণ করে আইন-বিধিমালায় কোনো সংশোধন দরকার হলে, সেটা করতে একটা সময় লাগবে। দেশের আবহাওয়া একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এমন কোনো ঘটনা (ইভেন্ট) আসা ঠিক হবে না, যেটা জাতীয় নির্বাচনকে ব্যাহত করে।

এই কমিশনার আরও বলেন, এমন অবস্থায় তিনি নিশ্চিত, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, সরকার ও সব পক্ষ এগুলো বিবেচনা করে যে সিদ্ধান্ত নেবে, তাঁরা তা বাস্তবায়ন করবেন। তাতে যদি সরকার মনে করে কিছু নির্বাচন আগে করাবে, তাহলে তাঁদের সেভাবে করতে হবে। তবে তাঁদের অবস্থান হচ্ছে মূলত সব নির্বাচন একসঙ্গে করা সম্ভব নয়। সব স্থানীয় নির্বাচন একসঙ্গে করা সম্ভব নয়।

স্থানীয় নির্বাচন নিয়ে সরকারের তরফ থেকে ইসি কোনো অনুরোধ পায়নি বলে জানান আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। তিনি বলেন, তবে পত্রপত্রিকায় যেহেতু বিষয়টি নিয়ে লেখালেখি ও আলোচনা হচ্ছে, এ কারণে কমিশন নিজ থেকেই এ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেছে।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

শাবিপ্রবির সাংগঠনিক সপ্তাহে নবীনদের উচ্ছ্বাস

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) চলছে সাংগঠনিক সপ্তাহ। সাংস্কৃতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর টেন্টে জমেছে নবীনদের ভিড়। নিজেদের প্রতিভা বিকাশ ও অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ পেয়ে উচ্ছ্বসিত নবীন শিক্ষার্থীরা।

গত ২৪ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এ সাংগঠনিক সপ্তাহের মূল কার্যক্রম শুরু হয় ২৬ জানুয়ারি থেকে। এবারের আয়োজনের বিশেষত্ব হলো, বিশ্ববিদ্যালয়ের হ্যান্ডবল গ্রাউন্ডে ৩৭টি সংগঠন একসঙ্গে অংশগ্রহণ করছে, যেখানে আগে অর্জুন তলায় দুই সপ্তাহে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে এ কার্যক্রম পরিচালিত হতো।

এ আয়োজনকে ঘিরে ক্যাম্পাস জুড়ে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। বিভিন্ন সংগঠনের টেন্ট ঘুরে শিক্ষার্থীরা নিজেদের আগ্রহ অনুযায়ী সদস্য হতে ফর্ম সংগ্রহ করছেন। কেউ সংগীত, কেউবা বিতর্ক বা ফটোগ্রাফি নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী।

বাংলা বিভাগের নবীন শিক্ষার্থী তানভীর বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে বুঝলাম, পড়াশোনার বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে। আমি ফটোগ্রাফি ও বিতর্ক নিয়ে কাজ করতে চাই। তাই এ দুই সংগঠনে সদস্যপদ নিতে ফর্ম নিয়েছি।”

সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সাদিয়া জাহান বলেন, “আমি ছোটবেলা থেকেই সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিলাম। এখানে এসে দেখলাম, অনেক সংগঠন সাংস্কৃতিক চর্চা করে। গানের প্রতি ভালোবাসা থেকেই একটি সংগঠনে সদস্য হয়েছি। পাশাপাশি, একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনেও যোগ দিয়েছি, যাতে মানুষের জন্য কিছু করতে পারি।”

সরেজমিনে দেখা যায়, সংগঠনগুলোর সদস্যরাও ব্যস্ত সময় পার করছে। কেউ নতুনদের ক্যাম্পাস ও সংগঠনের নিয়ম জানাচ্ছে, কেউ সাংগঠনিক কার্যক্রমের বিবরণ দিচ্ছে। বিভিন্ন সংগঠন ব্লাড গ্রুপিং, ফটোগ্রাফি ওয়ার্কশপসহ নানা কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

বিভিন্ন সংগঠনের সদস্যারা জানিয়েছেন, সাংগঠনিক সপ্তাহ শুধু সদস্য সংগ্রহের অনুষ্ঠান নয়, এটি শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা বিকাশেরও বড় সুযোগ। নতুনদের উচ্ছ্বাস ও অংশগ্রহণই প্রমাণ করে, তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগঠনগুলোর অংশ হতে কতটা আগ্রহী।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মো. মোখলেসুর রহমান বলেন, “আগের বছরগুলোর মতো আলাদা ধাপে সাংগঠনিক সপ্তাহ না করে এবার একসঙ্গে আয়োজন করা হয়েছে। যাতে সব সংগঠন সমানভাবে সদস্য সংগ্রহের সুযোগ পায় এবং নবীন শিক্ষার্থীরাও একসঙ্গে সব ক্লাবের সঙ্গে পরিচিত হতে পারে।”

ঢাকা/ইকবাল/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অপমান অপদস্থের কথা বলতে গিয়ে কাঁদলেন সাবিনা-ঋতুপর্ণারা
  • নিশোর দাগীতে কি তৌসিফ আছেন, জানা গেল একসঙ্গে ছবির রহস্য!
  • শাবিপ্রবির সাংগঠনিক সপ্তাহে নবীনদের উচ্ছ্বাস