মেসিকে ইউরোপেও খেলার সুযোগ করে দিতে চায় মায়ামি
Published: 11th, January 2025 GMT
লিওনেল মেসি কি আবারও ইউরোপে ফিরতে যাচ্ছেন? সংবাদমাধ্যম এসবি নেশনের খবর সত্যি হলে এ বছরের শেষ দিকে তেমন কিছুই হতে চলেছে। যদিও মেসির ইউরোপ প্রত্যাবর্তন খুব সরল নয়।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, এ বছর চুক্তি শেষ হতে যাওয়া মেসিকে নতুন করে চুক্তির প্রস্তাব দেবে ইন্টার মায়ামি। সেই চুক্তির শর্তে মেসিকে ২০২৫ সালে মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) মৌসুম শেষ করে ইউরোপে খেলার অনুমতি দেওয়া হবে।
প্রতিবছর এমএলএসের মৌসুম শুরু হয় ফেব্রুয়ারিতে। আর শেষ হয় ডিসেম্বরে। এখন সম্ভাব্য নতুন চুক্তি অনুযায়ী মেসি চাইলে ডিসেম্বরে ইউরোপিয়ান কোনো ক্লাবে ধারে যোগ দিতে পারবেন। মূলত ২০২৬ বিশ্বকাপ সামনে রেখে মেসিকে প্রস্তুতির সুযোগ করে দিতেই চুক্তির প্রস্তাবের ব্যবস্থা রাখছে মায়ামি। ৩৭ বছর বয়সী আর্জেন্টাইন মহাতারকা অবশ্য এখনো নতুন চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেননি।
আরও পড়ুনবিশ্রামের ফাঁকে ফাঁকে খেলাটাই এখন মেসির নিয়তি০৯ অক্টোবর ২০২৪ইন্টার মায়ামি মেসির জন্য চুক্তির প্রস্তাবে যে ধারাটি রাখতে চলেছে, সেটি মেজর লিগ সকার কর্তৃক অনুমোদিত। কোনো ফুটবলার লিগটিতে দুই বছর খেলে ফেলার পর তাঁকে সাময়িক সময়ের জন্য ধারে পাঠাতে পারে ক্লাব।
২০২৬ বিশ্বকাপেও খেলার অপেক্ষায় লিওনেল মেসি.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ইতালির কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে দুইজনকে গুলি করে হত্যা
ইতালির কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে ফরিদপুরের দুই যুবককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এমনকি হত্যার পর পরিবারের সদস্যদের হোয়াটসঅ্যাপে তাদের ছবি পাঠানো হয়।
নিহত দুই যুবক হলেন- ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের কুমারখালী গ্রামের মিন্টু হাওলাদারের ছেলে হৃদয় হাওলাদার (২৪) ও মজিবর হাওলাদারের ছেলে রাসেল হাওলাদার (২৬)।
হৃদয়ের বাবা মিন্টু হাওলাদার বলেন, দু’মাস আগে স্থানীয় আবু তারা মাতুব্বর, আলমাছ ও আনোয়ারের মাধ্যমে ১৬ লাখ টাকা দিয়ে ছেলেকে বিদেশ পাঠাই। ছেলেকে প্রথমে দুবাই সেখান থেকে সৌদি আরব তারপর লিবিয়া নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে হৃদয়কে হত্যা করা হয়েছে।
হৃদয়ের বড় ভাই মোখলেছুর রহমান বলেন, ৪/৫ দিন ধরে হৃদয়ের কোন খোঁজ পাচ্ছিলাম না। দালালরা শুক্রবার দুপুরে আমার ভাইয়ের লাশের ছবি পাঠিয়েছে। ১৬ লাখ টাকা দেওয়ার পরও বিদেশ থেকে ফোন করে আরও টাকা দাবি করছিল পাচারচক্র। টাকা না দেওয়ায় ওরা আমার ভাইকে খুন করেছে।
একই গ্রামের ফয়সাল হোসেন বলেন, রাসেল নামের আরও একজনকেও লিবিয়াতে হত্যা করা হয়েছে। ওরা একই গ্রামের বাসিন্দা। ওই মানবপাচার চক্র এভাবে মানুষকে জিম্মি করে টাকা আদায় করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে। টাকা না দিলেই তাদের সাথে খারাপ কিছু ঘটানো হয়। কখনও নির্যাতন করে আবার কখনও হত্যা করে।
ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার ওসি মো. মোকসেদুর রহমান বলেন, ভাঙ্গার দুটি ছেলেকে লিবিয়ায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে শুনেছি। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় এখনও লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়নি। ওই পরিবারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। তাদের সঙ্গে আলোচনা করে দালালচক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।