Prothomalo:
2025-03-03@20:04:11 GMT

পার্টি আর নির্ঘুম রাতের শহর

Published: 11th, January 2025 GMT

বাহারি পোশাকে আনন্দ–উল্লাস করছে তরুণ–তরুণীর দল। রাতভর চলছে তাঁদের উদ্‌যাপন। দিনে নয়; রাতেই বরং শহরটি বেশি প্রাণচঞ্চল হয়ে ওঠে। সব শুনে মনে হতে পারে ইউরোপ অথবা আমেরিকার কোনো শহর হবে হয়তো। কিন্তু রাতভর পার্টি আর নির্ঘুম রাতের এই শহরের অবস্থান আফ্রিকায়। পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজেরিয়ার সবচেয়ে বড় এ শহরের নাম লাগোস।

শীতকালে বিশ্বজুড়ে পর্যটকদের কাছে অন্যতম আকর্ষণীয় একটি স্থান হয়ে উঠছে লাগোস। উৎসব, সৈকতে পার্টির পাশাপাশি ফ্যাশন অনুষঙ্গ যুক্ত হয়ে দিন দিন লাগোস হয়ে উঠেছে উদ্‌যাপনের এক নগরী। বিশেষ করে ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারির প্রথমার্ধে পর্যটকদের যেন ঢল নামে সেখানে। এ সময়কাল ‘ডেটি ডিসেম্বর’ নামে পরিচিতি পেয়েছে।

লাগোসে অনুষ্ঠান আর আয়োজন সব সময় লেগেই থাকে। এসব অনুষ্ঠানে আফ্রিকার প্রখ্যাত সংগীতশিল্পীদের পাশাপাশি হামেশাই বিভিন্ন দেশ থেকে শিল্পীরা যোগ দেন। শুধু বদ্ধ জায়গাতেই থেমে থাকে না এ উৎসব-উদ্‌যাপন। ডিসেম্বর এলেই দেখা যায়, শহরটির সড়কগুলোতে রঙিন পোশাকে গান ও নানা বাদ্যযন্ত্রের তালে হাজারো মানুষ আনন্দ–উল্লাস করছেন।

নাইজেরিয়া থেকে যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমিয়েছেন সিনথিয়া এনিওলা। তবে ডিসেম্বর এলেই পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে মিলিত হতে তিনি ছুটে যান লাগোসে। সিনথিয়া বলেন, ‘জন্মভূমিতে ফিরে যাওয়া আমার কাছে সব সময়ই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে ডিসেম্বরে। কারণ, এই সময়ে সেখানে প্রত্যেকেই নানা উৎসব আয়োজনে যোগ দেন। এমন কোনো মানুষ পাওয়া যায় না, যাঁরা উৎসবে যুক্ত হন না।’

শুধু পশ্চিমা দেশগুলোর পর্যটক বা প্রবাসী নাইজেরিয়ানরাই নন, আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের মানুষের একটি অন্যতম পছন্দের গন্তব্য হয়ে উঠেছে লাগোস। জিনিসপত্রের দাম কম ও থাকা–খাওয়ার খরচ কম হওয়ায় লাগোসে যাওয়ার জন্য পর্যটকদের আগ্রহও বেশি।

ডেটি ডিসেম্বর এখন আর কোনো মামুলি উৎসবের মৌসুমে আটকে নেই। সমাজের সব স্তরের মানুষের কাছে আফ্রিকার ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির সঙ্গে দিনযাপনের সুযোগ করে দিয়েছে লাগোস।

লাগোসের উদ্‌যাপনের নগরী হয়ে ওঠার নেপথ্যে নাইজেরিয়ার জনমিতির বিষয়টিও আলোচনায় আসছে। জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের (ইউএনএফপিএ) দেওয়া হিসাবে, দেশটির মোট জনসংখ্যার ৩ ভাগের ২ ভাগের বয়স ২৫ বছরের কম। যেসব দেশে তরুণদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি, তার একটি হলো নাইজেরিয়া।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

মুনীর চৌধুরী জাতীয় নাট্য উৎসবের মঞ্চে ‘ইংগিত’

মুনীর চৌধুরী জাতীয় নাট্য উৎসবে ৬৩ জেলা হতে নির্বাচিত ১৬ নাটক নিয়ে ঢাকায় জাতীয় নাট্যশালায় উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির প্রশিক্ষণ বিভাগের আয়োজনে উৎসবের শেষ দিনে (শুক্রবার) মঞ্চায়ন করা হয় নাটক ‘ইংগিত’।

‘ইংগিত’র নাট্য ভাবনা, পরিকল্পনা, আলো ও নির্দেশনায় ছিলেন সুবীর মহাজন। সহকারী নির্দেশনায় আছাদ বিন রহমান ও পরিবেশনায় ছিল বান্দরবান পার্বত্য জেলা শিল্পকলা একাডেমি। বান্দরবানের বসবাসরত বিভিন্ন ভাষার জনগোষ্ঠীর মানুষ এত অংশ নেন।

নাটকের গল্পে দেখা যায়, পারিপার্শ্বিক অবস্থার কারণে তরুণদের বড় একটি অংশ হতাশায় নিমজ্জিত। অথচ তারুণ্যই বারবার পথ খুঁজে দিয়েছে। বহুভাষার মানুষের জেলা বান্দরবানের এক তরুণ বর্তমানের নানা পারিপার্শ্বিকতায় ক্লান্ত হয়ে যখন ঘুমের রাজ্যে, ঠিক তখন তার চোখ জুড়ে ফিরে আসে শৈশব-কৈশোর। ক্লান্ত শরীর তাকে ফিরিয়ে নিয়ে আসে বাস্তবে। স্বপ্নের ঘোরে সে ঘুরে বেড়ায় প্রকৃতির রাজ্য বান্দরবানে, যেখানে রয়েছে জীবন ও সংস্কৃতির বৈচিত্র্যময় বিশাল ভাণ্ডার। ঘুম তাকে ফিরিয়ে দেয় সোনালী সময়। যখন বর্তমানে ফিরে আসে নানা জটিলতায় আবদ্ধ হয়ে পড়ে। সিস্টেম নামে এক জগদ্দল পাথর সরাতে চায় সে। পাহাড় আর সমতলকে সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যতার এক সুতায় মেলবন্ধন ঘটাতে যে বদ্ধ পরিকর।

১৫ দিনব্যাপী কর্মশালার মধ্যে দিয়ে নাটকটি নির্মাণ করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অস্কার: সেরা সিনেমা ‘আনোরা’
  • সেরা সিনেমা ‘আনোরা’
  • আইকিউএয়ার সূচকে আজ বায়ুদূষণে শীর্ষে ঢাকা, দিল্লি তৃতীয়
  • টিএসসিতে সংগীত উৎসব
  • রমজানে গাজায় সাময়িক যুদ্ধবিরতি নিয়ে মার্কিন প্রস্তাবে রাজি ইসরায়েল
  • মুনীর চৌধুরী জাতীয় নাট্য উৎসবের মঞ্চে ‘ইংগিত’