নাটকের গল্পটা টাকা নিয়েই। কেন্দ্রীয় চরিত্র পারমিতা। পাঁচ কোটি টাকার দেনা তার। দেনা শোধ করতে না পারলে ভালোবাসার মানুষ, সংসার ও বাবার সম্মান—সব হারাতে হবে পারমিতাকে। হাতের পাঁচে চ্যাম্পিয়ন হয়ে এক কোটি টাকা জোগাড় হয়েছে। সেই এক কোটি টাকা দিয়ে নিজের ব্যবসা দাঁড় করিয়ে রাতারাতি পাঁচ কোটি টাকা আয়ের যে স্বপ্ন দেখেছিল পারমিতা, ধীরে ধীরে তা মরীচিকা হয়ে যাচ্ছে। সেই সময়েই বন্ধু সৌরভ নিয়ে আসে দারুণ খবর। এক বিদেশি ব্যবসায়ী রিয়েলিটি শো হাতের পাঁচের চ্যাম্পিয়ন ডিজাইনার পারমিতাকে খুঁজছে একটা বড় প্রকল্পের জন্য। এক কোটি টাকাকে পাঁচ কোটি টাকা বানানোর এটাই হয়তো শেষ সুযোগ পারমিতার।

ধারাবাহিক নাটক ‘দেনা পাওনা’ গল্প এগোয় এ প্রশ্ন নিয়ে। পারমিতা কি আন্তর্জাতিক পর্যায়ের এত বড় একটা প্রকল্পে কাজ করার সুযোগ পাবে? সেই প্রকল্পের কাজ করে পাঁচ কোটি টাকার দেনা শোধ করা কি সম্ভব হবে? নাকি মাথায় দেনার বোঝা নিয়ে সব পাওনা না বুঝেই স্বপ্ন দেখার অধিকার হারাতে হবে পারমিতাকে?

আরও পড়ুননতুন মুখের ‘‌দেনা পাওনা’২৮ জানুয়ারি ২০২৪‘দেনা পাওনা’র দৃশ্য.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

দেশের প্রথম নারী ইউপি চেয়ারম্যানের মৃত্যু

বাংলাদেশ প্রথম নির্বাচিত নারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট চন্দনা গ্রামের বাসিন্দা শামসুন্নাহার চৌধুরী মারা গেছেন।

শুক্রবার আছর নামাজের পর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

এর আগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

মৃত্যুকালে তিনি স্বামী, সন্তানসহ আত্মীয়স্বজন ছাড়াও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। সিঙ্গাপুর, ভারতসহ বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। চুনারুঘাট উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু তাহেরের স্ত্রী তিনি।

তিনি চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশী ও দেওরগাছ ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ৩ বার চেয়ারম্যান নির্বাহিত হন। এরমধ্যে ১৯৮৮ সালে প্রথম মিরাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সারা দেশে তখন তিনিই ছিলেন প্রথম নারী ইউপি চেয়ারম্যান। সেই থেকে রাজনীতিতে জড়ান। ১৯৯৩ সালে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন।

শামছুন্নাহার চৌধুরী ৩ বার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নানা সামাজিক দায়িত্ব পালন করেছেন। পেয়েছেন অতিশ দীপঙ্কর জয়িতাসহ নানা পুরস্কার। হয়েছেন জেলার শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান। কাজ করেছেন নারী উন্নয়নে।

তার মৃত্যুতে সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন শোক প্রকাশ করেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ