পরীক্ষায় ক্যালকুলেটর ব্যবহার নিষিদ্ধ, তাই হাতে হিসাব করার চর্চা করতাম
Published: 12th, January 2025 GMT
১. প্রথমেই সাজাতে হবে পরিকল্পনা
ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে দরকার সঠিক পরিকল্পনা। শুরু থেকেই আমি লক্ষ্য নির্ধারণ করে পড়াশোনা করেছি। প্রকৌশলে পড়ার ইচ্ছা থাকায় পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন ও উচ্চতর গণিতে বেশি মনোযোগ দিয়েছি। প্রতিদিন পড়ার একটি তালিকা করতাম। চেষ্টা করতাম, সময়মতো সব শেষ করার। বিগত বছরের প্রশ্নগুলো নিয়মিত অনুশীলন করেছি। প্রশ্নের ধরন বুঝতে এবং প্রস্তুতি মূল্যায়নে এগুলো বেশ সহায়ক ছিল। এ ছাড়া দ্রুত ও সঠিক উত্তর দেওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে সময় ধরে অনুশীলন করতাম।
২.বিষয়ের গুরুত্ব বুঝে জোর দিতে হবে
আমার প্রস্তুতির একটি বড় অংশ ছিল গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ওপর জোর দেওয়া। পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন ও উচ্চতর গণিতের পাশাপাশি জীববিজ্ঞান ও ইংরেজি বিষয়েও গুরুত্ব দিয়ে পড়াশোনা করেছি। কারণ, ঢাবি ক ইউনিটে সব বিষয় থেকেই প্রশ্ন আসে। পদার্থবিজ্ঞানে কনসেপ্ট পরিষ্কার করতে বেশি সময় দিয়েছি। রসায়নের বিক্রিয়াগুলো মুখস্থ করতাম। প্রতিদিন গণিত অনুশীলন করেছি। ইংরেজির জন্য ব্যাকরণ ও ভোকাবুলারি শেখার চেষ্টা করেছি।
আরও পড়ুনবুয়েট ক্যাম্পাসে দেখা হচ্ছে তো?০৬ অক্টোবর ২০২৪৩. সময় ব্যবস্থাপনাপ্রতিদিন সঠিকভাবে সময় কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছি। নির্দিষ্ট বিষয়ের ওপর বেশি সময় দিয়েছিলাম। যেসব বিষয়ে দুর্বল ছিলাম, সেগুলো বারবার পড়েছি। পরীক্ষায় ক্যালকুলেটর ব্যবহার নিষিদ্ধ হওয়ায় হাতে হিসাব করার চর্চা করতাম। রুটিনমাফিক পড়া সব সময় সম্ভব নাও হতে পারে। তবে দৈনিক লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে কাজ করতে হবে।
৪. সহায়ক রিসোর্স ও অনলাইন প্ল্যাটফর্মপ্রধানত ইসহাক স্যারের পদার্থবিজ্ঞান, রবিউল স্যারের রসায়ন এবং রূপন্তী প্রকাশনীর উচ্চতর গণিত বই ব্যবহার করতাম। মডেল টেস্ট বইগুলো নিয়মিত সমাধান করা কাজে দেয়। এ ছাড়া অনলাইনে মক টেস্ট দিয়ে টাইম ম্যানেজমেন্ট ও সঠিক উত্তর দেওয়ার দক্ষতা বাড়িয়েছি।
৫. মানসিক চাপ মোকাবিলা ও অনুপ্রেরণাভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতির সময় মানসিক চাপ বোধ করাটা স্বাভাবিক। চাপ কাটানোর জন্য পর্যাপ্ত ঘুম, গান শোনা এবং গল্পের বই পড়া কাজে দেয়। পরিবার ও বন্ধুরা সব সময় পাশে থেকে প্রেরণা যুগিয়েছেন। তাঁদের সমর্থন আমাকে আত্মবিশ্বাসী করেছে। কঠিন সময়ে ইবাদত করে আল্লাহর সাহায্য চাইতাম। এটা মানসিক শান্তি দিত।
আরিবা হাসান, কম্পিউটারবিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’