তামিম ইকবালকে আপনি ঠিক কোন কারণে মনে রাখবেন? আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে সদ্য অবসরের ঘোষণা দেওয়া এই মানুষটার গর্ব করে বলার মতো কীর্তি যে বহু। বহু বছর পরেও বাংলাদেশের ক্রিকেটে তামিম ইকবালের অবদানের বিস্তারিত হিসাব-নিকাশ যে কেউ চাইলেই বের করে ফেলতে পারবেন। তবে ক্রিকেট যাঁদের কাছে আবেগের অন্য নাম, তাঁদের সেই অনুভূতি কিন্তু কোনো রেকর্ড বইয়ে লেখা থাকবে না।

২০০৭ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক। বিশ্বকাপের বছর। দেশের মানুষের ‘প্রিয়’ হয়ে ওঠাও সেই বছরই। ক্রিকেটের পরাশক্তিদের সামনে ভয়ডরহীন হয়ে দাঁড়িয়ে পড়া ছেলেটাই তো তামিম। বিশ্বকাপের মঞ্চে ভারতের জহির খানকে উড়িয়ে মারা সেই ছক্কাটি দেখে থাকলে আপনার নিশ্চয়ই মনে আছে। কী আত্মবিশ্বাস! সেটাই হয়ে গেল তামিম ইকবালের ‘ট্রেডমার্ক’।

তামিম ইকবালের ঠিক কোন পরিচয়টা আপনার কাছে সবচেয়ে উজ্জ্বল? একজন আত্মবিশ্বাসী ওপেনার? আহত হাতে মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে একহাতি ব্যাটসম্যান হয়ে দাঁড়িয়ে যাওয়া বীর? পরপর চার ম্যাচে চার ফিফটি করে আঙুলের ইশারায় সমালোচকদের জবাব দেওয়া তামিম? নাকি লর্ডসের অনার্স বোর্ডে নাম ওঠানোর যোগ্যতা অর্জন করা সেঞ্চুরিটির পর ইশারায় বোর্ড আর নিজের নাম দেখিয়ে দেওয়া বিজয়ী তামিম?

তামিম ইকবাল.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সামারিক শক্তিতে মিয়ানমারের চেয়ে ২ ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশ

চলতি বছর সামরিক শক্তির দিক থেকে মিয়ানমারের চেয়ে দুই ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। চলতি সপ্তাহে সামরিক শক্তি পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার প্রকাশিত সূচকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংস্থাটি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই র‌্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের সামরিক বাজেট। সেনাবাহিনীর আকার, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর শক্তিকেও বিবেচনা করা হয়েছে সমীক্ষায়।

গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ারের সূচক অনুযায়ী, বিশ্বে সামরিক শক্তির ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, এরপরে পরে রয়েছে রাশিয়া, চীন, ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়া। পরমাণু শক্তিধর হলেও পাকিস্তানের অবস্থান ১২ নম্বরে। তালিকায় বাংলাদেশ রয়েছে ৩৫তম অবস্থানে। বাংলাদেশের আগে রয়েছে উত্তর কোরিয়া ও আর্জেন্টিনা। আর বাংলাদেশের প্রতিবেশী মিয়ানমার রয়েছে ৩৭তম অবস্থানে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটির বেশি। এর মধ্যে প্রায় ৬ কোটি ৬১ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীতে মোট সেনা সংখ্যা ১ লাখ ৬৩ হাজার। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৭ হাজার ৪০০ সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ২৫ হাজার ১০০ সেনা। 

অন্যদিকে, মিয়ানমারের মোট জনসংখ্যা ৫ কোটি ৭৫ লাখ। এর মধ্যে প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। মিয়ানমারের সক্রিয় সৈন্য সংখ্যা ১ লাখ ৫০ হাজার। মিয়ানমারের রিজার্ভ সৈন্য রয়েছে ২০ হাজার। দেশটির বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৫ হাজার সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ১৬ হাজার সেনা। 

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ