তেজগাঁওয়ের ট্রাক স্ট্যান্ডে আগুন, পুড়ল ৬ ট্রাক
Published: 12th, January 2025 GMT
রাজধানীর তেজগাঁওয়ের ট্রাক স্ট্যান্ডে আজ রোববার সকালে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ফায়ার সার্ভিসের প্রায় আধা ঘণ্টার চেষ্টায় এ আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুনে অন্তত ছয়টি ট্রাক পুড়ে গেছে বলে ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানিয়েছে।
আজ সকাল সকাল আটটার দিকে আগুন লাগে তেজগাঁও ট্রাক স্ট্যান্ডের একটি গ্যারেজে। ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানিয়েছে, আগুন লাগার ঘটনা জানার পাঁচ মিনিটের মধ্যেই সেখানে প্রথম দুটি পরে আরও একটি ইউনিট গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। প্রায় আধা ঘণ্টার মধ্যে সকালে সাড়ে আটটার পর সেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
ফায়ার সার্ভিসের জনসংযোগ বিভাগের কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম আজ সকালে প্রথম আলোকে বলেন, ট্রাক স্ট্যান্ডের কাছে একটি গ্যারেজে আগুন লাগে। এটি আসলে একটি দোকান। আগুন লাগার পর সেখানে থাকা আটটি ট্রাক পুড়ে গেছে। তবে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ইতালির কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে দুইজনকে গুলি করে হত্যা
ইতালির কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে ফরিদপুরের দুই যুবককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এমনকি হত্যার পর পরিবারের সদস্যদের হোয়াটসঅ্যাপে তাদের ছবি পাঠানো হয়।
নিহত দুই যুবক হলেন- ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের কুমারখালী গ্রামের মিন্টু হাওলাদারের ছেলে হৃদয় হাওলাদার (২৪) ও মজিবর হাওলাদারের ছেলে রাসেল হাওলাদার (২৬)।
হৃদয়ের বাবা মিন্টু হাওলাদার বলেন, দু’মাস আগে স্থানীয় আবু তারা মাতুব্বর, আলমাছ ও আনোয়ারের মাধ্যমে ১৬ লাখ টাকা দিয়ে ছেলেকে বিদেশ পাঠাই। ছেলেকে প্রথমে দুবাই সেখান থেকে সৌদি আরব তারপর লিবিয়া নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে হৃদয়কে হত্যা করা হয়েছে।
হৃদয়ের বড় ভাই মোখলেছুর রহমান বলেন, ৪/৫ দিন ধরে হৃদয়ের কোন খোঁজ পাচ্ছিলাম না। দালালরা শুক্রবার দুপুরে আমার ভাইয়ের লাশের ছবি পাঠিয়েছে। ১৬ লাখ টাকা দেওয়ার পরও বিদেশ থেকে ফোন করে আরও টাকা দাবি করছিল পাচারচক্র। টাকা না দেওয়ায় ওরা আমার ভাইকে খুন করেছে।
একই গ্রামের ফয়সাল হোসেন বলেন, রাসেল নামের আরও একজনকেও লিবিয়াতে হত্যা করা হয়েছে। ওরা একই গ্রামের বাসিন্দা। ওই মানবপাচার চক্র এভাবে মানুষকে জিম্মি করে টাকা আদায় করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে। টাকা না দিলেই তাদের সাথে খারাপ কিছু ঘটানো হয়। কখনও নির্যাতন করে আবার কখনও হত্যা করে।
ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার ওসি মো. মোকসেদুর রহমান বলেন, ভাঙ্গার দুটি ছেলেকে লিবিয়ায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে শুনেছি। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় এখনও লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়নি। ওই পরিবারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। তাদের সঙ্গে আলোচনা করে দালালচক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।