পদ হারাচ্ছেন আরও ব্যাংক পরিচালক
Published: 12th, January 2025 GMT
বেসরকারি খাতের একাধিক ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে বড় পরিবর্তন আসছে। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অনেক ব্যাংক পরিচালক গা ঢাকা দিয়েছেন, কেউ কেউ আবার বিদেশে পাড়ি দিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে অনেক ব্যাংকের চেয়ারম্যানও রয়েছেন। অনেকেই অবশ্য বিভিন্ন কৌশলে টিকে থাকার চেষ্টা করছেন। আওয়ামী লীগ–সংশ্লিষ্ট এসব পরিচালকের টানা অনুপস্থিতির কারণে বিভিন্ন ব্যাংক পর্ষদ সভা কমিয়ে এনেছে।
করোনার সময়ে বিদেশে বসে বা দেশে থেকে অনলাইনে ব্যাংকের সভায় অংশ নেওয়ার যে সুযোগ দেওয়া হয়েছিল, তা করোনা কেটে যাওয়ার পরও চালু রাখা হয়। ফলে পরিচালনা পর্ষদের পাশাপাশি নির্বাহী, নিরীক্ষা ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যরা একইভাবে সভায় অংশ নিতে পারতেন। কিন্তু সরকার পরিবর্তনের পর সে সুযোগ তুলে নেওয়া হয়। তবে আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ও মেঘনা ব্যাংকের চেয়ারম্যান এইচ এন আশিকুর রহমানকে একটি সভায় অনলাইনে যোগ দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়।
ব্যাংক কোম্পানি আইন ও বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী, পরপর তিনটি সভায় বা তিন মাস কোনো পরিচালক সভায় অংশ না নিলে তাঁর পদ শূন্য হয়ে যায়। এর মধ্যে যেটি বেশি সময় হবে, সেটিই কার্যকর হয়। কিন্তু করোনার সময় এই বিধান স্থগিত করা হয়। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে বিধানটি আবার কার্যকর করা হয়েছে। ফলে সভায় অংশ না নেওয়ার কারণে অনেক পরিচালক চলতি মাসেই পদ হারাবেন বলে বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিভিন্ন ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান।
এ ধরনের পরিচালকদের মধ্য রয়েছেন ডিএসসিসির সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের স্ত্রী, সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর ভাইয়ের স্ত্রী ও চাচাতো ভাই, সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর ছেলে, সাবেক স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর ছেলে, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর উল্যাহর স্ত্রী।যেসব ব্যাংকে পরিবর্তন হয়েছেবাংলাদেশ ব্যাংক আওয়ামী লীগের মেয়াদে বড় ধরনের অনিয়ম হয়েছে এমন ১১টি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ পরিবর্তন করেছে। ব্যাংকগুলো হলো ইসলামী, সোশ্যাল ইসলামী, গ্লোবাল ইসলামী, ইউনিয়ন, ন্যাশনাল, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী, বাংলাদেশ কমার্স, আল-আরাফাহ্ ইসলামী, আইএফআইসি, এক্সিম ও ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি)। এর মধ্যে আটটিরই নিয়ন্ত্রণ ছিল সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত এস আলম গ্রুপের কাছে। এ ছাড়া একটি সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, একটি সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর পরিবার ও আরেকটি ব্যাংক উদ্যোক্তাদের সংগঠন বিএবির চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদারের নিয়ন্ত্রণে ছিল। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পরিস্থিতিতে মার্কেন্টাইল, সিটিজেন ও সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদ ছেড়ে দেন। দেশে বেসরকারি খাতে ৪৩টি ব্যাংক রয়েছে। এর মধ্যে তিনটি ব্যাংক হলো যথাক্রমে সেনাবাহিনী, বাংলাদেশ পুলিশ ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি)। ব্যাংকগুলো প্রতি মাসে সর্বোচ্চ দুটি পর্ষদ সভা আয়োজন করতে পারে। সভায় অংশ নেওয়ার জন্য পরিচালকেরা সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা সম্মানী নিতে পারেন।
পর্ষদে ভালো লোক ছিল না বলেই ব্যাংকগুলোতে এত বড় অনিয়ম করা সম্ভব হয়েছে। এখন তাঁদের অনুপস্থিতির কারণে যদি পদ খালি হয়, তাহলে তা নিয়ম মেনে দ্রুতই পূরণ করা উচিত হবে। মোস্তফা কে মুজেরী, সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ, বাংলাদেশ ব্যাংকঝুঁকিতে যেসব ব্যাংক পরিচালকপদ হারানোর সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন আওয়ামী লীগের আমলে অনুমোদন পাওয়া ও দখল হওয়া ব্যাংকের পরিচালকেরা। কারণ, এসব পরিচালকের মধ্যে শেখ পরিবারের সদস্য, সাবেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য, আওয়ামী লীগ–সমর্থিত ব্যবসায়ী ও পেশাজীবীরা এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যরা রয়েছেন। ব্যাংকগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বাদ পড়বেন মেঘনা ব্যাংকের পরিচালকেরা। ওই ব্যাংকের বড় নিয়ন্ত্রণ সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর পরিবারের হাতে। এ ছাড়া মধুমতি, মিডল্যান্ড, প্রিমিয়ার, যমুনা, মিউচুয়াল ট্রাস্ট, শাহজালাল ইসলামীসহ আরও অনেক ব্যাংকের পরিচালকেরা পদ হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মেঘনা ব্যাংকের চেয়ারম্যান এইচ এন আশিকুর রহমানকে সম্প্রতি অনলাইনে পর্ষদের একটি সভায় যোগ দেওয়ার সুযোগ প্রদান করা হয়। এ ছাড়া ব্যাংকটির পরিচালক ইমরানা জামান চৌধুরী অনুপস্থিত, যিনি সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর ভাই আনিসুজ্জামান চৌধুরীর স্ত্রী। অনুপস্থিত আছেন নুরান ফাতেমা, তিনি সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের স্ত্রী। এ ছাড়া পর্ষদ সভায় অনুপস্থিত থাকা জাহারা রাসূল জেনেক্স ইনফোসিস লিমিটেডের চেয়ারম্যান আদনান ইমামের বোন। অনুপস্থিত রয়েছেন সাবেক ভূমিমন্ত্রীর চাচাতো ভাই জোনায়েদ শফিক।
ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সাবেক সভাপতি মাহবুবুল আলম ইতিমধ্যে বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংকের পরিচালক পদ হারিয়েছেন। আরেক পরিচালক ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা আটক হয়ে জেলহাজতে আছেন।
মিডল্যান্ড ব্যাংকের চেয়ারম্যান নিলুফার জাফরুল্লাহও নিয়মিত সভায় যাচ্ছেন না। তিনি আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর উল্যাহর স্ত্রী।
মধুমতি ব্যাংকের পরিচালকদের মধ্যে একজন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল, অন্যজন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। তাঁরাও পর্ষদের সভায় যাচ্ছেন না।
যমুনা ব্যাংকের সাবেক দুই চেয়ারম্যান গাজী গোলাম আশরিয়া ও সাইদুল ইসলাম আওয়ামী সরকারের পতনের পর থেকে ব্যাংকের পর্ষদ সভায় যোগ দিচ্ছেন না। তাঁরা দুজনে যথাক্রমে সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী এবং সাবেক স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলামের ছেলে।
প্রিমিয়ার ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য এইচ বি এম ইকবাল, ভাইস চেয়ারম্যান মইন ইকবাল, পরিচালক শাহ মো.
তবে সাবেক সরকারের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিরা জড়িত থাকলেও সব ব্যাংকে ঢালাওভাবে অনিয়ম হয়েছে, তা বলা যাবে না। কারণ, কোনো কোনো ব্যাংক পেশাদারির সঙ্গে পরিচালিত হয়েছে।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ মোস্তফা কে মুজেরী প্রথম আলোকে বলেন, পর্ষদে ভালো লোক ছিল না বলেই ব্যাংকগুলোতে এত বড় অনিয়ম করা সম্ভব হয়েছে। এখন তাঁদের অনুপস্থিতির কারণে যদি পদ খালি হয়, তাহলে তা নিয়ম মেনে দ্রুতই পূরণ করা উচিত হবে। পাশাপাশি শূন্য পদগুলোতে পেশাদার ব্যক্তিদের স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দিতে পারে বাংলাদেশ ব্যাংক। তাহলে এসব ব্যাংকে অনিয়মের সুযোগ থাকবে না। এখনই সময় ব্যাংক খাতকে নিয়মের মধ্যে ফেরানোর।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ইউজিসির নজরদারি সংস্থার অধীনে যাচ্ছে সাত কলেজ
রাজধানীর আলোচিত সাত কলেজ নিয়ে নতুন সিদ্ধান্তে এসেছে সরকার। এ জন্য আপাতত একটি ‘নজরদারি সংস্থা’ গঠন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) একজন সদস্য এ সংস্থার নেতৃত্ব দেবেন। সাত অধ্যক্ষের যে কোনো একজন সংস্থাটির পরিচালকের দায়িত্ব পালন করবেন। নজরদারি সংস্থার কার্যালয় হবে সাত কলেজের যে কোনোটির ক্যাম্পাসে।
এ ছাড়া সাত কলেজের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের নতুন ভর্তি কার্যক্রম শুরুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, ভর্তি ও রেজিস্ট্রার দপ্তর এবং হিসাব বিভাগের প্রতিনিধির সমন্বয়ে একটি সাময়িক কাঠামো থাকবে, যা ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে সাত কলেজের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের যাবতীয় শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করবে। এসব কাজের জন্য সাত কলেজের বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একটি পৃথক ব্যাংক একাউন্ট পরিচালনা করবে। বিশ্ববিদ্যালয় মর্যাদার স্বতন্ত্র কাঠামো চূড়ান্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত এই নজরদারি সংস্থার অধীনে সাত কলেজ পরিচালিত হবে।
সরকারের এসব সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে গতকাল সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে চিঠি দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ। যুগ্ম সচিব শারমিনা নাসরীনের সই করা চিঠিতে এই সুপারিশমালা বাস্তবায়নে উপাচার্যকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
ইউজিসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক এসএমএ ফায়েজ এই উচ্চ পর্যায়ে গঠিত কমিটির আহ্বায়ক।
ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক তানজীমউদ্দিন খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বিশ্ববিদ্যালয়) কমিটির সদস্য।
এ কমিটি সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে কথা বলে একাধিক সভায় মিলিত হয়ে সরকারের কাছে যে সুপারিশমালা পেশ করেছে, তা সরকার গ্রহণ করেছে।
কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক এসএমএ ফায়েজ জাপান সফরে থাকায় তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। এর আগে তিনি সমকালকে বলেছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয় সমমর্যাদার স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান হওয়ার আগ পর্যন্ত অন্তর্বর্তী সময়ে সাত কলেজ কীভাবে চলবে, সে বিষয়ে আমরা সরকারকে একটি সুপারিশমালা দিয়েছি।
গতকাল ঢাবি উপাচার্যকে দেওয়া চিঠিতে জানানো হয়, ইউজিসি এবং অধিভুক্ত কলেজের একজন অধ্যক্ষের নেতৃত্বে সাত কলেজের সার্বিক কার্যক্রম পরিচালিত হবে। এতে ঢাবি প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রতিনিধি থাকবেন। দ্রুত ঢাবির সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিলে বিষয়টি চূড়ান্ত করার জন্য উপাচার্যকে অনুরোধ জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
সাত কলেজ হলো– ঢাকা কলেজ, ইডেন কলেজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, সরকারি কবি নজরুল কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, মিরপুর বাঙলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজ।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন থাকা রাজধানীর এই বড় সাতটি কলেজকে ২০১৭ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্ত করা হয়েছিল। প্রায় ৮ বছর ঢাবির অধীনে চলে সাতটি কলেজ। গত ২৭ জানুয়ারি অধিভুক্তি বাতিলের ঘোষণা দেয় ঢাবি। শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে এখন সাত কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রুপান্তর প্রক্রিয়া শুরু করেছে অর্ন্তবর্তী সরকার। তার আগ পর্যন্ত এই নজরদারি সংস্থার অধীনে চলবে সাত কলেজ।
কেমন হবে নজরদারি সংস্থার কাঠামো
নজরদারি সংস্থার প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ঢাবির রেজিস্ট্রার দপ্তর মনোনীত কর্মকর্তা, পরীক্ষা সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ঢাবির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তর মনোনীত কর্মকর্তা, অর্থ ও হিসাব সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সংশ্লিষ্ট শাখা মনোনীত প্রতিনিধি দায়িত্ব পালন করবেন। এ ছাড়া সাত কলেজের অনলাইন ভর্তি কমিটির মাধ্যমে আবেদন সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালিত হবে। কলেজগুলোর শিক্ষা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনার সাময়িক ব্যবস্থা হিসেবে এই কাঠামো।
সুপারিশে বলা হয়েছে, ‘সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহের প্রশাসনিক জটিলতা ও সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের নানা অসুবিধার কথা বিবেচনায় রেখে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যেসব শিক্ষার্থী বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান শিক্ষা কার্যক্রমের অধীনে রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দায়িত্বশীলতার সঙ্গে বর্তমান ব্যবস্থা চালু রাখবে।’
আরও বলা হয়েছে, ‘প্রস্তাবিত ব্যবস্থাটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যথাযথ পর্ষদে (একাডেমিক কাউন্সিল ও সিন্ডিকেট) জরুরি ভিত্তিতে অনুমোদিত হতে হবে।’
উচ্চ পর্যায়ের কমিটির সুপারিশ অনুসারে, ‘সাত কলেজের ভর্তি, পরীক্ষা ও অন্যান্য কার্যক্রম সংক্রান্ত তথ্য আদান প্রদানের জন্য স্ব স্ব কলেজের অধ্যক্ষের নিয়ন্ত্রণে একটি করে হেল্প ডেস্ক থাকবে; নিয়োগপ্রাপ্তির পরেই প্রস্তাবিত সাময়িক কাঠামোর পরিচালক জনবলের প্রস্তাবসহ কাঠামোর কার্যক্রমের অপারেশন ম্যানুয়েল প্রণয়ন করে সিন্ডিকেটে অনুমোদনের লক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দাখিল করবেন। কমিশন সমন্বিত কাঠামোর সার্বিক তত্ত্বাবধানসহ সময়ে সময়ে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেবে।’