ফুল-ফল নয়, বাড়ির ছাদে জিনসেং চাষে সফল আইনুল
Published: 12th, January 2025 GMT
করোনাভাইরাসের মহামারির সময়ে বাড়িতে অলস বসে থাকার চেয়ে ওষধি গাছ হিসেবে জিনসেং চাষ করতে চেয়েছিলেন আইনুল ইসলাম। কিন্তু এর জন্য কোনো জমি পাচ্ছিলেন না। এমন অবস্থায় নিজ বাড়ির ছাদেই জিনসেং চাষের সিদ্ধান্ত নেন। এতে সফল হয়েছেন তিনি। জিনসেং থেকে আয় দিয়ে বর্তমানে তিনি সংসার চালাচ্ছেন।
আইনুলের বাড়ি রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার দৌলতপুর গ্রামে। স্নাতক পাস করা এই যুবক ওষুধ কোম্পানিতে চাকরির পাশাপাশি বাড়ির ছাদের ১ হাজার ৬৫০ বর্গফুটের পুরো জায়গায় প্রায় দুই হাজার বস্তায় জিনসেং চাষ করছেন।
আইনুল ইসলাম জানান, ২০২০ সালে করোনার সময়ে ইউটিউবে ঔষধি গাছ জিনসেং সম্পর্কে জেনেছেন। তবে চাষের জন্য জমি না থাকায় স্থির করেন বাড়ির ছাদেই চাষ শুরু করবেন। এ জন্য ছাদে বস্তার ভেতর বেলে দোআঁশ মাটি দিয়ে জিনসেং গাছের চারা রোপণ করেন। আর এসব গাছের চারা সংগ্রহ করেছিলেন উপজেলার গোবিন্দপাড়া থেকে। ইউটিউব থেকে শেখা চাষের পদ্ধতি অনুসরণে এক বছরের মধ্যে ভালো ফল পান তিনি। পরে সেগুলো থেকে বীজ সংগ্রহ করে ছাদের প্রায় পুরো অংশেই বাণিজ্যিকভাবে জিনসেং চাষ শুরু করেন।
তবে চাষাবাদের শুরুতে আইনুলকে অনেক বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছে। বাবা ও ভাইয়ের পাশাপাশি স্ত্রীও এর বিরোধিতা করেছেন। জিনসেংকে আগাছা উল্লেখ করে টবে ফুল-ফলের চারা লাগানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন তাঁরা। তবে নিজের ভাবনায় অটল ছিলেন আইনুল। এক বছরের মধ্যে পরিবারের সব সদস্যের ধারণা পাল্টে দেন।
পরিপক্ব হওয়ার পর জিনসেং সংগ্রহ করা হয়। জিনসেং দেখাচ্ছেন আমিনুল.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বিফলে বিজয়ের সেঞ্চুরি, মোহামেডানকে জেতালেন ‘বিতর্কিত’ হৃদয়
সেই পুরনো বৃত্তে ডিপিএল আয়োজনের অভিযোগ উঠেছে। আম্পায়ার ও ম্যাচ রেফারির সঙ্গে বাজে আচরণ করে দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা পেয়েছিলেন মোহামেডানের অধিনায়ক তাওহীদ হৃদয়। অথচ অজানা কারণে কমিয়ে দেওয়া হয় তার নিষেধাজ্ঞা। কীভাবে নিষেধাজ্ঞা কমল তা নিয়েও আছে ধোঁয়াশা।
‘বিতর্কিত’ ওই হৃদয় এবং অভিজ্ঞ ব্যাটার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ব্যাটে গুলশান ক্রিকেট ক্লাবকে ডিপিএলের সুপার লিগে ৫ উইকেটে হারিয়েছে মোহামেডান। দিনের অন্য ম্যাচে গাজী গ্রুপের এনামুল হক বিজয় সেঞ্চুরি করলেও ১০ রানের জয় তুলে নিয়েছে আবাহনী লিমিটেড।
বুধবার বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে মোহামেডানের বিপক্ষে শুরুতে ব্যাট করে ৪৭.৪ ওভারে ২২৪ রান করে অলআউট হয়ে যায় গুলশান। দলটির লোয়ার মিডল অর্ডার ব্যাটার শাকিল হোসেন ৫৭ রান করেন। জবাবে মোহামেডান ৪৬.৪ ওভারে জয় তুলে নেয়। চারে নেমে হৃদয় ৮৫ বলে ৬২ রান করেন। রিয়াদ ১০৩ বলে ৭১ রান করে আউট হন। আরিফুল ২৫ রান করে ম্যাচ জেতান।
শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে আবাহনী ১৬ বল থাকতে ২৪৯ রান করে অলআউট হয়। দলটির ওপেনার শাহরিয়ার কমল ১০০ বল খেলে ৯৫ রান করেন। পারভেজ ইমন ও মিডলে মেহরব হোসেন ৪৫ করে রান যোগ করেন। জবাব দিতে নেমে এনামুল হক বিজয় লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটের ৫১তম সেঞ্চুরি তুলে নেন। তিনি খেলেন ১১৩ বলে ১০৮ রানের ইনিংস।
দলের অন্যরা ব্যর্থ হওয়ায় হেরেছে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। গাজী গ্রুপের হয়ে ওয়াসি সিদ্দিকী দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেন। শামসুর রহমান ২৭ রান যোগ করেন। তাদের ধসিয়ে দিতে মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী ৩টি এবং রিপন মন্ডল ও মোসাদ্দেক দুটি করে উইকেট নেন।