২০০ বছর আগে নীল রঙের সূর্য দেখেছিল বিশ্ববাসী
Published: 12th, January 2025 GMT
সূর্যকে কেউ লাল, হলুদ বা কমলা রঙে দেখে থাকে। আসলে সূর্য নানা রঙের মিশ্রণের কারণে সাদা দেখায়। কিন্তু ২০০ বছর আগে পৃথিবীবাসী সূর্যকে একবার নীল রঙে দেখেছিল। কিন্তু কেন? এ রহস্যের কিনারা এত দিন করতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। সাম্প্রতিক এক গবেষণার পর স্কটল্যান্ডের বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, ২০০ বছর আগের সেই রহস্যের সমাধান করতে পেরেছেন।
স্কটল্যান্ডের সেইন্ট অ্যান্ড্রুজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা বলছেন, ১৮৩১ সালে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে সূর্যের রং পরিবর্তন দেখানোর পেছনে ছিল বিশাল আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনা। অগ্ন্যুৎপাতের ফলে রাসায়নিক সালফার ডাই-অক্সাইডের ব্যাপক ধোঁয়া সৃষ্টি হয়, যা বায়ুমণ্ডলে ছড়িয়ে যায়। এতে ওই বছর বিশ্বের উষ্ণতা কমে যায়। এ ঘটনার ফলে শীতল পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে নানা উদ্ভট জলবায়ু পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল।
গবেষণাসংক্রান্ত নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে ‘প্রসিডিংস অব দ্য ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সেস’ (পিএনএএস) শীর্ষক সাময়িকীতে। নিবন্ধে বলা হয়, রাশিয়া ও জাপানের মধ্যকার প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ অঞ্চল শিমুশির দ্বীপে জাভারিতস্কি আগ্নেয়গিরি থেকে অগ্ন্যুৎপাত হয়েছিল, যা পৃথিবী বদলে দিয়েছিল।
গবেষকেরা ১৯৩১ সাল থেকে বরফের স্তর বিশ্লেষণ করে তাঁদের গবেষণার ফলের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তাঁরা অবশ্য বলেন, ১৮৩১ সালের ওই ঘটনা সরাসরি পর্যবেক্ষণের কোনো লিখিত নথি নেই। কারণ, ওই আগ্নেয়গিরির ওই এলাকা ছিল প্রত্যন্ত ও মানববসতিহীন।
গবেষণা নিবন্ধের সহকারী লেখক উইল হাচিনসন এক বিবৃতিতে বলেন, পরীক্ষাগারে আগ্নেয়গিরি ও বরফের স্তর এ দুই ধরনের ছাই নিয়ে বিশ্লেষণ করা হয়। এরপরই সেই অভাবনীয় মুহূর্তের খোঁজ পাওয়া যায়।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’