তামিম ইকবালের ঠিক কোন পরিচয়টা আপনার কাছে সবচেয়ে উজ্জ্বল?
Published: 11th, January 2025 GMT
তামিম ইকবালকে আপনি ঠিক কোন কারণে মনে রাখবেন? আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে সদ্য অবসরের ঘোষণা দেওয়া এই মানুষটার গর্ব করে বলার মতো কীর্তি যে বহু। বহু বছর পরেও বাংলাদেশের ক্রিকেটে তামিম ইকবালের অবদানের বিস্তারিত হিসাব-নিকাশ যে কেউ চাইলেই বের করে ফেলতে পারবেন। তবে ক্রিকেট যাঁদের কাছে আবেগের অন্য নাম, তাঁদের সেই অনুভূতি কিন্তু কোনো রেকর্ড বইয়ে লেখা থাকবে না।
২০০৭ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক। বিশ্বকাপের বছর। দেশের মানুষের ‘প্রিয়’ হয়ে ওঠাও সেই বছরই। ক্রিকেটের পরাশক্তিদের সামনে ভয়ডরহীন হয়ে দাঁড়িয়ে পড়া ছেলেটাই তো তামিম। বিশ্বকাপের মঞ্চে ভারতের জহির খানকে উড়িয়ে মারা সেই ছক্কাটি দেখে থাকলে আপনার নিশ্চয়ই মনে আছে। কী আত্মবিশ্বাস! সেটাই হয়ে গেল তামিম ইকবালের ‘ট্রেডমার্ক’।
তামিম ইকবালের ঠিক কোন পরিচয়টা আপনার কাছে সবচেয়ে উজ্জ্বল? একজন আত্মবিশ্বাসী ওপেনার? আহত হাতে মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে একহাতি ব্যাটসম্যান হয়ে দাঁড়িয়ে যাওয়া বীর? পরপর চার ম্যাচে চার ফিফটি করে আঙুলের ইশারায় সমালোচকদের জবাব দেওয়া তামিম? নাকি লর্ডসের অনার্স বোর্ডে নাম ওঠানোর যোগ্যতা অর্জন করা সেঞ্চুরিটির পর ইশারায় বোর্ড আর নিজের নাম দেখিয়ে দেওয়া বিজয়ী তামিম?
তামিম ইকবাল.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’