ঢাকার এলিফ্যান্ট রোডে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১
Published: 12th, January 2025 GMT
রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডের বিপণিবিতান মাল্টিপ্ল্যান সেন্টারের সামনে চাপাতি দিয়ে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ রোববার রাজধানী থেকে আতিক নামের ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে পুলিশ।
নিউমার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহসিন উদ্দিন আতিক নামের ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের কথা জানান।
গত শুক্রবার রাত ১১টার দিকে মাল্টিপ্ল্যান সেন্টারের সামনে ব্যবসায়ী এহতেশামুল হককে ৮ থেকে ১০ দুর্বৃত্ত এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করে। পরে এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোয় ছড়িয়ে পড়ে।
পুলিশ বলছে, এহতেশামুল হক মাল্টিপ্ল্যান দোকান মালিক সমিতির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। বর্তমানে তিনি বেসরকারি একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মাল্টিপ্ল্যান দোকান মালিক সমিতির ব্যবসায়ী নেতাদের অভিযোগ, চাঁদা না দেওয়ায় ‘ইমন গ্রুপের সন্ত্রাসীরা’ এহতেশামুল হককে চাপাতি দিয়ে কোপায়।
ব্যবসায়ী এহতেশামুলকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়ে গতকাল শনিবার দুপুরে মানববন্ধন করেছেন বৃহত্তর এলিফ্যান্ট রোডের ব্যবসায়ীরা। মানববন্ধন থেকে তাঁরা অবিলম্বে হামলায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।
আরও পড়ুন৮–১০ জন মিলে এলোপাতাড়ি কোপ, বাঁচার আকুতি ব্যবসায়ীর১৬ ঘণ্টা আগেএ হামলার ঘটনায় গতকাল রাতে নিউমার্কেট থানায় মামলা করা হয়। এর আগে লিখিত অভিযোগ করেন মাল্টিপ্ল্যান দোকান মালিক সমিতির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওয়াহিদুল হাসান। গতকাল এই ব্যবসায়ী প্রথম আলোকে বলেন, শুক্রবার রাত ১১টার দিকে ব্যবসায়ী এহতেশামুল হক মাল্টিপ্ল্যান কম্পিউটার সিটি থেকে বেরিয়ে সড়কে এলে একদল ব্যক্তি তাঁকে রাস্তায় ফেলে চাপাতি দিয়ে কোপাতে থাকে। এ সময় তিনি গাড়ি নিয়ে মাল্টিপ্ল্যানের গ্রাউন্ড ফ্লোর থেকে রাস্তায় এলে তাঁর (ওয়াহিদুল) ওপরও হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। তাঁর গাড়ির কাচ ভেঙে ফেলা হয়।
ওয়াহিদুল হাসানের অভিযোগ, গত ২২ ডিসেম্বর ইমন গ্রুপের লোকজন এহতেশামুল হক ও তাঁর কাছে চাঁদা দাবি করে। এ ঘটনায় মাল্টিপ্ল্যান দোকান মালিক সমিতির এক সদস্য থানায় সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করেছেন। চাঁদা না দেওয়ায় ব্যবসায়ীদের ওপর হামলা করা হয়েছে বলে তাঁর দাবি।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
এক ঘণ্টা দোকান বন্ধ রেখে ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদ, আরও দুজন গ্রেপ্তার
সিলেটে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ থেকে বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় এক ঘণ্টা নিজেদের দোকান বন্ধ রেখে প্রতিবাদ জানিয়েছেন নগরের হাসান মার্কেটের ব্যবসায়ীরা। একই সঙ্গে ফিলিস্তিনের গাজায় চলা ইসরায়েলের আগ্রাসনের প্রতিবাদ জানানো হয়। আজ বুধবার দুপুর ১২টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত বন্দরবাজার এলাকার মার্কেটটি বন্ধ রেখে ব্যবসায়ীরা মানববন্ধন করেন।
হাসান মার্কেট দোকান মালিক ও ব্যবসায়ী সমিতির উদ্যোগে বিপণিবিতানটির ১ নম্বর গেটের সামনে আজ মানববন্ধন করেন ব্যবসায়ীরা। সমিতির সভাপতি মো. রইছ আলীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মো. আজিজুল করিমের সঞ্চালনায় কর্মসূচিতে নগরের বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যবসায়ী নেতা, ব্যবসায়ীসহ নানা শ্রেণি–পেশার কয়েক শ মানুষ অংশ নেন।
কর্মসূচিতে অন্যদের মধ্যে মহানগর বিএনপির সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী, মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি মোহাম্মদ শাহজাহান আলী, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সহসভাপতি আবদুল মালিক, সহসাধারণ সম্পাদক আবদুল হাদী, দরগাবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি নেহাল উদ্দিন, সিলেট মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক মো. আবদুর রহমান রিপন প্রমুখ বক্তব্য দেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, কিছু দুষ্কৃতকারী কোনো ধরনের কারণ ছাড়াই সিলেট নগরের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাঙচুর চালানোর পাশাপাশি লুটপাট করেছে। এটি খুবই দুঃখজনক। পুলিশকে আরও দ্রুততার সঙ্গে সব দোষী ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। এ ছাড়া ভবিষ্যতে যেন এমন ঘটনা না ঘটে, সে জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আরও তৎপর হতে হবে।
গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে সিলেটে বের করা বিক্ষোভ মিছিল থেকে গত সোমবার বিকেল চারটা থেকে সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত নগরের ১৩টি দোকান–রেস্তোরাঁ, সুপারশপ ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়। কোনো কোনো প্রতিষ্ঠানে লুটপাট করা হয়। এ ঘটনায় নতুন করে আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে মোট গ্রেপ্তারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০।
সিলেট কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউল হক দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে দোষী ব্যক্তিদের শনাক্ত করা হয়েছে। এখন তাঁদের ধরতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।