নাটকের গল্পটা টাকা নিয়েই। কেন্দ্রীয় চরিত্র পারমিতা। পাঁচ কোটি টাকার দেনা তার। দেনা শোধ করতে না পারলে ভালোবাসার মানুষ, সংসার ও বাবার সম্মান—সব হারাতে হবে পারমিতাকে। হাতের পাঁচে চ্যাম্পিয়ন হয়ে এক কোটি টাকা জোগাড় হয়েছে। সেই এক কোটি টাকা দিয়ে নিজের ব্যবসা দাঁড় করিয়ে রাতারাতি পাঁচ কোটি টাকা আয়ের যে স্বপ্ন দেখেছিল পারমিতা, ধীরে ধীরে তা মরীচিকা হয়ে যাচ্ছে। সেই সময়েই বন্ধু সৌরভ নিয়ে আসে দারুণ খবর। এক বিদেশি ব্যবসায়ী রিয়েলিটি শো হাতের পাঁচের চ্যাম্পিয়ন ডিজাইনার পারমিতাকে খুঁজছে একটা বড় প্রকল্পের জন্য। এক কোটি টাকাকে পাঁচ কোটি টাকা বানানোর এটাই হয়তো শেষ সুযোগ পারমিতার।

ধারাবাহিক নাটক ‘দেনা পাওনা’ গল্প এগোয় এ প্রশ্ন নিয়ে। পারমিতা কি আন্তর্জাতিক পর্যায়ের এত বড় একটা প্রকল্পে কাজ করার সুযোগ পাবে? সেই প্রকল্পের কাজ করে পাঁচ কোটি টাকার দেনা শোধ করা কি সম্ভব হবে? নাকি মাথায় দেনার বোঝা নিয়ে সব পাওনা না বুঝেই স্বপ্ন দেখার অধিকার হারাতে হবে পারমিতাকে?

আরও পড়ুননতুন মুখের ‘‌দেনা পাওনা’২৮ জানুয়ারি ২০২৪‘দেনা পাওনা’র দৃশ্য.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!

ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন

গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।

এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ