সাগর-রুনি হত্যার বিচারসহ নানা দাবিতে রংপুরে সাংবাদিক সমাবেশ
Published: 11th, January 2025 GMT
রংপুরে সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা বিচার, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শহীদ সাংবাদিকদের হত্যার বিচারসহ বিভিন্ন দাবিতে সমাবেশ করেছেন সাংবাদিকেরা। তাঁরা বলেন, সাইবার নিরাপত্তা আইনসহ গণমাধ্যমের স্বাধীনতাবিরোধী সব নিবর্তনমূলক আইন বাতিল, সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, মিথ্যা মামলা ও হয়রানি বন্ধ করতে হবে।
আজ শনিবার রংপুর টাউন হলে দিনব্যাপী সাংবাদিক সমাবেশে এসব দাবি করেন রংপুর বিভাগে কর্মরত সাংবাদিকেরা। রংপুর সাংবাদিক ইউনিয়নের (আরপিইউজে) আয়োজনে সকালে এ সমাবেশের উদ্বোধন করেন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ সাংবাদিক তাহির জামানের (প্রিয়) মা শামসি আরা জামান।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) ওবায়দুর রহমান শাহীন বলেন, গত সাড়ে ১৫ বছর সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে টাকা দেওয়া হলেও সাংবাদিকেরা টাকা পাননি। ফ্যাসিস্ট–বিরোধী লড়াইয়ে যে সাংবাদিকেরা ছিলেন, তাঁরা প্রত্যেকে কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে টাকা পাবেন।
সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী। তিনি বলেন, অধিকাংশ গণমাধ্যম এখন দলীয় লিফলেট কিংবা উদ্দেশ্যমূলক পত্রিকা হিসেবে বের হচ্ছে। এই মিডিয়াগুলোকে ব্যবহার করা হচ্ছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে অথবা ব্যবসায়িক ঢাল হিসেবে। কিন্তু সেটি হওয়ার কথা ছিল না। বাংলাদেশে বাস্তবিক অর্থে যদি বলি, একটি ক্ষমতামুখী সাংবাদিকতা চলছে। যার উদ্দেশ্যে হলো ক্ষমতাশালীদের তোষামোদী করে অর্থবিত্তের মালিক হওয়া।
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহিদুল ইসলাম, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) পরিচালনা পর্ষদের সদস্য মমতাজ শিরিন ভরসা, রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি আমিনুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল প্রমুখ।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন রংপুর সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সালেকুজ্জামান সালেক এবং সঞ্চালনা করেন রংপুর সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সরকার মাজহারুল মান্নান। সরকার মাজহারুল মান্নান গত সরকারের সময়ে রংপুর বিভাগের সাংবাদিকদের নামে হয়রানিমূলক ও মিথ্যা মামলাগুলো প্রত্যাহারের দাবি জানান। একই সঙ্গে সাংবাদিকদের বেতন–ভাতা নিশ্চিত করার দাবি জানান।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’