Prothomalo:
2025-01-31@11:52:45 GMT

বুনো জামের মায়াভরা বনে

Published: 12th, January 2025 GMT

শীতের পড়ন্ত বিকেলে বান্দরবানের থানচি উপজেলায় সাঙ্গু নদের পাড়ে এক প্রত্যন্ত এলাকায় তাঁবু গেড়েছিলাম। এক জনমানবহীন বনপথ। কেবল নদের পানির চলার শব্দ ও বুনো প্রাণীদের ডাকাডাকি। এমন নির্জন রাত শেষে কুয়াশাময় শীতের সকালে ডিমভাজি ও খিচুড়ি খেয়ে আমাদের আবার পথচলা।

বনের নদীর পথে কত-না প্রাণবৈচিত্র্য! অচেনা অনেক গাছপালার সমাহার। বুনো ফুলের ঘ্রাণ, পাখির গান, নদীর জলে ভাসা অচেনা বুনো ফুলের রং দেখে বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের আরণ্যক উপন্যাসের জগতে আছি বলে মনে হলো। এখানে হারিয়ে গেলে আমাদের খুঁজে পাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। গভীর বন।

সেদিন সকালে কয়েক কিলোমিটার পথ অতিক্রম করার পরে নদীর তীরে দেখা হলো এক শুভ্র রঙের জাম ফুলের সঙ্গে। একটা মায়াবী টান তার রঙে ও গাছের পাতায়। মনে হলো এ কোন মায়াভরা বুনো জামের বনে এলাম। ফুলগুলো দেখতে আমাদের চিরচেনা জামরুল ফুলের মতো। কিন্তু এটি বৃক্ষ নয়, পাতাও জামরুলের মতো চ্যাপটা ও বড় নয়। তবে ভেবেছি, কোনো বুনো জাম হবে। আমাদের পাহাড়ি বনে অনেক প্রজাতির জাম আছে। এ গাছের পাতা দেখে মনে হয়েছিল, সিলেটের জাফলংয়ে ডাউকি নদীর তীরে একবার দেখেছি।

সাঙ্গু নদের দুই তীরে লম্বা সারিতে গাছগুলো। প্রাকৃতিকভাবেই তারা সারি বেঁধে জন্মেছে। অনেকটা ঝোপালো গুল্ম। প্রতিটি উদ্ভিদেই ফুল। ফুল সুগন্ধী। ফুলে মৌমাছি আসছে। ফুলের ও গাছের ছবি তুলি। ঢাকায় গিয়ে বইপত্র ঘেঁটে বৈজ্ঞানিক পরিচিত জানতে চেষ্টা করি। পরে একটি জার্নালে আর্টিকেল পড়ে উদ্ভিদটি সম্পর্কে জানাতে পারি। এটির বৈজ্ঞানিক নাম Syzygium polypetalum। খুব কম পরিচিত লিথোফাইটিক ও রিপারিয়ান (পাথুরে ও নদীর তীরের পরিবেশে জন্মে) বিরল উদ্ভিদ। এটি ভারতের মেঘালয়, মিজোরাম, আসাম, ত্রিপুরা; বাংলাদেশের বান্দরবান, সিলেট এবং মিয়ানমারের নদীতীরের শিলাময় পরিবেশে পাওয়া যায় কেবল। প্রধানত নদীর তীর বরাবর শিলার ফাটলের মধ্যে জন্মে। ফুল ফোটে ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত। ফল ধরে মে মাস থেকে।

দোলা জামের ফুল.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বইমেলা উপলক্ষে ঢাবিতে যানবাহন প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা শিথিল

অমর একুশে বইমেলা উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে বহিরাগত যানবাহন প্রবেশের ক্ষেত্রে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা শিথিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) ঢাবির জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অমর একুশে বইমেলা আমাদের প্রাণের মেলা। সারা দেশ থেকে বিভিন্ন বয়স ও শ্রেণি-পেশার মানুষ এ বইমেলায় আসেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতর দিয়ে তাদের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে প্রবেশপথগুলোতে যানবাহন নিয়ন্ত্রণে যে বিধি-নিষেধ থাকে, তা অমর একুশে বইমেলা উপলক্ষে শিথিল করা হলো। ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যানবাহন নিয়ন্ত্রণের জন্য কোনো ব্যারিকেড রাখবে না।

তবে, ঢাকা মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ এ প্রবেশপথগুলোতে সুশৃঙ্খলভাবে যানবাহন প্রবেশ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে যানবাহনগুলো সুশৃঙ্খলভাবে পার্কিং করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বেচ্ছাসেবক দল এবং প্রক্টরিয়াল মোবাইল সিকিউরিটি টিমের সদস্যরা ট্রাফিক বিভাগকে এ ব্যাপারে সার্বিক সহায়তা করবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ অমর একুশে বইমেলা উপলক্ষে যানবাহন চলাচল নির্বিঘ্ন করার জন্য ইতোমধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছে। এ ব্যাপারে সবার সহযোগিতার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।

ঢাকা/সৌরভ/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ