Prothomalo:
2025-04-05@11:00:20 GMT

ইয়াজুজ–মাজুজের কাহিনি

Published: 12th, January 2025 GMT

মদিনার ইহুদিরা মক্কার কুরাইশদের নবীজি (সা.)-এর কাছে কিছু প্রশ্ন করার পরামর্শ দিয়েছিল। প্রশ্নগুলো ছিল আসহাবে কাহাফের পরিচয় ও ঘটনা, রুহের প্রকৃতি ও জুলকারনাইনের ঘটনা। সুরা কাহাফে এ ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে।

ইয়াজুজ-মাজুজ অর্থ দ্রুতগামী। ইয়াজুজ-মাজুজ পৃথিবীতে বের হয়ে অতি দ্রুত সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়বে। কারও কারও মতে, আরবি ‘মওজ’ শব্দ থেকে ‘ইয়াজুজ-মাজুজ’ শব্দের উৎপত্তি। এর অর্থ ‘তরঙ্গ’ বা ‘ঢেউ’। তাদের মতে, ইয়াজুজ-মাজুজ পৃথিবীতে বের হবে অজস্র সংখ্যায়, এরপর ঢেউয়ের মতো ছুটতে ছুটতে সারা পৃথিবীতে বিস্তার লাভ করবে। এ জন্যই তাদের এই নামকরণ।

ইয়াজুজ-মাজুজ সম্প্রদায় আদম (আ.

)-এর বংশধর। শাসক জুলকারনাইন ইয়াজুজ-মাজুজদের প্রাচীর দিয়ে আটকে রেখেছেন (সুরা কাহাফ, আয়াত ৯২-৯৭)।

কিয়ামতের আগে হজরত ঈসা (আ.)-এর পৃথিবীতে পুনরাগমনের সময় তারা ওই প্রাচীর ভেঙে বেরিয়ে আসবে এবং সামনে যা পাবে, সব ভক্ষণ করবে।

আরও পড়ুনমেহমান হয়ে কতদিন থাকব২৫ নভেম্বর ২০২৩

কোরআনে আছে, ‘সে (জুলকারনাইন) বলল, আমার প্রতিপালক আমাকে যে ক্ষমতা দিয়েছেন, তা-ই যথেষ্ট। সুতরাং তোমরা আমাকে শ্রম দিয়ে সাহায্য করো, আমি তোমাদের ও তাদের মাঝখানে এক মজবুত প্রাচীর গড়ে দেব। তোমরা আমার কাছে লোহার তাল নিয়ে আসো। তারপর মধ্যবর্তী ফাঁকা জায়গা পূর্ণ হয়ে যখন লোহার ঢিবি দুটি পাহাড়ের সমান হলো, তখন জুলকারনাইন বলল, তোমরা হাপরে দম দিতে থাকো। যখন তা আগুনের মতো গরম হলো, তখন সে বলল, তোমরা গলানো তামা নিয়ে আসো, আমি তা ওর ওপর ঢেলে দেব। এরপর ইয়াজুজ-মাজুজ তা পার হতে পারল না বা ভেদ করতেও পারল না। জুলকারনাইন বলল, এ আমার প্রতিপালকের অনুগ্রহ। যখন আমার প্রতিপালকের প্রতিশ্রুতি পূর্ণ হবে, তখন তিনি তাদের চূর্ণবিচূর্ণ করে দেবেন, আর আমার প্রতিপালকের প্রতিশ্রুতি সত্য। সেদিন আমি (আল্লাহ) তাদের দলে দলে তরঙ্গের আকারে ছেড়ে দেব, আর শিঙায় ফুঁ দেওয়া হবে। তারপর আমি তাদের সবাইকে একত্র করব।’ (সুরা কাহাফ, আয়াত: ৯৩-৯৯)

আরও পড়ুনফজরের নামাজ পড়লে ১০ পুরস্কার পাওয়া যায়২২ নভেম্বর ২০২৩

ইয়াজুজ-মাজুজ নদীর পানি খেয়ে শেষ করে ফেলবে। তাদের সঙ্গে কেউ লড়াই করে পারবে না। একসময় তারা বায়তুল মুকাদ্দাসের এক পাহাড়ে গিয়ে বলবে, দুনিয়ায় যারা ছিল, তাদের হত্যা করেছি। এখন আকাশে যারা আছে, তাদের হত্যা করব।

তারা আকাশের দিকে তির নিক্ষেপ করবে। এ সময় ঈসা (আ.) তাদের জন্য দোয়া করবেন। এতে ইয়াজুজ-মাজুজের কাঁধের দিক থেকে একপ্রকার পোকা সৃষ্টি করে আল্লাহ তাদের ধ্বংস করবেন। পৃথিবীজুড়ে তাদের লাশ পড়ে থাকবে। আল্লাহ নখযুক্ত পাখি পাঠিয়ে লাশগুলোকে সরিয়ে নেবেন। (বুখারি ও মুসলিম)

কোরআনে ইয়াজুজ-মাজুজের বিস্তারিত পরিচয় দেওয়া হয়নি। বাইবেলের আদি পুস্তকে (১০ম অধ্যায়ে) তাদের হজরত নুহ (আ.)-এর বংশধর বলা হয়েছে। তাদের মধ্যে কেউ অস্বাভাবিক বেঁটে, কেউ আবার অস্বাভাবিক লম্বা।

আরও পড়ুনদোয়া কুনুত: বাংলা উচ্চারণ, অর্থ, ফজিলত ও পড়ার নিয়ম০১ জানুয়ারি ২০২৪

আল্লাহ বলেন, ‘চলতে চলতে সে যখন পাহাড়ের প্রাচীরের মাঝখানে পৌঁছাল, তখন সেখানে এক সম্প্রদায়কে পেল, যারা তার কথা একেবারেই বুঝতে পারছিল না। তারা বলল, হে জুলকারনাইন, ইয়াজুজ ও মাজুজ দেশে অশান্তি সৃষ্টি করেছে। আপনি বললে আমরা আপনার জন্য কিছু কর ধার্য করব এই শর্তে যে আপনি আমাদের ও তাদের মধ্যে একটি প্রাচীর নির্মাণ করে দেবেন।’

বাদশাহ জুলকারনাইনের যুগে তারা বিশৃঙ্খলা করেছিল। তাদের অনিষ্ট থেকে মানুষকে বাঁচাতে জুলকারনাইন তাদের যাতায়াতের পথে বৃহৎ প্রাচীর নির্মাণ করেছিলেন। জুলকারনাইন সারা বিশ্ব ভ্রমণ ও শাসন করতেন। এ কারণে তিনি পূর্ববর্তী আসমানি কিতাবে আলোচিত হয়েছিলেন। আরেকটি কারণ হলো, তিনি ইয়াজুজ-মাজুজের অত্যাচার থেকে রক্ষা করেছিলেন মানুষকে।

আরও পড়ুনহারুত-মারুত কারা২১ নভেম্বর ২০২৩

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

কর্মস্থলগামী মানুষের চাপ বাড়ছে পাটুরিয়া ঘাটে

ঈদের ছুটি কাটিয়ে মানুষ আবার কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছেন। তাঁরা ফেরি ও লঞ্চে করে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌপথ পারাপার হয়ে রাজধানী ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকায় যাচ্ছেন। এতে পাটুরিয়া ঘাটে মানুষের চাপ বাড়ছে।

আজ শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত পাটুরিয়া লঞ্চ ও ফেরিঘাটে গিয়ে দেখা যায়, দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা দূরপাল্লার বাসসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহনে করে মানুষ দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় আসছেন। এরপর লঞ্চে পদ্মা নদী পার হয়ে পাটুরিয়া ঘাটে পৌঁছাচ্ছেন যাত্রীরা। এ ছাড়া দূরপাল্লার যানবাহনে করে যাত্রীরা ফেরিতে নদী পারাপার হয়ে পাটুরিয়া ঘাটে আসছেন। এতে পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় কর্মস্থলগামী মানুষ ও যানবাহনের চাপ বেড়েছে।

ঘাট এলাকায় যানজট নিরসনে কাজ করছেন জেলা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক জাসেল আহমেদ। তিনি বলেন, ঈদ শেষে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকায় ফিরছেন। যাত্রীদের নির্বিঘ্নে কর্মস্থলে ফিরতে ঘাট এলাকায় যানজট নিরসনে ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা কাজ করছেন।

আজ সকাল ৯টার দিকে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া প্রান্ত থেকে কর্মস্থলগামী যাত্রীদের নিয়ে এমভি মোস্তফা এবং সোয়া ৯টার দিকে এমভি অনিকা নামের দুটি লঞ্চ পাটুরিয়া লঞ্চঘাটে আসে। এ সময় এ লঞ্চ দুটিতে গাদাগাদি করে যাত্রীদের নদী পারাপার হতে দেখা যায়। লঞ্চ থেকে নামার পর মালামাল নিয়ে যাত্রীরা বাস টার্মিনালের দিকে হাঁটতে শুরু করেন। পরে বাসে উঠে কর্মস্থলের দিকে যাচ্ছেন তাঁরা।

ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন ফরিদপুর সদর উপজেলার আবুল কালাম। স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে গ্রামের বাড়িতে স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে গিয়েছিলেন তিনি। কর্মস্থলে যেতে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে আজ সকাল ৯টায় এমভি মোস্তফা নামের লঞ্চে করে নদী পারাপার হয়ে পাটুরিয়া লঞ্চঘাটে আসেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘ঈদের ছুটি শেষ। কাল (শনিবার) থেকে অফিস খোলা। তাই কাজে যোগ দিতে আজ সকাল সকাল কর্মস্থল এলাকার বাসায় ফিরছি।’

পাটুরিয়া লঞ্চঘাটের সুপারভাইজার মনির খান বলেন, ঈদ শেষে লঞ্চে কর্মস্থলগামী যাত্রীদের চাপ কিছুটা বেড়েছে। তবে প্রতিটি লঞ্চে নির্ধারিতসংখ্যক যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে। পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ২০টি লঞ্চ দিয়ে যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে।

দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা দূরপাল্লার বাসসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহনে করে মানুষ দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় আসছেন। এরপর লঞ্চে পদ্মা নদী পার হয়ে পাটুরিয়া ঘাটে পৌঁছাচ্ছেন যাত্রীর

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বোলার বল ছুড়তেই স্টেডিয়াম অন্ধকার, এরপর যা হল
  • জয়পুরহাটে বাজারের ৭ নৈশপ্রহরীকে বেঁধে ‘ডাকাতি’, মাল নিয়ে ট্রাকে করে পলায়ন
  • সাভারে দিনের বেলায় যাত্রীবাহী চলন্ত বাসে ছিনতাই
  • স্বর্ণভর্তি ব্যাগ ফেরত দিয়ে সততার দৃষ্টান্ত গড়লেন অটোরিকশাচালক
  • নাটকের মঞ্চায়ন বাতিল ধর্মীয় কারণে নয়, রাজনৈতিক কারণে: পুলিশ
  •  সোনারগাঁয়ে বাড়ির দেয়ালে চিঠি দিয়ে ডাকাতির হুমকি
  • ‘ম্যাডাম ফুলি’ নির্মাতা শহিদুল ইসলাম খোকনকে হারানোর নয় বছর
  • ৯ মাসে সাত সিরিজ, ব্যস্ত সূচিতে বাংলাদেশ
  • মুলারের প্রয়োজন ফুরিয়েছে বায়ার্নে
  • কর্মস্থলগামী মানুষের চাপ বাড়ছে পাটুরিয়া ঘাটে