তামিম ইকবাল অধ্যায়ের অবসান তো হলো। এবার কি তবে সাকিব আল হাসান? অবস্থাদৃষ্টে সেটাই মনে হচ্ছে। বোলিং অ্যাকশন নিয়ে জটিলতায় আগামীকাল ঘোষণা হতে যাওয়া চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ১৫ জনের দলে তাঁর না থাকাটা একরকম নিশ্চিত। সে ক্ষেত্রে প্রশ্নটা আসেই—তামিমের মতো সাকিবের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারও কি এখানেই শেষ?

কাল রাত পর্যন্ত যা খবর, সাকিবের বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা নিয়ে কোনো ইতিবাচক খবর পায়নি বিসিবি। এটাও বোঝা যাচ্ছে যে দল ঘোষণার আগে সেরকম কোনো খবর আসার সম্ভাবনাও নেই। এদিকে বিসিবি মনে করে না যে শুধু ব্যাটসম্যান হিসেবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির মতো বড় টুর্নামেন্টে খেলার মতো অবস্থায় আছেন তিনি। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দলে তাই সাকিব থাকছেন না বলে নিশ্চিত করেছে বিসিবির একাধিক সংশ্লিষ্ট সূত্র।

তাতে অবশ্য অকূল পাথারে পড়ে যাচ্ছে না গাজী আশরাফ হোসেনের নির্বাচক কমিটি। কারণ, এই দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলার সম্ভাবনা শুরু থেকে কমই ছিল। নির্বাচকেরা তাই অনেকটা সেভাবেই দল গুছিয়ে রেখেছেন। সাকিব, তামিম খেললে তখন তাতে কাটছাঁটের প্রশ্ন আসত। তবে হ্যাঁ, ওপেনিংয়ে তামিমের অভিজ্ঞতা আর অলরাউন্ডার সাকিবের একের ভেতর দুই সত্তাকে তো মিস করবেই বাংলাদেশ।

সমারসেট–সারে ম্যাচে বোলিং করছেন সাকিব। এই ম্যাচেই প্রশ্ন উঠেছে তাঁর বোলিং অ্যাকশন নিয়ে.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!

ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন

গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।

এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ