যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিমাঞ্চলের অঙ্গরাজ্য ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলেস দাবানলের বিপজ্জনক ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন। এ কারণে শহরবাসীকে ঘরের ভেতর থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যবিষয়ক কর্মকর্তারা এমন সতর্কবার্তা দিয়েছেন।

কয়েক দিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর লস অ্যাঞ্জেলেস দাবানলে পুড়ছে। এই দাবানল শহরটির বাতাসে বিষাক্ত মেঘ ছড়িয়ে দিচ্ছে। এর ফলে বিস্তৃর্ণ অঞ্চল শ্বাসরোধী ধোঁয়ায় ঢেকে যাচ্ছে।

আরও পড়ুনমনে হলো এক টন ইট এসে পড়েছে, বললেন লস অ্যাঞ্জেলেসের দাবানলে বাবাকে হারানো মেয়ে১১ জানুয়ারি ২০২৫

লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টির জনস্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা অনীশ মহাজন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমরা সবাই দাবানলের ধোঁয়ার ক্ষতি বুঝতে পারছি। এতে অতি ক্ষুদ্র কণা, গ্যাস ও জলীয় বাষ্প মিশে আছে।’

অনীশ আরও বলেন, ‘এই ছোট ছোট কণা আমাদের নাক ও গলায় ঢুকে যায়। এতে গলা ও মাথাব্যথা হয়। তাই যেসব এলাকায় দৃশ্যমান ধোঁয়া বা ধোঁয়ার গন্ধ রয়েছে, এমনকি যেখানে আপনি তা দেখতে পান না, সেখানেও বাতাসের মান খারাপ। তাই যতটা সম্ভব বাইরে যাওয়া কমিয়ে আনা উচিত।’

এ পরিস্থিতিতে সুস্থ ব্যক্তিদেরও যতটা সম্ভব ঘরের ভেতরে থাকা উচিত। কোনো না কোনো বায়ু পরিশোধনব্যবস্থা ব্যবহার করা উচিত বলে জানালেন অনীশ মহাজন।

আরও পড়ুনযুক্তরাষ্ট্রে পশ্চিমে দাবানল, দক্ষিণে তুষার১২ ঘণ্টা আগে

ঘরের বাইরে কাজে গেলে এন–৯৫ মাস্ক পরার পরামর্শ অনীশ মহাজনের। সেই সঙ্গে তরুণ, প্রবীণ ও অসুস্থ মানুষদের এ সময়টায় বিশেষভাবে সতর্ক থাকা উচিত বলেও তাঁর মত।

লস অ্যাঞ্জেলেসে আগুনের সূত্রপাত হয় গত মঙ্গলবার। এরপর কয়েকটি জায়গায় দাবানল ছড়িয়ে পড়ে। শত চেষ্টার পরও নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না আগুন। পুড়ে ছারখার হচ্ছে এলাকার পর এলাকা।

দাবানলে এখন পর্যন্ত দেড় শ বিলিয়ন ডলার মূল্যের সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এই সংকটময় পরিস্থিতির মধ্যে লুটপাট চালাচ্ছে দুর্বৃত্তরা। লুটপাট ঠেকাতে একটি এলাকায় কারফিউ জারি করা হয়েছে।

শুধু তা–ই নয়, দাবানলের ধোঁয়ার কারণে গত শুক্রবার লস অ্যাঞ্জেলেসে জনস্বাস্থ্যগত জরুরি অবস্থা জারি করেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। সেই সঙ্গে বিপজ্জনক ছাই তুলতে পারে এমন যন্ত্রের ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে।

আরও পড়ুনলস অ্যাঞ্জেলেসে দিক পরিবর্তন করেছে দাবানল, নতুন হুমকি১৪ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সামারিক শক্তিতে মিয়ানমারের চেয়ে ২ ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশ

চলতি বছর সামরিক শক্তির দিক থেকে মিয়ানমারের চেয়ে দুই ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। চলতি সপ্তাহে সামরিক শক্তি পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার প্রকাশিত সূচকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংস্থাটি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই র‌্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের সামরিক বাজেট। সেনাবাহিনীর আকার, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর শক্তিকেও বিবেচনা করা হয়েছে সমীক্ষায়।

গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ারের সূচক অনুযায়ী, বিশ্বে সামরিক শক্তির ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, এরপরে পরে রয়েছে রাশিয়া, চীন, ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়া। পরমাণু শক্তিধর হলেও পাকিস্তানের অবস্থান ১২ নম্বরে। তালিকায় বাংলাদেশ রয়েছে ৩৫তম অবস্থানে। বাংলাদেশের আগে রয়েছে উত্তর কোরিয়া ও আর্জেন্টিনা। আর বাংলাদেশের প্রতিবেশী মিয়ানমার রয়েছে ৩৭তম অবস্থানে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটির বেশি। এর মধ্যে প্রায় ৬ কোটি ৬১ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীতে মোট সেনা সংখ্যা ১ লাখ ৬৩ হাজার। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৭ হাজার ৪০০ সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ২৫ হাজার ১০০ সেনা। 

অন্যদিকে, মিয়ানমারের মোট জনসংখ্যা ৫ কোটি ৭৫ লাখ। এর মধ্যে প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। মিয়ানমারের সক্রিয় সৈন্য সংখ্যা ১ লাখ ৫০ হাজার। মিয়ানমারের রিজার্ভ সৈন্য রয়েছে ২০ হাজার। দেশটির বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৫ হাজার সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ১৬ হাজার সেনা। 

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ