সাকিবকে ছাড়াই চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দল
Published: 11th, January 2025 GMT
তামিম ইকবাল অধ্যায়ের অবসান তো হলো। এবার কি তবে সাকিব আল হাসান? অবস্থাদৃষ্টে সেটাই মনে হচ্ছে। বোলিং অ্যাকশন নিয়ে জটিলতায় আগামীকাল ঘোষণা হতে যাওয়া চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ১৫ জনের দলে তাঁর না থাকাটা একরকম নিশ্চিত। সে ক্ষেত্রে প্রশ্নটা আসেই—তামিমের মতো সাকিবের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারও কি এখানেই শেষ?
কাল রাত পর্যন্ত যা খবর, সাকিবের বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা নিয়ে কোনো ইতিবাচক খবর পায়নি বিসিবি। এটাও বোঝা যাচ্ছে যে দল ঘোষণার আগে সেরকম কোনো খবর আসার সম্ভাবনাও নেই। এদিকে বিসিবি মনে করে না যে শুধু ব্যাটসম্যান হিসেবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির মতো বড় টুর্নামেন্টে খেলার মতো অবস্থায় আছেন তিনি। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দলে তাই সাকিব থাকছেন না বলে নিশ্চিত করেছে বিসিবির একাধিক সংশ্লিষ্ট সূত্র।
তাতে অবশ্য অকূল পাথারে পড়ে যাচ্ছে না গাজী আশরাফ হোসেনের নির্বাচক কমিটি। কারণ, এই দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলার সম্ভাবনা শুরু থেকে কমই ছিল। নির্বাচকেরা তাই অনেকটা সেভাবেই দল গুছিয়ে রেখেছেন। সাকিব, তামিম খেললে তখন তাতে কাটছাঁটের প্রশ্ন আসত। তবে হ্যাঁ, ওপেনিংয়ে তামিমের অভিজ্ঞতা আর অলরাউন্ডার সাকিবের একের ভেতর দুই সত্তাকে তো মিস করবেই বাংলাদেশ।
সমারসেট–সারে ম্যাচে বোলিং করছেন সাকিব। এই ম্যাচেই প্রশ্ন উঠেছে তাঁর বোলিং অ্যাকশন নিয়ে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সামারিক শক্তিতে মিয়ানমারের চেয়ে ২ ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশ
চলতি বছর সামরিক শক্তির দিক থেকে মিয়ানমারের চেয়ে দুই ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। চলতি সপ্তাহে সামরিক শক্তি পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার প্রকাশিত সূচকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংস্থাটি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই র্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের সামরিক বাজেট। সেনাবাহিনীর আকার, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর শক্তিকেও বিবেচনা করা হয়েছে সমীক্ষায়।
গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ারের সূচক অনুযায়ী, বিশ্বে সামরিক শক্তির ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, এরপরে পরে রয়েছে রাশিয়া, চীন, ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়া। পরমাণু শক্তিধর হলেও পাকিস্তানের অবস্থান ১২ নম্বরে। তালিকায় বাংলাদেশ রয়েছে ৩৫তম অবস্থানে। বাংলাদেশের আগে রয়েছে উত্তর কোরিয়া ও আর্জেন্টিনা। আর বাংলাদেশের প্রতিবেশী মিয়ানমার রয়েছে ৩৭তম অবস্থানে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটির বেশি। এর মধ্যে প্রায় ৬ কোটি ৬১ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীতে মোট সেনা সংখ্যা ১ লাখ ৬৩ হাজার। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৭ হাজার ৪০০ সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ২৫ হাজার ১০০ সেনা।
অন্যদিকে, মিয়ানমারের মোট জনসংখ্যা ৫ কোটি ৭৫ লাখ। এর মধ্যে প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। মিয়ানমারের সক্রিয় সৈন্য সংখ্যা ১ লাখ ৫০ হাজার। মিয়ানমারের রিজার্ভ সৈন্য রয়েছে ২০ হাজার। দেশটির বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৫ হাজার সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ১৬ হাজার সেনা।
ঢাকা/শাহেদ