দেশের বাজারে নতুন স্মার্টফোন এনেছে অনার। এক্স৫বি প্লাস মডেলের এই স্মার্টফোনে দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি, সুবিশাল স্টোরেজ, এআই ক্যামেরা ও উন্নত মানের পর্দা রয়েছে। আজ শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে অনার বাংলাদেশ।

সাধারণ ব্যবহারের ক্ষেত্রে নতুন স্মার্টফোনটি একবার চার্জ দিয়ে দুই দিন পর্যন্ত ব্যবহার করা যাবে। স্মার্টফোনটির ৫২০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ারের ব্যাটারির কারণে ফোনটির মিডিয়াটেক হেলিও জি৩৬ প্রসেসর চলবে স্বাচ্ছন্দ্যে। এর ৭৩১ডব্লিউএইচ/এল অ্যানার্জি-ডেন্সের ব্যাটারি ৮.

৭ মিলিমিটার পুরুত্বের ফোনটিতে সহজেই মানিয়ে যায়। ওয়েব ব্রাউজিং হোক কিংবা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের জন্যই হোক, অনার এক্স৫বি প্লাসে চার্জ থাকবে দীর্ঘক্ষণ, একবার চার্জ দিয়ে ফোনটিতে ওয়েব ব্রাউজিং করা যাবে ২২ ঘণ্টা এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করা যাবে ২৩ ঘণ্টা। এ ছাড়া অনারের সুপার পাওয়ার-সেভিং মোডের কারণে ১০ শতাংশ ব্যাটারি অবশিষ্ট থাকা অবস্থাতেও স্মার্টফোনটি ১৯ ঘণ্টার বেশি সময় ‘স্ট্যান্ডবাই’ হিসেবে ব্যবহার করা যাবে।

ফোনটিতে রয়েছে ১২৮ জিবি ইন্টারনাল মেমোরি, যেখানে ব্যবহারকারীরা ৬০ হাজারের বেশি ছবি ও ২৪ হাজারের বেশি গান কিংবা ২০০টির বেশি সিনেমা রাখতে পারবেন। ফোনটিতে রয়েছে র‍্যাম টার্বো প্রযুক্তি, যা ফ্ল্যাশ মেমোরি ব্যবহারে ৪ থেকে ৮ জিবি পর্যন্ত র‍্যামের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে।

শুধু ব্যাটারি ও স্টোরেজই নয়, অনার এক্স৫বি প্লাসের উন্নত মাল্টি-ক্যামেরা মোবাইল ফটোগ্রাফিকে নিয়ে যাবে নতুন উচ্চতায়। এর ৫০ মেগাপিক্সেলের এআই আলট্রা-ক্লিয়ার মূল ক্যামেরা ও ৫ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরায় তোলা ছবি এখন আরও ঝকঝকে হবে। ফোনটির এআই অবজেক্ট রিকগনিশন সুবিধা স্বয়ংক্রিয়ভাবে ছবির প্রধান বিষয়বস্তু চিহ্নিত করে। পটভূমিতে থাকা অপ্রয়োজনীয় দৃশ্য দূর করবে, যাতে সহজেই ফোকাস ঠিক রেখে স্পষ্ট ছবি তোলা যায়।

অনার এক্স৫বি প্লাসের ৬.৫৬ ইঞ্চি পর্দা সরাসরি সূর্যের আলোয় স্পষ্ট ছবি দেখাতে পারে। স্মার্টফোনটিতে ই-বুক মোড ও চোখ সুরক্ষিত রাখার সুবিধা রয়েছে। অনার এক্স৫বি প্লাস পাওয়া যাচ্ছে কালো, নীল ও পার্পল রঙে। এর দাম ১২ হাজার ৯৯৯ টাকা।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

দুর্ঘটনায় আহত অভিনেত্রী খুশি, চোখের ওপর পড়েছে ১০ সেলাই

দুর্ঘটনার শিকার হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন ছোটপর্দার অভিনেত্রী শাহনাজ খুশি। বুধবার সকালে রমনা পার্ক থেকে বাড়ি ফেরার সময় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার ধাক্কায় তিনি আহত হন। অভিনেত্রীর ছেলে সৌম্য জ্যোতি সমকালকে বিষয়টি জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, বুধবার সকালে আম্মু রমনা পার্কে হাটতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে বাসায় ফেরার সময় গলির মধ্যে একটি অটোরিকশা তাকে ধাক্কা দিলে আম্মু ছিটকে পড়ে যায় এবং তার ঠিক চোখের ওপর জখম হয়। পরে দ্রুত তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সিটি স্ক্যানসহ বিভিন্ন পরীক্ষা করা হয়েছে। এখন তিনি আপাতত ভালো আছেন।’

এদিকে কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দুর্ঘটনার বিষয়টি জানান শাহনাজ খুশি। সেখানে তিনি বলেন, ‘বেশি না, মাত্র ১০টা সেলাই পড়েছে। এ আর এমন কি বলেন? চোখটা অন্ধ হয় নাই, হয় নাই ব্রেইন হ্যামারেজের মত শেষ অবস্থা! সেটাই তো অনেক বেশি পাওয়া! এ তেমন কিছু না, চোখের উপরের সেনসেটিভ জায়গায় মাত্র ১০ টা সেলাই লেগেছে! আমি যে প্রাণে বেঁচে আছি এ জন্য মহান সৃষ্টিকর্তা কাছে শুকরিয়া আদায় করছি!’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘কিচ্ছু চাই না আমি, শুধু যে মায়েরা/বাবারা ছোট্ট বাচ্চাটার হাত ধরে রাস্তা পার হয়ে স্কুলে আসেন অথবা নানান প্রয়োজনে রাস্তায় যান, তাদের সতর্ক করতে পোস্টটা দিলাম। আমি হয়ত ভেঙেচুরে বেঁচে গেছি। কোন বাচ্চা এ আঘাত নিতে পারবে না! ব্যাটারি চালিত অসভ্য/বর্বর যানবাহনটি এবং তার অসভ্য চালক থেকে সর্বদা সতর্ক থাকবেন। যদিও আমি গলির ভেতরের রাস্তায়, প্রাতঃ ভ্রমণ শেষে অতি সর্তকতার সাথেই একেবারে কিনার দিয়ে হেঁটে ফিরছিলাম! ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে বীরদর্পে চলে গেছে! ওরা মেধাবী যান চালক, কারো জীবনের ক্ষতির তোয়াক্কা করে না! আপনার এবং আপনার সন্তানের দায়িত্ব একান্তই আপনার। আজ চারদিন পরও মাথার অর্ধেকে কোন বোধশক্তি নাই!

সবশেষে তিনি লিখেছেন, ‘জানি না স্বাভাবিক চেহারায় ফিরবো কিনা, সেটা যদিও ফিরি রক্তাক্ত সেই পথে পড়ে থাকা সকালের ট্রমা অনেককাল ভুলবো না! কাতর অবস্থায় বিছানায় পরে থেকে বারবার একটা প্রশ্ন মনে আসছে, এই যে যত্রতত্র কুপিয়ে জখম, ট্রেন-বাস, রিকশা কিংবা প্রাইভেট গাড়িতে দিনেরাতে ছিনতাই। কার কাছে চাইব আমাদের সন্তানদের নিরাপদ পথচলা।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ