Prothomalo:
2025-04-29@07:55:07 GMT

বুনো জামের মায়াভরা বনে

Published: 12th, January 2025 GMT

শীতের পড়ন্ত বিকেলে বান্দরবানের থানচি উপজেলায় সাঙ্গু নদের পাড়ে এক প্রত্যন্ত এলাকায় তাঁবু গেড়েছিলাম। এক জনমানবহীন বনপথ। কেবল নদের পানির চলার শব্দ ও বুনো প্রাণীদের ডাকাডাকি। এমন নির্জন রাত শেষে কুয়াশাময় শীতের সকালে ডিমভাজি ও খিচুড়ি খেয়ে আমাদের আবার পথচলা।

বনের নদীর পথে কত-না প্রাণবৈচিত্র্য! অচেনা অনেক গাছপালার সমাহার। বুনো ফুলের ঘ্রাণ, পাখির গান, নদীর জলে ভাসা অচেনা বুনো ফুলের রং দেখে বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের আরণ্যক উপন্যাসের জগতে আছি বলে মনে হলো। এখানে হারিয়ে গেলে আমাদের খুঁজে পাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। গভীর বন।

সেদিন সকালে কয়েক কিলোমিটার পথ অতিক্রম করার পরে নদীর তীরে দেখা হলো এক শুভ্র রঙের জাম ফুলের সঙ্গে। একটা মায়াবী টান তার রঙে ও গাছের পাতায়। মনে হলো এ কোন মায়াভরা বুনো জামের বনে এলাম। ফুলগুলো দেখতে আমাদের চিরচেনা জামরুল ফুলের মতো। কিন্তু এটি বৃক্ষ নয়, পাতাও জামরুলের মতো চ্যাপটা ও বড় নয়। তবে ভেবেছি, কোনো বুনো জাম হবে। আমাদের পাহাড়ি বনে অনেক প্রজাতির জাম আছে। এ গাছের পাতা দেখে মনে হয়েছিল, সিলেটের জাফলংয়ে ডাউকি নদীর তীরে একবার দেখেছি।

সাঙ্গু নদের দুই তীরে লম্বা সারিতে গাছগুলো। প্রাকৃতিকভাবেই তারা সারি বেঁধে জন্মেছে। অনেকটা ঝোপালো গুল্ম। প্রতিটি উদ্ভিদেই ফুল। ফুল সুগন্ধী। ফুলে মৌমাছি আসছে। ফুলের ও গাছের ছবি তুলি। ঢাকায় গিয়ে বইপত্র ঘেঁটে বৈজ্ঞানিক পরিচিত জানতে চেষ্টা করি। পরে একটি জার্নালে আর্টিকেল পড়ে উদ্ভিদটি সম্পর্কে জানাতে পারি। এটির বৈজ্ঞানিক নাম Syzygium polypetalum। খুব কম পরিচিত লিথোফাইটিক ও রিপারিয়ান (পাথুরে ও নদীর তীরের পরিবেশে জন্মে) বিরল উদ্ভিদ। এটি ভারতের মেঘালয়, মিজোরাম, আসাম, ত্রিপুরা; বাংলাদেশের বান্দরবান, সিলেট এবং মিয়ানমারের নদীতীরের শিলাময় পরিবেশে পাওয়া যায় কেবল। প্রধানত নদীর তীর বরাবর শিলার ফাটলের মধ্যে জন্মে। ফুল ফোটে ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত। ফল ধরে মে মাস থেকে।

দোলা জামের ফুল.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সাদমানের সেঞ্চুরি, দেড়শ’তে বাংলাদেশ

টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নিলেন সাদমান। শুরু থেকেই ইতিবাচকভাবে খেলা সাদমান সেঞ্চুরি পেয়েছেন ১৪২ বলে, ১৬টি চারের সৌজন্যে। টেস্টে দুই সেঞ্চুরির সাথে ৫টি ফিফটি এখন তার। হারারেতে ২০২১ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অপরাজিত ১১৫ রানের ইনিংস খেলেছিলেন সাদমান, সেটি প্রথম শতক। এদিকে আজ টেস্টে হাজার রানের মাইলফলকেও পা রেখেছেন বাঁহাতি এই ওপেনার।  চট্টগ্রামে ক্যারিয়ারের ২২তম টেস্টে নামার আগে ৪১ ইনিংস খেলে হাজার থেকে ৬১ রান দূরে ছিলেন তিনি। 

৪২ ওভারে বাংলাদেশের রান ১ উইকেটে ১৫০। ১৪৫ বলে ১০১ রানে খেলছেন সাদমান। ২৭ বলে মুমিনুল হকের রান ৯।

এনামুলের বিদায়ে ভাঙল উদ্বোধনী জুটি

লাঞ্চ বিরতির পর মাত্র ১ রান যোগ করেই সাজঘরের পথ ধরলেন এনামুল হক বিজয়। ব্লেসিং মুজারাবানির বলে লেগ বিফোর উইকেটের শিকার হন, রিভিউ নিলেও লাভ হয়নি। তিন বছর পর টেস্ট দলে ফিরে ৮০ বলে ৩৯ রান করেন এনামুল। তার বিদায়ে ভাঙে ১১৮ রানের ওপেনিং জুটি। ক্রিজে সাদমানের সঙ্গী মুমিনুল। ৩৩ ওভার শেষে ১ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১২০ রান।

বিজয়-সাদমানের শতরানের জুটি, প্রথম সেশন বাংলাদেশের

সম্পর্কিত নিবন্ধ