অভিষেক ম্যাচে ছেলে খেলেন ছক্কা, ক্যাচ ধরলেন বাবা
Published: 12th, January 2025 GMT
বেশ অদ্ভুতই বলতে হবে।
ছেলে লিয়াম হাসকেটের অভিষেক ম্যাচ। খেলা দেখতে বেশ আগ্রহ নিয়েই দর্শক হিসেবে গ্যালারিতে হাজির বাবা। কিন্তু হাসকেট বল হাতে নিতেই অপ্রত্যাশিত ঘটনা! এই বাঁহাতির পেসারের বলে বিশাল এক ছয় হাঁকালেন ব্যাটসম্যান। হাজার হাজার দর্শকের মধ্যে সেটা গিয়ে পড়ল কি না ঠিক তাঁর বাবার হাতেই!
হাসকেটের বোলিংয়ের ছক্কায় তাঁর বাবার হাতে ক্যাচের এই অদ্ভুতুড়ে ও কাকতালীয় ঘটনাটি ঘটেছে বিগ ব্যাশে। গতকাল অ্যাডিলেড ওভালের অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্স-ব্রিসবেন হিটের ম্যাচে।
ঘটনাটি ঘটে ব্রিসবেন হিটের ইনিংসের চতুর্থ ওভারে। হাসকেট নিজের দ্বিতীয় ওভারের তৃতীয় বলটি শর্ট অফ লেংথে চতুর্থ স্টাম্পে করেন। ব্যাটসম্যান ছিলেন নাথান ম্যাকসুয়েনি, যেন এমন কিছুর জন্যই অপেক্ষাই করছিলেন। পুল করে সোজা পাঠিয়ে দিলেন মিডউইকেট স্ট্যান্ডে।
হাজার হাজার দর্শকের ভিড়ের মধ্যে বল গেল হাসকেটের বাবার কাছে। একদম সরাসরি তাঁর হাতে গিয়ে পড়েনি, মাথার ওপর দিয়ে যাচ্ছিল বলে চেয়ার ছেড়ে দাঁড়িয়ে একটু কষ্ট করেই ক্যাচ নিয়েছেন তিনি।
সাধারণত গ্যালারিতে থাকা কোনো দর্শক ক্যাচ নিলে বাধভাঙা উদ্যাপন দেখা যায়। কিন্তু ছেলের বলে ছক্কা হয়েছে, বাবা কী আর উদ্যাপন করতে পারেন! মুখ গোমড়া করেই বল মাঠে ফেরত দিলেন। মুখ গোমড়া থাকার অবশ্য আরও কারণ আছে। ছক্কা খাওয়ার আগের দুই বলেও যে বাউন্ডারি খেয়েছেন বাঁহাতি এই পেসার। নিজের করা প্রথম ওভারে খেয়েছেন আরও ২ ছক্কা।
এই ২ ছক্কা মেরেছেন যিনি, সেই মাইকেল নেসারকে অবশ্য আউট করেছেন হাসকেট। নিজের তৃতীয় ওভারেও উইকেট পেয়েছেন এই পেসার। ৩ ওভার ২ উইকেট নেওয়ার পথে দিয়েছেন ৪৩ রান।
তবে হাসকেটের বোলিংয়ের চেয়েও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশি আলোচিত হয়েছে তাঁর বাবার ক্যাচ। এ নিয়ে তখনই ধারাভাষ্যকক্ষে কথা বলছিলেন অ্যাডাম গিলক্রিস্ট, ‘ওই লোকটি হাসকেটের বাবা লয়েড হাসকেট। সেখানেই বসে ছিল, অন্যকিছুর দিকে চোখ দেয়নি। আমরা ভেবেছিলাম, উনি অনেক ঠান্ডা মাথার কেউ একজন হবে। কিন্তু আসলে অভিষেক ম্যাচে তার ছেলে ছক্কা খেয়েছে আর তিনি ক্যাচটি ধরেছেন, এ কারণে তিনি হতাশ।’
এর সঙ্গে মাইকেল ভন যোগ করেন, ‘এমন ঘটনা এটাই প্রথম।’
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বিএসইসি চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবিতে বিনিয়োগকারীদের বিক্ষোভ
শেয়ারবাজারের টানা দরপতনের প্রতিবাদে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন শেয়ারবাজারের বিক্ষুব্ধ বিনিয়োগকারীরা।
রাজধানীর মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান ফটকের সামনে আজ বুধবার বেলা আড়াইটার দিকে এই বিক্ষোভ করেন বিক্ষুব্ধ বিনিয়োগকারীরা। বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টর অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ ইনভেস্টর অ্যাসোসিয়েশনসহ কয়েকটি সংগঠনের ব্যানারে এই বিক্ষোভ করেন তাঁরা।
বিক্ষোভকারীরা শেয়ারবাজারের পতনের জন্য বিএসইসির ব্যর্থতাকে দায়ী করে কমিশনের অপসারণের দাবিতে নানা স্লোগান দিতে থাকেন। প্রায় ৩০ মিনিট বাংলাদেশ ব্যাংক কার্যালয়ের সামনে এই বিক্ষোভ চলে। বিক্ষোভ শেষে বিক্ষোভকারীরা বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে একটি মিছিলও বের করেন। মিছিলটি মতিঝিল থেকে শুরু হয়ে ইত্তেফাক মোড় ঘুরে মতিঝিলের ডিএসই ভবনের সামনে এসে শেষ হয়। মিছিল শেষে তাঁরা বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের কুশপুত্তলিকাও দাহ করেন।
বিক্ষোভকালে বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টর অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইকবাল হোসাইন তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘গত আট মাসে পুঁজিবাজারের সূচক শুধু নিচেই নেমেছে, ওপরে উঠে নাই। এই সময় সূচক প্রায় নয় শ পয়েন্ট কমেছে। টানা এই দরপতনে প্রায় ৮০ হাজার কোটি টাকার মূলধন হারিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। দীর্ঘদিন ধরে শেয়ারবাজারে পতন চলতে থাকায় বাজারে বিনিয়োগকারীর সংখ্যা ১৮ লাখ থেকে কমে ৭ লাখে নেমে এসেছে। বিনিয়োগকারীদের অনেকে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ পুঁজি হারিয়েছেন।’
বিক্ষোভকালে বিনিয়োগকারীরা বিএসইসি চেয়ারম্যানের অপসারণে আলটিমেটামও ঘোষণা করেন। বিক্ষুব্ধ বিনিয়োগকারীরা জানান, ৩০ এপ্রিলের মধ্যে যদি বিএসইসি চেয়ারম্যানকে অপসারণ করা না হয়, তাহলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
অনুষ্ঠানে বিনিয়োগকারীরা জানান, বিএসইসি চেয়ারম্যানের সঙ্গে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা আমলের সুবিধাভোগীরাও বিএসইসিতে সম্পৃক্ত আছেন, তাঁদেরও অপসারণ করতে হবে।