যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যদের প্রতিরক্ষা ব্যয় ব্যাপকভাবে বাড়াতে দেশটির নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রস্তাব দিয়েছেন। তবে এতে সায় দিচ্ছে না সদস্যদেশগুলো। অবশ্য ব্যয়ের বর্তমান যে লক্ষ্যমাত্রা, তা থেকে বাড়ানোর বিষয়ে এসব দেশ একমত হতে পারে।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও বিশ্লেষকেরা এমনটা মনে করছেন। গত মঙ্গলবার ট্রাম্প বলেন, এই সামরিক জোটের সদস্যদের প্রতিরক্ষা ব্যয় বাড়িয়ে দেশগুলোর জিডিপির (মোট দেশজ উৎপাদন) ৫ শতাংশ করা উচিত। বর্তমানে ন্যাটো সদস্যদের জিডিপির ২ শতাংশ প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয়ের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রসহ কোনো সদস্যদেশই এখন পর্যন্ত এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারেনি।

ন্যাটো সদস্যদেশগুলোর কর্মকর্তারা বলেন, ব্যয় বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে তাঁরা একমত। তবে সেটি জিডিপির ৫ শতাংশ হবে না। এটা রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে অসম্ভব বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

শ্রমিকদের যৌক্তিক দাবিসমূহ বাস্তবায়নে সরকার কাজ করে যাচ্ছে

গার্মেন্টস-সহ বিভিন্ন শিল্প কলকারখানার শ্রমিকদের পাওনা বেতন ভাতাদিসহ যৌক্তিক দাবিসমূহের ব্যাপারে সরকার অত্যন্ত আন্তরিক ও একমত। শ্রমিকদের যৌক্তিক দাবিসমূহ বাস্তবায়নে সরকার কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। 

আজ বৃহস্পতিবার গার্মেন্টসসহ বিভিন্ন শিল্প কলকারখানায় সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ বজায় রাখা এবং দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে এসব কথা বলা হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘গার্মেন্টসসহ বিভিন্ন শিল্প কলকারখানার শ্রমিকদের পাওনা বেতনভাতাদিসহ যৌক্তিক দাবিসমূহের ব্যাপারে সরকার অত্যন্ত আন্তরিক ও একমত। শ্রমিকদের যৌক্তিক দাবিসমূহ বাস্তবায়নে সরকার কাজ করে যাচ্ছে এবং এ ব্যাপারে সরকারের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এ বিষয়ে মালিকপক্ষ ও বিজিএমইএকে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে এবং তাদের কর্মকাণ্ড মনিটর করা হচ্ছে।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘তবে অন্যায্য ও অযৌক্তিক দাবির নামে গার্মেন্টস শিল্পে অস্থিরতা সৃষ্টি, অবরোধ করে যান চলাচল বন্ধ, নৈরাজ্য ও সহিংসতা কোনোভাবেই কাম্য নয় এবং তা কখনোই মেনে নেওয়া হবে না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় সরকার তা কঠোরভাবে প্রতিহত করবে। গার্মেন্টসসহ বিভিন্ন শিল্প কলকারখানায় সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ বজায় রাখা এবং দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে সরকার এ বিষয়ে মালিকপক্ষ ও শ্রমিকপক্ষ উভয়ের সহযোগিতা কামনা করছে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সম্পর্ক আরো জোরদারে একমত বাংলাদেশ-চীন
  • রাষ্ট্রের নাম বদলে আপত্তি এনসিপির, মূলনীতি পরিবর্তনে একমত
  • সম্পর্ক আরও গভীর করবে ঢাকা-বেইজিং
  • শ্রমিকদের যৌক্তিক দাবিসমূহ বাস্তবায়নে সরকার কাজ করে যাচ্ছে