মহাকাশ বিশাল এক রহস্যের আধার। আর তাই শক্তিশালী টেলিস্কোপে চোখ রেখে সেই রহস্য উন্মোচনের জন্য প্রতিনিয়ত চেষ্টা করে যাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। এরই ধারাবাহিকতায় ড্রাগন আর্ক গ্যালাক্সি বা ছায়াপথে লুকিয়ে থাকা ৪৪টি নতুন তারার খোঁজ পেয়েছেন যুক্তরাজ্যের ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল বিজ্ঞানী। জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের তথ্য বিশ্লেষণ করে নতুন তারাগুলো শনাক্ত করা হয়েছে।

ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, পৃথিবী থেকে প্রায় ৬৫০ কোটি আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত ড্রাগন আর্ক ছায়াপথে নতুন ৪৪টি তারার সন্ধান পাওয়া গেছে। এসব তারা ছায়াপথের একটি অংশে লুকিয়ে ছিল বলা যায়। ড্রাগন আর্ক অ্যাবেল ৩৭০ নামের ছায়াপথের পেছনে থাকায় এখনো অজানাই রয়ে গেছে।

আরও পড়ুনছায়াপথে রহস্যময় বস্তুর সন্ধান, চিন্তায় বিজ্ঞানীরা২০ জুন ২০২৪

নতুন তারাগুলো ‘মহাকর্ষীয় লেন্সিং’ নামে পরিচিত এক বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির মাধ্যমে শনাক্ত করা হয়েছে। এর আগে মহাকর্ষীয় লেন্সিং পদ্ধতি কাজে লাগিয়ে ড্রাগন আর্ক গ্যালাক্সিরও খোঁজ পেয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা। নতুন আবিষ্কারের বিষয়ে বিজ্ঞানী ম্যাথিল্ড জাউজাক জানিয়েছেন, ড্রাগন আর্কে শনাক্ত হওয়া তারাগুলোকে লাল সুপারজায়েন্ট তারা বলা হয়। এ ধরনের তারা পর্যবেক্ষণ করা খুব কঠিন। তারাগুলো মহাবিশ্বের তথ্য জানতে সহায়তা করবে।

সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

আরও পড়ুনবামন গ্রহের পর এবার বামন ছায়াপথের খোঁজ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

এই কঠিন সময়ে ঐক্য ধরে রাখা প্রয়োজন: ঢাবি উপাচার্য

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে জাতির ঐক্য রক্ষার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান।

উপাচার্য বলেন, ‘আমরা একটি কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করছি। এক অর্থে জাতির জন্য এটি একটি ক্রান্তিকাল। এই সময়ে আমাদের ঐক্য ধরে রাখা একান্তই প্রয়োজন।’

আজ রোববার সকালে রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের কাছে নিয়াজ আহমেদ খান এ কথা বলেন।

ঢাবি উপাচার্য বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস জাতির জন্য পরম শ্রদ্ধা, কৃতজ্ঞতা ও মমতার দিন। এক গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, চিন্তাবিদ ও বুদ্ধিজীবীরা নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন। তাঁদের সেই চূড়ান্ত আত্মত্যাগ ইতিহাসে চিরভাস্বর হয়ে আছে।

নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, যুগে যুগে ও প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ এ জাতিকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ঐক্যবদ্ধ করেছে এবং সাহস জুগিয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় জাতি ১৯৯০ ও ২০২৪ সালের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হয়েছে।

উপাচার্য আরও বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ আজও জাতির ঐক্য ধরে রাখার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোকবর্তিকা। একই সঙ্গে ১৯৫২, ১৯৬৮, ১৯৬৯, মহান মুক্তিযুদ্ধসহ প্রতিটি আন্দোলন–সংগ্রামে যাঁরা রক্ত ও জীবন দিয়ে দেশের স্বাধীনতা ও মর্যাদা রক্ষা করেছেন, তাঁদের সবার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা।

নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, ১৯৫২ থেকে ২০২৪—এর প্রতিটি দিন ও ঘটনাপ্রবাহ জাতির মৌলিক পরিচয়ের মাইলফলক। এর কোনো অংশ বাদ দেওয়ার সুযোগ নেই। এ ইতিহাসই যুগে যুগে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ রেখেছে, আর বর্তমান সময়ে সেই ঐক্য ধরে রাখাই সবচেয়ে বড় প্রয়োজন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ