সরাসরি রপ্তানিকারকের স্বীকৃতি চায় গার্মেন্টস অ্যাকসেসরিজ শিল্প
Published: 11th, January 2025 GMT
বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যাকসেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএপিএমইএ) সরকারের কাছে গার্মেন্টস অ্যাকসেসরিজ ও প্যাকেজিং শিল্পকে সরাসরি রপ্তানিকারকের স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানিয়েছে। সংগঠনটির নেতারা বলছেন, প্রায় ৮৫০ কোটি ডলারের পণ্য সরাসরি রপ্তানির পরও সরকার এই শিল্পকে সহযোগী খাত হিসেবে বিবেচনা করছে। তাই এখন সময় এসেছে এ শিল্পের উদ্যোক্তাদের সরাসরি রপ্তানিকারকের স্বীকৃতি দেওয়ার।
রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) আজ শনিবার চার দিনব্যাপী দুটি প্রদর্শনীর সমাপনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যাকসেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন বা বিজিএপিএমইএর সভাপতি মো.
অনুষ্ঠানে বিজিএপিএমইএর সভাপতি বলেন, ‘তৈরি পোশাক, ওষুধসহ বিভিন্ন পণ্যে ব্যবহৃত অ্যাকসেসরিজ ও প্যাকেজিং পণ্য রপ্তানি করে আমরা ৮৫০ কোটি ডলার আয় করছি। অথচ সরকার আমাদের এখনো সহযোগী খাত হিসেবেই বিবেচনা করছে। সরাসরি রপ্তানিকারকের স্বীকৃতি ও নীতি সহায়তা পেলে বিশ্ববাজারে আমরা আরও ভালো অবস্থান তৈরি করতে পারব।’ তিনি আরও বলেন, কোনো ধরনের শ্রম অসন্তোষ ছাড়াই এই খাতে প্রায় ৮ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে।
বিজিএপিএমইএর সভাপতির দাবির পরিপ্রেক্ষিতে অনুষ্ঠানে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, সঠিক তথ্য পেলে এই খাতের স্বীকৃতি ও সমস্যাগুলো সমাধানে ইপিবির পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা হবে।
অনুষ্ঠানে সংগঠনটির সাবেক সভাপতি মতিউর রহমান বলেন, ‘অতীতে বিভিন্ন সময়ে সরকারের দপ্তরে গিয়ে আমরা আমাদের সমস্যার কথা তুলে ধরেছিলাম, কিন্তু সমাধান হয়নি। আমাদের বিভিন্ন নীতিনির্ধারণী সভায় অন্তর্ভুক্ত করলে ব্যবসাসহায়ক পরিবেশ তৈরি হবে।’
বিজিএপিএমইএ ও এএসকে ট্রেড শো অ্যান্ড এক্সিবিশন প্রাইভেট লিমিটেডের যৌথ আয়োজনে আইসিসিবির আটটি হলে আয়োজিত দুটি প্রদর্শনীতে বিশ্বের ২৫টি দেশের প্রায় ৫০০ প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। প্রদর্শনীতে গার্মেন্টস পণ্য, প্যাকেজিং সামগ্রী, সুতা, বোতাম এবং টেক্সটাইল মেশিনারিজ প্রদর্শিত হয়।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
কারিগরি শিক্ষার্থীরা আন্দোলন সাময়িক স্থগিত করলেন
৬ দফা দাবি পূরণে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আশ্বাস পেয়ে চলমান আন্দোলন সাময়িক স্থগিত করেছেন কারিগরি শিক্ষার্থীরা। আজ মঙ্গলবার রাত আটটার দিকে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায় আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া সংগঠন কারিগরি ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ।
সংগঠনটি সংবাদ সম্মেলনে জানায়, আন্দোলনের যৌক্তিকতা বিবেচনায় নিয়ে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্প্রতি সচিবালয়ে এক অফিস আদেশের মাধ্যমে একটি কমিটি গঠন করেছে, যা শিক্ষার্থীদের ৬ দফা বাস্তবায়নের রূপরেখা প্রণয়নের লক্ষ্যে কাজ করবে। একই সঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রণালয় একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আন্দোলনকারীদের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করেছে ও রূপরেখা প্রণয়নে ৩ সপ্তাহ সময় চেয়েছে।
আরও পড়ুনকারিগরি শিক্ষার্থীদের দাবি কী, পূরণে বাধা কোথায়, কী চিন্তা করছে সরকার২১ এপ্রিল ২০২৫সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি সমর্থন জানিয়ে শিক্ষার্থীরা সাময়িকভাবে আন্দোলন স্থগিত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন বলে সংগঠনটি জানায়। তবে তাঁদের ৬ দফা দাবির বাস্তবায়ন ও কারিগরি সংস্কার কমিশন গঠনে গড়িমসি দেখা গেলে পুনরায় বিক্ষোভ ও আন্দোলন করা হবে।
পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের ছয় দফা দাবির মধ্যে প্রথমটি হলো, জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের ৩০ শতাংশ পদোন্নতি কোটা বাতিল করতে হবে। এ ছাড়া জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের পদোন্নতির রায় বাতিল, ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের পদবি পরিবর্তন, মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের চাকরিচ্যুত, ২০২১ সালে নিয়োগ পাওয়া ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের নিয়োগ বাতিল এবং সেই বিতর্কিত নিয়োগবিধি অবিলম্বে সংশোধন করতে হবে।
এসব দাবিতে বেশ কিছুদিন ধরে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় কারিগরি শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করে আসছিলেন। এর ফলে জনদুর্ভোগ তৈরি হয়।
আরও পড়ুনপলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের ৬ দফা দাবি বাস্তবায়নে ৮ সদস্যের কমিটি৩ ঘণ্টা আগে