তামিম হয়তো পারেনি....ভাইয়ের অবসরে আবেগাপ্লুত নাফিস
Published: 11th, January 2025 GMT
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তামিম ইকবাল এখন ‘সাবেক ক্রিকেটার’। শুক্রবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বার্তায় বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক জানিয়ে দিয়েছেন, জাতীয় দলের হয়ে আর মাঠে ফিরছেন না। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ইতি ঘটে গেছে। তামিমের অবসরে তাঁকে বিভিন্নভাবে শুভেচ্ছা, অভিনন্দন ও বিদায় জানিয়েছেন তাঁর সতীর্থরা।
তামিমের অবসরে এবার আবেগঘন পোস্ট লিখেছেন নাফিস ইকবাল। দুজনের বড় পরিচয় ছোট ভাই-বড় ভাই। তবে তামিমকে শুধু পরিবারের একজন হিসেবেই নয়, ক্রিকেটাঙ্গনেও বিভিন্ন রূপে দেখেছেন নাফিস। কখনো ঘরোয়া ক্রিকেটে একই দলের খেলোয়াড় হিসেবে, কখনো প্রতিপক্ষ দলের খেলোয়াড় হিসেবে আর কখনোবা জাতীয় দলে অধিনায়ক-ম্যানেজার হিসেবে।
মোটের ওপর মাঠে ও মাঠের বাইরের তামিমকে এবং তাঁর ভালো-মন্দ প্রতিটি মুহূর্তকেই খুব কাছ থেকে দেখেছেন নাফিস। তামিমের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের পর নাফিসের বিদায়ী-বার্তায় তাই উঠে এলো সব প্রসঙ্গই।
২০২৫ সালের জানুয়ারিতে এসে অবসরের কথা জানালেও তামিম বাংলাদেশ দলের হয়ে শেষ ম্যাচ খেলে ফেলেছেন ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে। সে বছর ওয়ানডে বিশ্বকাপের দল থেকে তামিমের বাদ পড়াকে কেন্দ্র করে দেশের ক্রিকেটে তোলপাড় উঠেছিল।
২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে তোলা ছবি, যে দিন বাংলাদেশ দলের কোচ হিসেবে চন্ডিকা হাথুরুসিংহে দ্বিতীয় দফায় কাজ শুরু করেছিলেন। দুই ভাই তামিম, নাফিস ও হাথুরুসিংহের সঙ্গে ছিলেন খালেদ মাহমুদ।.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ঋণের অর্থছাড় নিয়ে আলোচনায় ঢাকায় আসছে আইএমএফের প্রতিনিধিদল
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) অর্থছাড়ের বিভিন্ন শর্ত পর্যালোচনা করতে চলতি এপ্রিল মাসে ঢাকায় আসবে আইএমএফের প্রতিনিধিদল।
এটি হতে যাচ্ছে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার পর আইএমএফের বড় কোনো দলের ঢাকায় দ্বিতীয় সফর।
চলমান ৪৭০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ কর্মসূচির আওতায় আইএমএফের কাছ থেকে বাংলাদেশ ২৩৯ কোটি ডলার কিস্তির অর্থ পাবে।
জানা গেছে, ঋণের চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থ ছাড়ের আগে বিভিন্ন শর্ত পালনের অগ্রগতি পর্যালোচনায় আইএমএফের একটি দল আগামী ৫ এপ্রিল ঢাকায় আসছে। দলটি ৬ এপ্রিল থেকে টানা দুই সপ্তাহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের সঙ্গে বৈঠক করবে। এ সফরে আইএমএফের দলটির সঙ্গে অর্থ বিভাগ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), বিদ্যুৎ বিভাগ, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি), জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। বৈঠক শেষে ১৭ এপ্রিল প্রেস ব্রিফিং করবে সফররত আইএমএফের দল। দলটি প্রথম দিন ৬ এপ্রিল এবং শেষ দিন ১৭ এপ্রিল বৈঠক করবে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে।
২০২৩ সালের ৩০ জানুয়ারি আইএমএফের সঙ্গে ঋণ কর্মসূচি শুরু হয়। এরপর তিনটি কিস্তির অর্থ পেয়েছে বাংলাদেশ। আইএমএফের কাছ থেকে প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬৩ লাখ ডলার পায় ২০২৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি। একই বছরের ডিসেম্বরে পেয়েছে দ্বিতীয় কিস্তির ৬৮ কোটি ১০ লাখ ডলার। আর ২০২৪ সালের জুনে তৃতীয় কিস্তির ১১৫ কোটি ডলার পেয়েছে। তিন কিস্তিতে বাংলাদেশ প্রায় ২৩১ কোটি ডলার পেয়েছে। ঋণের অর্থছাড় বাকি আছে ২৩৯ কোটি ডলার। বিপত্তি দেখা দেয় চতুর্থ কিস্তির অর্থ ছাড়ের আগে। যদিও সরকার আশা করছে আগামী জুনে চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থ একসঙ্গে পাওয়া যাবে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আইএমএফের ঋণের দুই কিস্তির অর্থ একসঙ্গে পেতে বাংলাদেশের সামনে মোটাদাগে তিনটি বাধা রয়েছে। এগুলো হলো মুদ্রা বিনিময় হার বাজারভিত্তিক করা, মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) দশমিক ৫ শতাংশ হারে বাড়তি রাজস্ব আদায় ও এনবিআরের রাজস্ব নীতি থেকে রাজস্ব প্রশাসনকে আলাদা করা।
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আইএমএফকে জানানো হয়েছে, এসব শর্ত বাস্তবায়ন করা হবে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, রাজস্ব নীতি থেকে রাজস্ব প্রশাসনকে আলাদা করার পদক্ষেপ ছাড়া বাকি দুটির বিষয়ে তেমন অগ্রগতি নেই।
তবে ক্রলিং পেগ পদ্ধতিতে বিনিময় হার নির্ধারণ করা হচ্ছে। যার কারণে হঠাৎ ডলারের দাম খুব বেশি বেড়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। এ পদ্ধতিতে ডলারের দাম ১২২ টাকায় স্থিতিশীল আছে।
ঢাকা/হাসান/ইভা