ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটির ভিডিও প্রকাশ
Published: 11th, January 2025 GMT
ইরানে একটি ভূগর্ভস্থ ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটির ভিডিও প্রকাশ করেছে দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেল। ঘাঁটিটিতে ইরানের প্রভাবশালী ইসলামি বিপ্লবী গার্ড কোরের (আইআরজিসি) প্রধান হোসেইন সালামিকে পরিদর্শন করতে দেখা গেছে। ওই ঘাঁটি থেকে ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিল তেহরান। ঘাঁটিটি পার্বত্য অঞ্চলে অবস্থিত। তবে ভিডিওতে সেটির সুনির্দিষ্ট অবস্থান জানানো হয়নি।
গত শুক্রবার ঘাঁটির ভিডিও প্রকাশের কয়েক ঘণ্টা আগে তেহরানের সড়কে ভারী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে কুচকাওয়াজ করেন আইআরজিসি–সংশ্লিষ্ট আধা সামরিক বাহিনী বাসিজের সদস্যরা। কুচকাওয়াজে বিভিন্ন ‘হুমকি’ মোকাবিলায় তাঁদের প্রস্তুতির জানান দেওয়া হয়। ইরানের টেলিভিশনের সম্প্রচারিত ভিডিওতে বলা হয়েছে, ভূগর্ভস্থ ওই ঘাঁটিতে বেশ কয়েক ডজন বিভিন্ন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে।
গত বছর ইসরায়েলে হামলা চালানোর সময় ওই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ব্যবহার করা হয়েছিল। মধ্যপ্রাচ্যে তেহরান–সংশ্লিষ্ট একটি সশস্ত্র গোষ্ঠীর নেতাকে হত্যার প্রতিশোধে গত অক্টোবরে ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিল ইরান।
এদিকে এমন সময় ঘাঁটিটির ভিডিও সামনে আনা হলো এবং কুচকাওয়াজ করা হলো, যখন কিছুদিন বাদেই যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায় বসতে যাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর আগে প্রথম মেয়াদে তাঁর নির্দেশে আইআরজিসি–প্রধান কাশেম সোলাইমানিকে হত্যা করা হয়। এ ছাড়া সে সময় ইরানের ওপর বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞাও দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’