ফরিদপুরে কবরস্থানের জায়গা নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১১
Published: 11th, January 2025 GMT
ফরিদপুরের নগরকান্দায় কবরস্থানের জায়গা নিয়ে বিরোধের জেরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ১১ জন আহত হয়েছে। আজ শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার তালমা ইউনিয়নের দক্ষিণ বিলনালিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দক্ষিণ বিলনালিয়া গ্রামের একটি কবরস্থানের মালিকানা নিয়ে ওই গ্রামের দুই পক্ষের দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এদের এক পক্ষের নেতৃত্ব দেন দক্ষিণ বিলনালিয়া গ্রামের বাসিন্দা উজ্জ্বল মাতব্বর। অপর পক্ষের নেতৃত্ব দেন বলাই মাতুব্বর। জায়গা মাপামাপি করার পর বলাই মাতুব্বরের পক্ষ কবরস্থানের জায়গা পাওয়ার দাবি করে। এই নিয়ে আজ সকালে দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে তালমা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো.
নগরকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সফর আলী বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে নগরকান্দা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষের ঘটনায় আজ বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত থানায় কোনো পক্ষ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
কবর থেকে ভেসে এল মোবাইলের রিংটোন
কবর থেকে ভেসে আসছিল মোবাইলের রিংটোন। পরে কবর খুঁড়ে হারানো মোবাইল উদ্ধার করেন সামিউল ইসলাম সামি নামের এক যুবক। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার দয়ারামপুর ইউনিয়নের জয়ন্তীপুর সামাজিক কবরস্থানে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, মঙ্গলবার দিবাগত রাতে স্থানীয় এক ব্যক্তির দাফনে অংশ নেন সামি। সেখান থেকে বাড়ি ফিরে দেখেন, জ্যাকেটের পকেটে ফোনটি নেই। পরে মোবাইলে ব্যবহৃত নম্বরে একাধিকার কল করলেও কেউ রিসিভ করছিল না। বুধবার সকালে কবরস্থানে গিয়ে কল দিলে কবর থেকে রিংটোনের শব্দ ভেসে আসছিল। কবর খুঁড়তেই বেরিয়ে আসে মোবাইলটি।
সামিউল ইসলাম সামি বলেন, ‘‘ফোনটি পকেটে না পেয়ে একাধিকার কল করেছিলাম। রিং হচ্ছিল, কিন্তু কেউ রিসিভ করছিল না। কেউ যদি পেত, তাহলে ফোনটা অফ করে দিত বা সিম খুলে ফেলত। যেহেতু ফোনে রিং হচ্ছিল, তাই ধারণা করেছিলাম ফোনটা কবরস্থানেই আছে। বুধবার সকালে কবর খুঁড়ে ফোনটি পেয়েছি।’’
জয়ন্তীপুর বাজার জামে মসজিদের ইমাম আব্দুর রউফ বলেন, ‘‘ফোনটি কবরের ওপরের অংশে থাকায় সহজে উদ্ধার করা গেছে। সাধারণত দাফনের সময় কবরের ওপরে চাপটি দিয়ে মাটি দেওয়া হয়। মোবাইলটি সেই চাপটির ওপরের অংশে ছিল।’’
ঢাকা/আরিফুল/রাজীব