বিশ্বদরবারে বাংলাদেশের সংগ্রামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি তুলে ধরার আহ্বান জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম। চলচ্চিত্রশিল্পকে সমৃদ্ধ করতে সরকার সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।

রাজধানীর জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে আজ শনিবার বিকেলে রেইনবো চলচ্চিত্র সংসদের উদ্যোগে আয়োজিত ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তথ্য উপদেষ্টা এ কথা বলেন। আজ তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।

তথ্য উপদেষ্টা বলেন, ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব সাংস্কৃতিক বিনিময়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসেবে কাজ করবে। এর পাশাপাশি এই চলচ্চিত্র উৎসবের মাধ্যমে বাংলাদেশের নতুন প্রজন্ম আন্তর্জাতিক মানের চলচ্চিত্র সম্পর্কে ধারণা লাভের সুযোগ পাবে।

বাংলাদেশের শিল্প-সংস্কৃতির বিকাশে চলচ্চিত্রের ভূমিকা উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, চলচ্চিত্র শুধু বিনোদনের মাধ্যম নয়; চলচ্চিত্র সামাজিক পরিবর্তনেরও গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক।

জুলাই গণ–অভ্যুত্থান প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় এই অভ্যুত্থানের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তিনি জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের ওপর চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য চলচ্চিত্র নির্মাতাদের প্রতি আহ্বান জানান।

বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান জালাল আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন ও উৎসব পরিচালক আহমেদ মুজতবা জামাল।

উল্লেখ্য, ৯ দিনব্যাপী (১১-১৯ জানুয়ারি) আন্তর্জাতিক এই চলচ্চিত্র উৎসবে বিশ্বের ৭৫টি দেশের ২২০টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে। এর মধ্যে ৪৪টি চলচ্চিত্র বাংলাদেশের।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বসন্তে ভালোবাসায়

বিশ্বরঙ

বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভ্যালেন্টাইনস ডে বা ভালোবাসা দিবস উদযাপন করা হয়। ঋতুরাজ বসন্তের প্রথম দিনেই ভালোবাসা দিবসে বাঙালি মনের ভালোবাসা প্রকাশেও হয় পবিত্র ফুলে রাঙা আর বাসন্তী মোহে মুগ্ধ। ভালোবাসা দিবসে প্রেমিক যুগলদের মনের এ উচ্ছ্বাসকে কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিতেই ফ্যাশন ব্র্যান্ড ‘বিশ্বরঙ’ আয়োজন করেছে ‘ভালোবাসি, ভালোবাসি’ শীর্ষক এক প্রতিযোগিতার। যেখানে প্রেমিক যুগলরা তাদের ছবি পাঠিয়ে জিতে নেবেন আকর্ষণীয় সব পুরস্কার।  ছবি পাঠানোর ঠিকানা: bishworangjugol2025@gmail.com। 
দিবসভিত্তিক সব আয়োজনে ‘বিশ্বরঙ’ বরাবরই অগ্রপথিক। সেই ধারাবাহিকতায় ‘বিশ্বরঙ’-এর  এবারের ভালোবাসা দিবসের আয়োজনে লাল, কমলা, সাদার মিশেলে প্রকৃতি আর ভালোবাসার বিভিন্ন সিম্বলই রয়েছে পোশাক অলংকরণে। শীতের শেষবেলায় পোশাকগুলোয় ব্যবহার করা হয়েছে সুতি ও খাদি কাপড়। ‘বিশ্বরঙ’-এর শাড়ি, থ্রিপিস, পাঞ্জাবি, টি-শার্ট, উত্তরীয়, মগ ইত্যাদিতে তুলে ধরা হয়েছে ফুল, পাতা, গাছসহ প্রকৃতিরই বিভিন্ন অনুষঙ্গ। কাজের মাধ্যম হিসেবে এসেছে টাইডাই, ব্লক, বাটিক, অ্যাপ্লিক, ক্যাটওয়াক, স্ক্রিনপ্রিন্ট ইত্যাদি। ৩০ বছরে দেশব্যাপী ‘বিশ্বরঙ’-এর শোরুমে  শুভানুধ্যায়ীদের পদচারণায় মুখরিত হয়েছে বারবার। শোরুমে গিয়ে কেনাকাটার পাশাপাশি যে কেউ ঘরে বসে অনলাইনে কেনাকাটা করতে পারবেন। 

 

রঙ বাংলাদেশ

প্রতি বছরের মতো বসন্ত উৎসবের রংকে আরও রাঙিয়ে দিতে দেশের অন্যতম ফ্যাশন হাউস ‘রঙ বাংলাদেশ’ এনেছে তাদের নতুন ডিজাইনের বৈচিত্র্যময় পোশাক। দেশীয় সংস্কৃতির সঙ্গে আন্তর্জাতিক মেলবন্ধনের প্রচেষ্টায় এবার বসন্ত উৎসবের পোশাক ডিজাইনে তারা থিম হিসেবে ব্যবহার করেছে ‘আমেরিকান নেটিভ পটারি’ বা আমেরিকান আদিবাসী জনগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের বিভিন্ন নকশাকে; যা সেই অঞ্চলে মূলত মৃৎশিল্পের নকশা হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। নির্দ্বিধায় বলা যায় চিন্তাধারাটি প্রশংসাযোগ্য। হাফসিল্ক, কটন, জ্যাকার্ড কটন, মারসালাইস কটন এবং স্লাব ভিস্কাস কাপড়ে কমলা, গাঢ় হলুদ, হালকা হলুদ, অলিভ আর সাদা রঙের ব্যবহার। একই সঙ্গে আরাম ও টেকসই। রঙ বাংলাদেশে রয়েছে– শাড়ি, থ্রিপিস, সিঙ্গেল কামিজ, টপস, রেডি ব্লাউজ, সিঙ্গেল ওড়না, টিউনিক, স্কার্ট, পাঞ্জাবি, শার্ট, টি-শার্ট, বাচ্চাদের পোশাক, মগসহ অন্যান্য সামগ্রী। 
বসন্ত উৎসবকে ঘিরে যে কোনো অনুষ্ঠানের জন্য সবাই মিলে একইরকম পোশাক সুলভ মূল্যে অর্ডার করতে পারেন। রঙ বাংলাদেশের সব আউটলেটেই পাওয়া যাচ্ছে বসন্ত উৎসবের আয়োজন। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানটির অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকেও কেনা যাবে পছন্দের পণ্য। 

 

কে ক্র্যাফট

বসন্ত উৎসব বাঙালির প্রিয় উৎসবগুলোর মধ্যে একটি। বসন্তে প্রকৃতি যেমন ফুলেল উৎসবে নতুনভাবে সেজে ওঠে, তেমনি উৎসবপ্রিয় বাঙালিও বসন্তের প্রথম দিনটি উদযাপন করে বাহারি রঙের সাজপোশাকে। পহেলা ফাল্গুন ও ভালোবাসা দিবস একই দিনে হওয়ায় সাজপোশাক নির্বাচনে একটু দ্বিধায় পড়তে হয়। সমসাময়িক মোটিফ এবং প্রিন্টের পাশাপাশি প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে বিশেষভাবে বাছাই করা ডিজাইন, প্যাটার্ন ও রং। এবারের আয়োজনে সুতি কাপড়কেই বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। নকশা ফুটিয়ে তুলতে হাতের কাজ, এমব্রয়ডারি, স্ক্রিন ও ব্লক প্রিন্ট, ডিজিটাল প্রিন্ট এবং টাইডাই মিডিয়ার ব্যবহার হয়েছে। ফ্লোরাল, আলাম, এথনিক, ট্র্যাডিশনাল, জামদানি, ইক্কত, পেইসলে, জ্যামিতিক ইত্যাদি মোটিফে তৈরি মেয়েদের পোশাকের মধ্যে রয়েছে শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ, লং কুর্তি, রেগুলার কুর্তি, টপস, গাউন, কাফতান, টিউনিক, টপস-স্কার্ট। ছেলেদের জন্য রেগুলার ও ফিটেড পাঞ্জাবি, শার্ট, কটি ও শিশুদের জন্য নানা আয়োজন তো থাকছেই। এ ছাড়া যুগলদের জন্য থাকবে বিশেষ পোশাক। কে ক্র্যাফটের সব আউটলেট ছাড়াও দেশ ও দেশের বাইরের যে কোনো প্রান্ত থেকে অনলাইনের মাধ্যমে ফাল্গুন-ভালোবাসা দিবসের পোশাক কিনতে পারেন বিশেষ সাশ্রয়ী মূল্যে। এ ছাড়া ফেসবুক পেজ থেকেও কেনাকাটা করার সুবিধা রয়েছে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রাতভর গানের আয়োজন, গাইবেন করিম শাহাবুদ্দিন, অসিত কুমার ও ফেরদৌস আরা
  • রাতভর গানের আয়োজন
  • তারুণ্যের উৎসবে পিঠাপুলির স্বাদ
  • ঢাকা দক্ষিণে তারুণ্যের উৎসব 
  • গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০ টাকায় মিলছে বোমা পিঠা
  • ঢাকায় পার্বত্য মেলা ও তারুণ্যের উৎসব
  • বশেমুরবিপ্রবিতে তরুণ উদ্যোক্তা উৎসব আয়োজিত  
  • আকিজ কলেজিয়েট স্কুলে বিজ্ঞান মেলা ও বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা
  • সানড্যান্স ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল: স্বল্পদৈর্ঘ্য বিভাগে বিজয়ী হলেন যারা
  • বসন্তে ভালোবাসায়