আরব্য রজনীতে সম্রাট শাহরিয়ারকে গল্প শোনাতেন শেহেরজাদ। বিচিত্র ধরনের সেই গল্পগুলো খুলে দিত কল্পনা–রাজ্যের অনেক দ্বার। একেকটি গল্প রুদ্ধশ্বাস ও তুমুল উত্তেজনায় ভরপুর। আরব্য রজনী ও শেহেরজাদের সেই গল্পগুলো অবশ্য আমরা পেছনে ফেলে এসেছি। দাওয়ায় বসে গল্প বলার সেই আয়েশি দিনও আর নেই।  

কিন্তু এ সময়ে এসে মিম কিংবা জেন-জি প্রজন্মকে যদি নতুন করে আরব্য রজনীর গল্প বলা হয়, তবে কেমন হবে সেই গল্প? কেমন হবে তার চরিত্র ও উপখ্যানগুলো? ফুটবলের রোমাঞ্চকর গল্পগুলো নিশ্চয়ই সেখানে যোগ হবে। আর ফুটবল এলে নিশ্চিতভাবে আসবে ‘এল ক্লাসিকো’ও। রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনার আগুনে গল্প ছাড়া এই রূপকথা তো অপূর্ণই!

আরও পড়ুনমরুর বুকে রিয়াল–বার্সার আরেকটি এল ক্লাসিকোর অপেক্ষা ১০ জানুয়ারি ২০২৫

এই একটি ম্যাচেই যে লেখা হয়, আরব্য রজনীর সহস্র রাতের গল্প। যে গল্পে কুশীলব বদলাতে পারে কিন্তু গল্পের মর্যাদা ও উত্তাপ একটুও কমে না। প্রায় শত বছর ধরে ফুটবল বললে মানুষ রিয়াল-বার্সার এই দ্বৈরথগুলোকেই সব সময় ওপরের দিকে রেখেছে। জেদ্দায় আজ রাত একটায় সেই দ্বৈরথেরই আরও একটা পর্ব, স্প্যানিশ সুপার কাপের ফাইনাল।

ম্যাচের সময় হিসাব করলে এল ক্লাসিকোর ইতিহাস ১২৩ বছরের পুরোনো। এই সময়ে অসংখ্য ধ্রুপদি ম্যাচ উপহার দিয়েছে দুই দল। দীর্ঘ পথচলায় উত্তেজনার অবশ্য রকমফের হয়েছে। আধিপত্যের রূপও বদলেছে। কখনো কখনো ধস নেমেছে জনপ্রিয়তাতে। কিন্তু এত কিছুর পরও এল ক্লাসিকো কখনো তার ধ্রুপদি মান হারায়নি।

এল ক্লাসিকোর ইতিহাস ১০০ বছরের বেশি পুরোনো হলেও এর জনপ্রিয়তা ও রোমাঞ্চ চূড়া স্পর্শ করেছে ১৯৫০–এর দশকে। স্পেন সে সময় অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে ব্যাপক পরিবর্তনের ভেতর দিয়ে যাচ্ছিল। এক হিসাবে দেখা গেছে, ১৯৬৩ থেকে ১৯৭১–এর মধ্যে দেশটির মাথাপিছু আয় দ্বিগুণ হয়ে যায়।

ফাইনালে বার্সার তুরুপের তাস লামিনে ইয়ামাল.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বইমেলা উপলক্ষে ঢাবিতে যানবাহন প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা শিথিল

অমর একুশে বইমেলা উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে বহিরাগত যানবাহন প্রবেশের ক্ষেত্রে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা শিথিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) ঢাবির জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অমর একুশে বইমেলা আমাদের প্রাণের মেলা। সারা দেশ থেকে বিভিন্ন বয়স ও শ্রেণি-পেশার মানুষ এ বইমেলায় আসেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতর দিয়ে তাদের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে প্রবেশপথগুলোতে যানবাহন নিয়ন্ত্রণে যে বিধি-নিষেধ থাকে, তা অমর একুশে বইমেলা উপলক্ষে শিথিল করা হলো। ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যানবাহন নিয়ন্ত্রণের জন্য কোনো ব্যারিকেড রাখবে না।

তবে, ঢাকা মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ এ প্রবেশপথগুলোতে সুশৃঙ্খলভাবে যানবাহন প্রবেশ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে যানবাহনগুলো সুশৃঙ্খলভাবে পার্কিং করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বেচ্ছাসেবক দল এবং প্রক্টরিয়াল মোবাইল সিকিউরিটি টিমের সদস্যরা ট্রাফিক বিভাগকে এ ব্যাপারে সার্বিক সহায়তা করবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ অমর একুশে বইমেলা উপলক্ষে যানবাহন চলাচল নির্বিঘ্ন করার জন্য ইতোমধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছে। এ ব্যাপারে সবার সহযোগিতার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।

ঢাকা/সৌরভ/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ