ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে চায় ব্র্যাকইউ রেসপন্স টিম
Published: 12th, January 2025 GMT
চারদিকে তখন করোনার আতঙ্ক। অবস্থা এমন যে আত্মীয়স্বজনও ভয়ে একে অপরের থেকে বিচ্ছিন্ন। ২০২০ সালের এমন একটি সময়ে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গঠন করেন ‘কোভিড-১৯ রেসপন্স টিম’। মানুষের দিকে সেবার হাত বাড়িয়ে দেওয়াই ছিল তাঁদের লক্ষ্য। এই দলের সদস্যরা তখন করোনায় আক্রান্তদের অক্সিজেন সিলিন্ডার, প্লাজমা এবং আইসিইউ সেবা সরবরাহের কাজ করতেন। ওই দলটিই পরে আনুষ্ঠানিকভাবে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ক্লাব হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। নাম হয় ‘ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি রেসপন্স টিম’।
কয়েকজন মিলে যাত্রা শুরু করলেও বর্তমানে ক্লাবটির সদস্য ২৩৩। কোভিড–পরবর্তী সময়ে এর কাজ আরও বিস্তৃত হয়েছে। শীতার্ত মানুষের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণের জন্য ‘উইন্টার ক্যাম্পেইন’, সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য ‘প্রজেক্ট হাসিমুখ’, ১০ বছরে ১০ হাজার বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে পরিবেশ উন্নয়নে ‘প্রজেক্ট জীবন’ এবং ব্লাড ডোনেশন রক্তদান কর্মসূচি ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি রেসপন্স টিমের নিয়মিত কাজ। আরও অনেক সমাজসেবামূলক কাজে যুক্ত আছে ক্লাবটি। ক্যানসার বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে সেমিনার ও বিনা মূল্যে স্ক্রিনিং ক্যাম্পও করেছেন তাঁরা।
আরও পড়ুনব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে ব্লকচেইন একাডেমি০৩ নভেম্বর ২০২৪গত বছর সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সঙ্গে যৌথভাবে রক্তদান কর্মসূচির আয়োজন করেছিল ‘ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি রেসপন্স টিম’.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
দেশের প্রথম নারী ইউপি চেয়ারম্যানের মৃত্যু
বাংলাদেশ প্রথম নির্বাচিত নারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট চন্দনা গ্রামের বাসিন্দা শামসুন্নাহার চৌধুরী মারা গেছেন।
শুক্রবার আছর নামাজের পর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
মৃত্যুকালে তিনি স্বামী, সন্তানসহ আত্মীয়স্বজন ছাড়াও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। সিঙ্গাপুর, ভারতসহ বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। চুনারুঘাট উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু তাহেরের স্ত্রী তিনি।
তিনি চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশী ও দেওরগাছ ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ৩ বার চেয়ারম্যান নির্বাহিত হন। এরমধ্যে ১৯৮৮ সালে প্রথম মিরাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সারা দেশে তখন তিনিই ছিলেন প্রথম নারী ইউপি চেয়ারম্যান। সেই থেকে রাজনীতিতে জড়ান। ১৯৯৩ সালে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন।
শামছুন্নাহার চৌধুরী ৩ বার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নানা সামাজিক দায়িত্ব পালন করেছেন। পেয়েছেন অতিশ দীপঙ্কর জয়িতাসহ নানা পুরস্কার। হয়েছেন জেলার শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান। কাজ করেছেন নারী উন্নয়নে।
তার মৃত্যুতে সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন শোক প্রকাশ করেছে।