ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে হ্যারি-মেগান
Published: 11th, January 2025 GMT
লস অ্যাঞ্জেলেসের দাবানলে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়িয়েছেন প্রিন্স হ্যারি ও তাঁর স্ত্রী মেগান মার্কেল। আর্চওয়েলে ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে ত্রাণ কার্যক্রমে সহায়তা করছেন। তাঁদের পক্ষ থেকে ঘরবাড়ি ছাড়তে বাধ্য হওয়া লোকজনকে আশ্রয় দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। নিজেদের বাড়ির দরজাও খোলা রাখার কথা বলেছেন তাঁরা। হ্যালো ম্যাগাজিনের এক প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রিন্স হ্যারি ও মেগান আর্চওয়েল ফাউন্ডেশনের সদস্যদের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে কাজ করছেন। তাঁরা নিজেদের পোশাক, শিশুদের নানা উপকরণসহ ত্রাণকার্যে উপযোগী নানা সরঞ্জাম দান করেছেন। এ ছাড়া খাবারের ব্যবস্থা করতে ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেন নামের সংস্থার সঙ্গে কাজ করছেন।
হ্যারি ও মেগান ডিউক অব সাসেক্স ও ডাচেস অব সাসেক্স হিসেবেও পরিচিত। ২০২০ সালে রাজকীয় জীবন ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় পাড়ি জমান হ্যারি-মেগান দম্পতি। তাঁরা ক্যালিফোর্নিয়ার মন্টেসিটো এলাকায় বসবাস করেন। সেখানে দাবানলের প্রভাব পড়েনি।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ইতালির কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে দুইজনকে গুলি করে হত্যা
ইতালির কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে ফরিদপুরের দুই যুবককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এমনকি হত্যার পর পরিবারের সদস্যদের হোয়াটসঅ্যাপে তাদের ছবি পাঠানো হয়।
নিহত দুই যুবক হলেন- ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের কুমারখালী গ্রামের মিন্টু হাওলাদারের ছেলে হৃদয় হাওলাদার (২৪) ও মজিবর হাওলাদারের ছেলে রাসেল হাওলাদার (২৬)।
হৃদয়ের বাবা মিন্টু হাওলাদার বলেন, দু’মাস আগে স্থানীয় আবু তারা মাতুব্বর, আলমাছ ও আনোয়ারের মাধ্যমে ১৬ লাখ টাকা দিয়ে ছেলেকে বিদেশ পাঠাই। ছেলেকে প্রথমে দুবাই সেখান থেকে সৌদি আরব তারপর লিবিয়া নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে হৃদয়কে হত্যা করা হয়েছে।
হৃদয়ের বড় ভাই মোখলেছুর রহমান বলেন, ৪/৫ দিন ধরে হৃদয়ের কোন খোঁজ পাচ্ছিলাম না। দালালরা শুক্রবার দুপুরে আমার ভাইয়ের লাশের ছবি পাঠিয়েছে। ১৬ লাখ টাকা দেওয়ার পরও বিদেশ থেকে ফোন করে আরও টাকা দাবি করছিল পাচারচক্র। টাকা না দেওয়ায় ওরা আমার ভাইকে খুন করেছে।
একই গ্রামের ফয়সাল হোসেন বলেন, রাসেল নামের আরও একজনকেও লিবিয়াতে হত্যা করা হয়েছে। ওরা একই গ্রামের বাসিন্দা। ওই মানবপাচার চক্র এভাবে মানুষকে জিম্মি করে টাকা আদায় করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে। টাকা না দিলেই তাদের সাথে খারাপ কিছু ঘটানো হয়। কখনও নির্যাতন করে আবার কখনও হত্যা করে।
ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার ওসি মো. মোকসেদুর রহমান বলেন, ভাঙ্গার দুটি ছেলেকে লিবিয়ায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে শুনেছি। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় এখনও লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়নি। ওই পরিবারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। তাদের সঙ্গে আলোচনা করে দালালচক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।