পটুয়াখালীর কলাপাড়া পৌরসভায় জুয়েলারি দোকানের মালিকের বাসায় দুর্বৃত্তরা হামলা করে টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করেছে। গতকাল শনিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে শহরের চিংগড়িয়া আবাসিক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী ওই ব্যবসায়ীর নাম মহাদেব কর্মকার। তিনি কলাপাড়া পৌর শহরের ঐশী জুয়েলারির মালিক। ঘটনার সময় মহাদেব কর্মকার বাসায় ছিলেন না। তিনি সস্ত্রীক বিদেশে রয়েছেন।

বাসার লোকজন জানান, বাসা ভাড়া নেওয়ার কথা বলে কয়েকজন দরজায় নক করে। দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গে তিনজন বাসার মধ্যে ঢুকে পড়ে। তারা গৃহবধূ অর্পিতা সরকারসহ দুজনকে বেঁধে মারধর করে আলমারির চাবি নিয়ে নেয়। ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যে ৬০ ভরি স্বর্ণালংকার ও ২ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায় তারা।

অর্পিতা সরকার বলেন, ‘দলে তারা তিনজন ছিল। ঘর ভাড়া নেওয়ার কথা বলে ওরা দরজায় নক করেছে। আমরা কিছুই বুঝতে পারিনি। দরজা খুলতেই আচমকা আমাকে লাথি, কিল-ঘুষি মারতে থাকে। একপর্যায়ে আমার চোখ, মুখ ও হাত বেঁধে ফেলে। ঘরে আমার খালাশাশুড়ি ছিলেন। তাঁকেও জিম্মি করে ফেলে।’

এদিকে এ ঘটনার খবর পেয়ে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রবিউল ইসলাম রাতেই ওই বাড়িতে যান এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের খোঁজখবর নেন।

কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জুয়েল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। চুরির জন্য তিনজন ওই বাসায় ঢুকেছিল। স্বর্ণালংকার, টাকাপয়সা কী চুরি হয়েছে, তা জেনে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!

ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন

গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।

এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ