বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির হয়েছেন মাওলানা মামুনুল হক। মহাসচিব হয়েছেন মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ।

রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে আজ শনিবার বিকেলে দলের কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার অধিবেশনে সর্বসম্মতিক্রমে তাঁরা এ পদে নির্বাচিত হন।

খেলাফত মজলিসের দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, দলের কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার প্রায় ২০০ সদস্য অধিবেশনে যোগ দেন। অধিবেশনে আমির ও মহাসচিব ছাড়াও দলের অভিভাবক পরিষদ গঠন করা হয়। খেলাফত মজলিসের বিদায়ী আমির মাওলানা ইসমাঈল নূরপুরীকে চেয়ারম্যান করে অভিভাবক পরিষদ পুনর্গঠন করা হয়েছে। মামুনুল হক এর আগে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ছিলেন। তিনি দলের পঞ্চম আমির হলেন।

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নবনিযুক্ত আমিরকে অভিনন্দন জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে শায়খুল হাদিস পরিষদ। বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের শূরার সদস্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ও যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। তাঁর নেতৃত্বে খেলাফত প্রতিষ্ঠার আন্দোলন আরও বেগবান হবে এবং তিনি জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন বলে পরিষদ আশা করেন।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সামারিক শক্তিতে মিয়ানমারের চেয়ে ২ ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশ

চলতি বছর সামরিক শক্তির দিক থেকে মিয়ানমারের চেয়ে দুই ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। চলতি সপ্তাহে সামরিক শক্তি পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার প্রকাশিত সূচকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংস্থাটি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই র‌্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের সামরিক বাজেট। সেনাবাহিনীর আকার, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর শক্তিকেও বিবেচনা করা হয়েছে সমীক্ষায়।

গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ারের সূচক অনুযায়ী, বিশ্বে সামরিক শক্তির ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, এরপরে পরে রয়েছে রাশিয়া, চীন, ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়া। পরমাণু শক্তিধর হলেও পাকিস্তানের অবস্থান ১২ নম্বরে। তালিকায় বাংলাদেশ রয়েছে ৩৫তম অবস্থানে। বাংলাদেশের আগে রয়েছে উত্তর কোরিয়া ও আর্জেন্টিনা। আর বাংলাদেশের প্রতিবেশী মিয়ানমার রয়েছে ৩৭তম অবস্থানে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটির বেশি। এর মধ্যে প্রায় ৬ কোটি ৬১ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীতে মোট সেনা সংখ্যা ১ লাখ ৬৩ হাজার। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৭ হাজার ৪০০ সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ২৫ হাজার ১০০ সেনা। 

অন্যদিকে, মিয়ানমারের মোট জনসংখ্যা ৫ কোটি ৭৫ লাখ। এর মধ্যে প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। মিয়ানমারের সক্রিয় সৈন্য সংখ্যা ১ লাখ ৫০ হাজার। মিয়ানমারের রিজার্ভ সৈন্য রয়েছে ২০ হাজার। দেশটির বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৫ হাজার সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ১৬ হাজার সেনা। 

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ