লিটনকে বাদ দেওয়ার ব্যাখ্যা দিলেন প্রধান নির্বাচক
Published: 12th, January 2025 GMT
চমক বলতে কিছুই নেই। সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবাল থাকবেন না, সেটা তো আগেই জানা। সেদিক থেকে চমক বলতে লিটন দাসের না থাকা। অবশ্য পারফরম্যান্স বিবেচনায় নিলেও এটিও চমক বলা যাবে না।
তবে বছরের বছরের পর ধরে যাকে ‘প্রতিভা’র জন্য খেলিয়ে যাওয়া হলো, সেই লিটনই এত বড় টুর্নামেন্টের আগে বাদ। সংবাদ সম্মেলনে তাই লিটনের না থাকা নিয়েই একের পর এক প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়েছে প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেনকে।
লিটনের বাদ পড়া নিয়ে প্রধান নির্বাচক যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন, তাতে এটা স্পষ্ট আস্থা হারিয়েছেন এই ওপেনার। বিশেষ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে ওয়ানডে সিরিজে রান না করতে না পারাটা (২,৪,০)।
প্রতিপক্ষ অ্যানালিস্টের সামনে লিটনের ব্যাটিং রহস্যও ফাঁস হয়ে গেছে বলেও মনে করছেন এই নির্বাচক। তিনি বলেছেন, ‘লিটন আউট অব ফর্ম। আউটের প্যাটার্ন অনেকটা একইরকম। সাদা বলে পাওয়ার প্লেতে যে সুবিধা নেওয়া দরকার, সেটা হচ্ছে না। ক্রিজে টিকে থাকতে পারছে না। এক্সপোজ হয়ে গেছে। বিপক্ষ দলের অ্যানালিস্টরা লিটনের বিপক্ষে অনেক বেশি সফল হয়ে যাচ্ছে। তবু সুযোগ দিয়েছিলাম। কিন্তু আস্থার জায়গাটা এই মুহূর্তে সেই অবস্থানে নেই।’
৩০ বছর বয়সী লিটনের ব্যাটে সর্বশেষ ৭ ইনিংসেই দুই অঙ্কের রান নেই। ২০২৩ বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে ফিফটির পর টানা ১৪ ইনিংসে পঞ্চাশের দেখা নেই। ফর্মের পাশাপাশি লিটনকে না রাখার পেছনে ভালো বিকল্প থাকার কথাও বলেছেন প্রধান নির্বাচক, ‘সৌম্য ও তামিম জুটি হিসেবে ভালো করছে। এই দুজনই সম্ভবত ইনিংস শুরু করবে। তাই প্রথম একাদশে লিটনের জায়গা নেই। তার ক্লাস নিয়ে সন্দেহ নেই। ফর্মে সংকট দেখা দিলে সেখান থেকে বের করতে যদি কাজ করতে পারি তাহলে তাকে ভালোভাবে বের করে আনতে পারব। আমাদের বিশেষজ্ঞরা কাজ করার সুযোগ পাবে এই সময়ে।’
চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাংলাদেশ ভারতের বিপক্ষে খেলবে দুবাইয়ে। যেখানে ২০১৮ এশিয়া কাপে ভারতের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেছিলেন লিটন। তবে নির্বাচকদের কাছে মূল বিবেচ্য হয়েছে বর্তমান ফর্মই, ‘লিটনের অতীত পারফরম্যান্স, ইতিহাস অবশ্যই দেখা হয়। নিকট অতীত বেশি দেখা হয়। উইন্ডিজে আমরা সব ম্যাচেই রান করেছি। দুই ম্যাচে তিন শ পেরিয়েছি। উইকেট খুব ভালো ছিল। সেখানেও (লিটন) ফেল করায় তার ওপর আত্মবিশ্বাস রাখা কঠিন হয়ে যায়। আমরা পিন্ডিতে খেলব। খুব ভালো ব্যাটিং উইকেট। নিউজিল্যান্ড ৩৩৬ করেও হেরে গেছে। টপ অর্ডারই রান করেছে। অর্থাৎ ওপর থেকেই রান আসতে হবে। তাই আউট অব ফর্ম কাউকে নিতে পারছি না। টুর্নামেন্টে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বোলিংও কঠিন চ্যালেঞ্জ থাকবে।’
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মুশফিক–মাহমুদউল্লাহ কি আরও খেলবেন—জানতে চাইবে বিসিবি
এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিই হবে মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের জন্য শেষ—এমন একটা সম্ভাবনা মোটামুটি প্রতিষ্ঠিতই হয়ে গিয়েছিল। তবে টুর্নামেন্ট শেষ হয়ে গেলেও অবসর নিয়ে নিজেদের কোনো ভাবনার কথা জানাননি সাবেক দুই অধিনায়ক। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে দলীয় পারফরম্যান্সের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তাঁদের ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সও ছিল বেশ খারাপ।
আরও পড়ুনবদলে গেল শেখ হাসিনা স্টেডিয়ামের নাম১ ঘণ্টা আগেচ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে দুই ম্যাচে মুশফিক শূন্য ও ২ রানে আউট হয়েছেন। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে একমাত্র ম্যাচে মাহমুদউল্লাহ ফিরেছেন ৪ রান করে। তাঁদের অবসর নিয়ে কথাবার্তা তাই আরও বেশি হচ্ছে।
এ নিয়ে কোনো আলাপ হয়েছে কি না, জানতে চাওয়া হয় আজ বোর্ড সভার পর। জবাবে ক্রিকেট অপারেশনস চেয়ারম্যান নাজমূল আবেদীন বলেছেন, ‘অবশ্যই। ওরা অত্যন্ত অভিজ্ঞ খেলোয়াড়। যেকোনো খেলোয়াড়েরই একটা সময় আসবেই তার ক্যারিয়ার শেষ করার। আমার মনে হয়, ওদের সঙ্গে কথা বলব—ওদের চিন্তা কী আছে, সেটা নিয়ে আলাপ হবে।’
বিসিবি ক্রিকেট অপারেশনস চেয়ারম্যান নাজমূল আবেদীন