ভাড়া নেওয়ার কথা বলে জুয়েলারি ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা, স্বর্ণালংকার-টাকা লুট
Published: 12th, January 2025 GMT
পটুয়াখালীর কলাপাড়া পৌরসভায় জুয়েলারি দোকানের মালিকের বাসায় দুর্বৃত্তরা হামলা করে টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করেছে। গতকাল শনিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে শহরের চিংগড়িয়া আবাসিক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী ওই ব্যবসায়ীর নাম মহাদেব কর্মকার। তিনি কলাপাড়া পৌর শহরের ঐশী জুয়েলারির মালিক। ঘটনার সময় মহাদেব কর্মকার বাসায় ছিলেন না। তিনি সস্ত্রীক বিদেশে রয়েছেন।
বাসার লোকজন জানান, বাসা ভাড়া নেওয়ার কথা বলে কয়েকজন দরজায় নক করে। দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গে তিনজন বাসার মধ্যে ঢুকে পড়ে। তারা গৃহবধূ অর্পিতা সরকারসহ দুজনকে বেঁধে মারধর করে আলমারির চাবি নিয়ে নেয়। ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যে ৬০ ভরি স্বর্ণালংকার ও ২ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায় তারা।
অর্পিতা সরকার বলেন, ‘দলে তারা তিনজন ছিল। ঘর ভাড়া নেওয়ার কথা বলে ওরা দরজায় নক করেছে। আমরা কিছুই বুঝতে পারিনি। দরজা খুলতেই আচমকা আমাকে লাথি, কিল-ঘুষি মারতে থাকে। একপর্যায়ে আমার চোখ, মুখ ও হাত বেঁধে ফেলে। ঘরে আমার খালাশাশুড়ি ছিলেন। তাঁকেও জিম্মি করে ফেলে।’
এদিকে এ ঘটনার খবর পেয়ে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রবিউল ইসলাম রাতেই ওই বাড়িতে যান এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের খোঁজখবর নেন।
কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জুয়েল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। চুরির জন্য তিনজন ওই বাসায় ঢুকেছিল। স্বর্ণালংকার, টাকাপয়সা কী চুরি হয়েছে, তা জেনে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
দেশের প্রথম নারী ইউপি চেয়ারম্যানের মৃত্যু
বাংলাদেশ প্রথম নির্বাচিত নারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট চন্দনা গ্রামের বাসিন্দা শামসুন্নাহার চৌধুরী মারা গেছেন।
শুক্রবার আছর নামাজের পর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
মৃত্যুকালে তিনি স্বামী, সন্তানসহ আত্মীয়স্বজন ছাড়াও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। সিঙ্গাপুর, ভারতসহ বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। চুনারুঘাট উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু তাহেরের স্ত্রী তিনি।
তিনি চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশী ও দেওরগাছ ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ৩ বার চেয়ারম্যান নির্বাহিত হন। এরমধ্যে ১৯৮৮ সালে প্রথম মিরাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সারা দেশে তখন তিনিই ছিলেন প্রথম নারী ইউপি চেয়ারম্যান। সেই থেকে রাজনীতিতে জড়ান। ১৯৯৩ সালে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন।
শামছুন্নাহার চৌধুরী ৩ বার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নানা সামাজিক দায়িত্ব পালন করেছেন। পেয়েছেন অতিশ দীপঙ্কর জয়িতাসহ নানা পুরস্কার। হয়েছেন জেলার শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান। কাজ করেছেন নারী উন্নয়নে।
তার মৃত্যুতে সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন শোক প্রকাশ করেছে।