চমক বলতে কিছুই নেই। সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবাল থাকবেন না, সেটা তো আগেই জানা। সেদিক থেকে চমক বলতে লিটন দাসের না থাকা। অবশ্য পারফরম্যান্স বিবেচনায় নিলেও এটিও চমক বলা যাবে না।

তবে বছরের বছরের পর ধরে যাকে ‘প্রতিভা’র জন্য খেলিয়ে যাওয়া হলো, সেই লিটনই এত বড় টুর্নামেন্টের আগে বাদ। সংবাদ সম্মেলনে তাই লিটনের না থাকা নিয়েই একের পর এক প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়েছে প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেনকে।

লিটনের বাদ পড়া নিয়ে প্রধান নির্বাচক যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন, তাতে এটা স্পষ্ট আস্থা হারিয়েছেন এই ওপেনার। বিশেষ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে ওয়ানডে সিরিজে রান না করতে না পারাটা (২,৪,০)।

প্রতিপক্ষ অ্যানালিস্টের সামনে লিটনের ব্যাটিং রহস্যও ফাঁস হয়ে গেছে বলেও মনে করছেন এই নির্বাচক। তিনি বলেছেন, ‘লিটন আউট অব ফর্ম। আউটের প্যাটার্ন অনেকটা একইরকম। সাদা বলে পাওয়ার প্লেতে যে সুবিধা নেওয়া দরকার, সেটা হচ্ছে না। ক্রিজে টিকে থাকতে পারছে না। এক্সপোজ হয়ে গেছে। বিপক্ষ দলের অ্যানালিস্টরা লিটনের বিপক্ষে অনেক বেশি সফল হয়ে যাচ্ছে। তবু সুযোগ দিয়েছিলাম। কিন্তু আস্থার জায়গাটা এই মুহূর্তে সেই অবস্থানে নেই।’

৩০ বছর বয়সী লিটনের ব্যাটে সর্বশেষ ৭ ইনিংসেই দুই অঙ্কের রান নেই। ২০২৩ বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে ফিফটির পর টানা ১৪ ইনিংসে পঞ্চাশের দেখা নেই। ফর্মের পাশাপাশি লিটনকে না রাখার পেছনে ভালো বিকল্প থাকার কথাও বলেছেন প্রধান নির্বাচক, ‘সৌম্য ও তামিম জুটি হিসেবে ভালো করছে। এই দুজনই সম্ভবত ইনিংস শুরু করবে। তাই প্রথম একাদশে লিটনের জায়গা নেই। তার ক্লাস নিয়ে সন্দেহ নেই। ফর্মে সংকট দেখা দিলে সেখান থেকে বের করতে যদি কাজ করতে পারি তাহলে তাকে ভালোভাবে বের করে আনতে পারব। আমাদের বিশেষজ্ঞরা কাজ করার সুযোগ পাবে এই সময়ে।’

চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাংলাদেশ ভারতের বিপক্ষে খেলবে দুবাইয়ে। যেখানে ২০১৮ এশিয়া কাপে ভারতের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেছিলেন লিটন। তবে নির্বাচকদের কাছে মূল বিবেচ্য হয়েছে বর্তমান ফর্মই, ‘লিটনের অতীত পারফরম্যান্স, ইতিহাস অবশ্যই দেখা হয়। নিকট অতীত বেশি দেখা হয়। উইন্ডিজে আমরা সব ম্যাচেই রান করেছি। দুই ম্যাচে তিন শ পেরিয়েছি। উইকেট খুব ভালো ছিল। সেখানেও (লিটন) ফেল করায় তার ওপর আত্মবিশ্বাস রাখা কঠিন হয়ে যায়। আমরা পিন্ডিতে খেলব। খুব ভালো ব্যাটিং উইকেট। নিউজিল্যান্ড ৩৩৬ করেও হেরে গেছে। টপ অর্ডারই রান করেছে। অর্থাৎ ওপর থেকেই রান আসতে হবে। তাই আউট অব ফর্ম কাউকে নিতে পারছি না। টুর্নামেন্টে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বোলিংও কঠিন চ্যালেঞ্জ থাকবে।’

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

চেরির দুটি গাড়ি ও ইএলএফ লুব্রিকেন্টস বাংলাদেশে

চেরির নতুন এসইউভি গাড়ি ‘টিগো ৮ প্রো’ এবং ‘টিগো ক্রস’ বাংলাদেশের বাজারে ছাড়া হয়েছে। একই সঙ্গে ফরাসি ব্র্যান্ড ইএলএফের লুব্রিকেন্টস বাজারে ছাড়া হয়। বাংলাদেশে ইএলএফ লুব্রিকেন্টসে অফিশিয়াল ডিস্ট্রিবিউটর এশিয়ান পেট্রোলিয়াম লিমিটেড এবং চেরি বাংলাদেশের অফিশিয়াল ডিস্ট্রিবিউটর এশিয়ান মোটরস্পেক্স লিমিটেড, আজ র‍্যাডিসন ব্লু ঢাকা ওয়াটার গার্ডেনে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ ঘোষণা দিয়েছে।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের খেলোয়াড় ও চেরি বাংলাদেশের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর ও ইএলএফ লুব্রিকেন্টসের মুখ্য অপিনিয়ন লিডার তামিম ইকবাল খান উপস্থিত ছিলেন। তামিম ইকবাল বলেন, ‘টিগো ৮ প্রো প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে বেশ উন্নত এবং অত্যন্ত আরামদায়ক, যা আমাকে সত্যিই মুগ্ধ করেছে। পাশাপাশি ইএলএফ লুব্রিকেন্টস বাংলাদেশে আসায় আমি আনন্দিত। কারণ, গাড়ি ও মোটরবাইকের স্বাস্থ্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’

বিশ্বব্যাপী চতুর্থ স্থানে অবস্থানকারী ইএলএফ হাই পারফরম্যান্স প্রযুক্তি, উদ্ভাবন এবং মোটরস্পোর্ট হেরিটেজের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়। ফর্মুলা ওয়ান-এ ১৩৬ বারেরও বেশি জয়লাভ এবং সিএফ মোটরস, অ্যালপাইন রেনল্ট ও রয়্যাল এনফিল্ডের মতো বৈশ্বিক ব্র্যান্ডের সঙ্গে কৌশলগত অংশীদারত্বের পর ইএলএফ এখন বাংলাদেশের মোটরসাইকেল ও প্যাসেঞ্জার গাড়ির জন্য লুব্রিকেন্ট পারফরম্যান্সের এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপনে প্রস্তুত।

ইএলএফ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দেওয়ান সাজেদুর রহমান বলেন, ইএলএফ শুধু একটি পণ্য নয়, বরং একটি ঐতিহ্যের নাম। বাংলাদেশের উষ্ণ আবহাওয়া এবং যানজটে ভরা রাস্তাগুলোর কথা মাথায় রেখে ইএলএফ যানবাহনের দীর্ঘস্থায়ী স্বাস্থ্য ও নির্ভরযোগ্যতা নিশ্চিত করবে। এটি গাড়ি, মোটরবাইক, বাস, ট্রাক কিংবা সিএনজি—সব ধরনের যানবাহনের সুরক্ষায় নতুন মাত্রা যোগ করবে।

অনুষ্ঠানে এশিয়ান হোল্ডিংসের পরিচালক কোসুকে ইয়োশিদা বলেন, ‘এ আয়োজনের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশে চেরির কেবল দুটি নতুন মডেল নয়, জীবনধারার এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করতে যাচ্ছি।’

টিগো ৮ প্রো

চেরির ‘টিগো ৮ প্রো ১.৬টি’ ফ্ল্যাগশিপ মডেলে আছে শক্তিশালী ১৯৫ বিএইচপি টার্বোচার্জড পেট্রল ইঞ্জিন ও প্রিমিয়াম ইন্টেরিওর, যা সবার নজর কেড়েছে। এতে আছে ভেগান চামড়ার আসন, প্যানোরামিক সানরুফ, ৯টি এয়ারব্যাগ, ৩৬০ ডিগ্রি সেফটি সিস্টেম ও জেসচার কন্ট্রোলড টেলগেট, ডুয়েল ১২.৩ ইঞ্চি কার্ভড ডিসপ্লে, ওয়্যারলেস অ্যাপল কারপ্লে ও অ্যান্ড্রয়েড অটো, প্রিমিয়াম সনি সাউন্ড সিস্টেমের মতো উন্নত বিভিন্ন সুবিধা। পার্ল হোয়াইট ও অরোরা গ্রিন রঙে এসইউভি মডেলটি পাওয়া যাবে। এ গাড়িটির দাম ৫৩ লাখ টাকা।

টিগো ক্রস

টিগো ক্রস একটি সুবিধাসমৃদ্ধ এসইউভি। এতে আছে ১৪৫ বিএইচপি ক্ষমতাসম্পন্ন ১.৫ লিটার টার্বোচার্জড ইঞ্জিন, স্টাইলিশ ব্ল্যাক ড্যাশবোর্ড, ডুয়েল-জোন ক্লাইমেট কন্ট্রোল, ১০.২৫ ইঞ্চি টাচস্ক্রিন-এর পাশাপাশি অ্যাডাপটিভ ক্রুজ কন্ট্রোল, ব্লাইন্ড স্পট ডিটেকশন ও ৩৬০ ক্যামেরার মতো উন্নত সেফটি ফিচারস। এ গাড়ির দাম ৩৬ লাখ টাকা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ওয়ালপ্যাড ৯জি: অত্যাধুনিক ফিচারসমৃদ্ধ ওয়ালটনের নতুন অ্যান্ড্রয়েড
  • এআইয়ের চমক নিয়ে বাজারে এল নতুন ফোন
  • বিশ্বকাপে যাওয়ার বিশ্বাস ছিল জ্যোতির
  • বড় টার্গেট দেওয়ার আশা মিরাজদের
  • চেরির দুটি গাড়ি ও ইএলএফ লুব্রিকেন্টস বাংলাদেশে
  • ইতিবাচক মানসিকতায় সর্বদা ফ্রন্ট ফুটে থাকতে চাই: সিমন্স
  • নাসুমকে থাপ্পড় মারেননি হাথুরুসিংহে—দাবি হেরাথ ও পোথাসের
  • আইসিসি ঘোষিত সেরা একাদশে বাংলাদেশের তিন ক্রিকেটার