ইরানে একটি ভূগর্ভস্থ ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটির ভিডিও প্রকাশ করেছে দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেল। ঘাঁটিটিতে ইরানের প্রভাবশালী ইসলামি বিপ্লবী গার্ড কোরের (আইআরজিসি) প্রধান হোসেইন সালামিকে পরিদর্শন করতে দেখা গেছে। ওই ঘাঁটি থেকে ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিল তেহরান। ঘাঁটিটি পার্বত্য অঞ্চলে অবস্থিত। তবে ভিডিওতে সেটির সুনির্দিষ্ট অবস্থান জানানো হয়নি।

গত শুক্রবার ঘাঁটির ভিডিও প্রকাশের কয়েক ঘণ্টা আগে তেহরানের সড়কে ভারী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে কুচকাওয়াজ করেন আইআরজিসি–সংশ্লিষ্ট আধা সামরিক বাহিনী বাসিজের সদস্যরা। কুচকাওয়াজে বিভিন্ন ‘হুমকি’ মোকাবিলায় তাঁদের প্রস্তুতির জানান দেওয়া হয়। ইরানের টেলিভিশনের সম্প্রচারিত ভিডিওতে বলা হয়েছে, ভূগর্ভস্থ ওই ঘাঁটিতে বেশ কয়েক ডজন বিভিন্ন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে।

গত বছর ইসরায়েলে হামলা চালানোর সময় ওই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ব্যবহার করা হয়েছিল। মধ্যপ্রাচ্যে তেহরান–সংশ্লিষ্ট একটি সশস্ত্র গোষ্ঠীর নেতাকে হত্যার প্রতিশোধে গত অক্টোবরে ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিল ইরান।

এদিকে এমন সময় ঘাঁটিটির ভিডিও সামনে আনা হলো এবং কুচকাওয়াজ করা হলো, যখন কিছুদিন বাদেই যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায় বসতে যাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর আগে প্রথম মেয়াদে তাঁর নির্দেশে আইআরজিসি–প্রধান কাশেম সোলাইমানিকে হত্যা করা হয়। এ ছাড়া সে সময় ইরানের ওপর বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞাও দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

নয়াদিল্লিতে বিজিবি ও বিএসএফের মহাপরিচালক পর্যায়ে বৈঠক ফেব্রুয়ারিতে

বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি এবং ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের মধ্যে মহাপরিচালক (ডিজি) পর্যায়ের বৈঠক ১৭ থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত হবে। শুক্রবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধির জয়সওয়াল জানিয়েছেন, আলোচনায় সীমান্ত-সম্পর্কিত সব বিষয়ের উপর আলোকপাত করা হবে এবং পারস্পরিক সম্মত সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) ও চুক্তিগুলোকে ‘সম্মান’ করার গুরুত্বের উপর জোর দেওয়া হবে।

সাপ্তাহিক প্রেস ব্রিফিংয়ে জয়সওয়াল বলেন, ‘২০২৫ সালের ১৭ থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি নয়াদিল্লিতে বিএসএফ ও বিজিবির মধ্যে ডিজি পর্যায়ের আলোচনা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এই আলোচনায় সীমান্ত সম্পর্কিত সব বিষয় নিয়ে আলোচনা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। আমরা আশা করি পারস্পরিকভাবে সম্মত সব সমঝোতা স্মারক ও চুক্তিকে সম্মান জানানো হবে। এগুলো দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে কাঠামোগত সম্পৃক্ততার ভিত্তি এবং সীমান্তে পারস্পরিকভাবে উপকারী নিরাপত্তা ও বাণিজ্য অবকাঠামো তৈরিতে সহায়তা করে।”

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ