পশ্চিমবঙ্গের নির্মাতা শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে অভিনেতা দেবের ভক্তদের কাজিয়া থানা পর্যন্ত গড়িয়েছে। এবার ক্যাকটাস ব্যান্ডের ভোকাল সিধুর করা এক মন্তব্যে চটেছেন নচিকেতা চক্রবর্তীর ভক্তরা। সিধুর ওই মন্তব্যের সঙ্গে আবার জড়িয়ে আছে বাংলাদেশের নামও।

রাজশ্রী” অবশ্যই ইনফ্লুয়েন্সড। “নীলাঞ্জনা ১” মানে “হাজার কবিতা/ বেকার সবই তা” গানটি অবশ্যই বাংলাদেশের ফিডব্যাক ব্যান্ডের গান থেকে নেওয়া

‘টাইম অ্যান্ড টাইড পডকাস্ট উইথ সৌরভ’ নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলে সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন সিধু।  সাক্ষাৎকারে নিজের ক্যারিয়ার ও বিশ্বসংগীতের নানা বিষয় নিয়ে আলাপ করেছেন তিনি। কথায় কথায় আসে নচিকেতা চক্রবর্তীর প্রসঙ্গ। প্রসঙ্গক্রমে জানান, নচিকেতার মতো শিল্পীর কিছু গানের সুরও অন্য গান থেকে অনুপ্রাণিত। সিধু বলেন, নচিকেতার বহুল চর্চিত ‘নীলাঞ্জনা ১’ গানটি বাংলাদেশের ব্যান্ড ফিডব্যাকের একটি গান থেকে অনুপ্রাণিত।

সিধুর ভাষ্যে, ‘“রাজশ্রী” অবশ্যই ইনফ্লুয়েন্সড। “নীলাঞ্জনা ১” মানে “হাজার কবিতা/ বেকার সবই তা” গানটি অবশ্যই বাংলাদেশের ফিডব্যাক ব্যান্ডের গান থেকে নেওয়া।’ এরপর ফিডব্যাকের ‘দিন যায় দিন চলে যায়, রাত যায় রাত চলে যায়, সময় যে বাধা মানে না, এই মনকে বোঝানো যে গেল না’ গানটির কয়েকটি লাইন গেয়ে শোনান সিধু। ‘দিন যায়’ গানের সঙ্গে ‘নীলাঞ্জনা’ গানটির সুরের কতখানি মিল, সেটা বোঝানোর চেষ্টা করেন।

এদিকে সিধুর মন্তব্য প্রকাশ্যে আসার পর চটেছেন নচিকেতার ভক্তরা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সিধুকে কটূক্তি করছেন কথিত নচিকেতার ভক্তরা। এ প্রসঙ্গে আনন্দবাজার অনলাইনকে সিধু বলেন, ‘কাউকে অপমান করব বলে বলিনি। নচিদাকে প্রচণ্ড শ্রদ্ধা করি। তাঁকে কেনই–বা এই ধরনের কথা বলতে যাব!’ তাঁর যুক্তি, প্রসঙ্গ সূত্রে অন্য শিল্পীদের গান নিয়েও কথা উঠেছিল। সেই সময় তিনি এই বক্তব্য দেন। জানান, বরাবর কুইজ করে এসেছেন। এ ধরনের তথ্য তাঁর কাছে অনেক রয়েছে। ফলে বিষয়টি নিয়ে উদাহরণসহ কথা বলতে তাঁর অসুবিধা হয়নি। বহুল চর্চিত ওই সাক্ষাৎকারে সিধু বলেন, ‘জনপ্রিয় অনেক গানই অন্য গানের সুর থেকে অনুপ্রাণিত। এটা স্বীকার করে নিলেই হয়।’

বিষয়টি নিয়ে বিন্দুমাত্র মাথাব্যথা নেই নচিকেতারও। তিনি আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেন, ‘কেন রাগ করতে যাব? সিধুর যা মনে হয়েছে, সেটাই বলেছে ও।’ কিন্তু ঘটনার পর থেকে নচিকেতার ভক্তরা যে সিধুকে প্রায় ফি দিন কটূক্তিতে বিঁধছেন! এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে নচিকেতার ভাষ্য, ‘দেখুন, আমার অনেক ভক্ত। অনেকেই নিজেকে আমার অনুরাগী বলে দাবি করেন। তাঁরা কে, কী করছেন বা বলছেন, এত কি দেখা সম্ভব? কাকেই–বা বলব? কে বলেছেন, তা-ই জানি না! আমার হাতে এত সময় নেই।’

আরও পড়ুনছোটবেলায় গান শুনে রুনা লায়লার প্রেমে পড়েছিলেন নচিকেতা ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিরূপ প্রতিক্রিয়া নিয়ে সিধুর বক্তব্য কী। ‘হলুদ পাখি’ গায়ক বলেন, ‘তাঁরা অন্ধবিশ্বাসী। কিছু না বুঝে পাগলের মতো আচরণ করেন। পাগলদের পাত্তা দিই না।’

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহালের দাবি

হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার এবং চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানকে স্মারকলিপি দিয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা–কর্মচারী। 

বৃহস্পতিবার ২৮ হাজার ৩০৭ কর্মীর সই করা এক হাজার ৪২৮ পৃষ্ঠার এই স্মারকলিপি উপদেষ্টার দপ্তরে জমা দেওয়া হয়। 

এতে বলা হয়, সংস্কার দাবির কারণে মাঠপর্যায়ে কোনো কর্মসূচি না থাকা সত্ত্বেও গত ১৬ অক্টোবর পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) ১০ জন কর্মকর্তাকে বিনা নোটিশে চাকরিচ্যুত করে। একই দিন তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। পরদিন সকাল থেকে শুরু হয় কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তার এবং আরও ১৪ জনকে চাকরিচ্যুত করা হয়। এই ঘটনায় সমিতির কর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও হতাশার জন্ম দেয়, যার ফলে কিছু এলাকায় সাময়িক বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটে।

স্মারকলিপি আরও বলা হয়, আরইবি এখনও মামলা, চাকরিচ্যুতি, বদলি, সাসপেন্ড বিভিন্ন হয়রানিমূলক পদক্ষেপ অব্যাহত রেখেছে। শুধু স্মারকলিপিতে সই দেওয়ার কারণেও সম্প্রতি মাদারীপুর ও রাজশাহীর কর্মকর্তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। প্রায় অর্ধশতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সংযুক্ত করে তদন্তের নামে হয়রানি ও শাস্তি দেওয়ার চেষ্টা চলছে। চাকরি হারিয়ে, মামলা ও জেল-জুলুমের শিকার হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো খুবই মানবেতর জীবনযাপন করছে। এমনকি ক্ষতিগ্রস্তদের ছেলেমেয়ের পড়াশোনাও চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। এর আগে গত ২৫ জানুয়ারি সমিতির ৩০ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীর সই করা স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। 

স্মারকলিপিতে মামলা প্রত্যাহার ও চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহালের দাবি জানানো হয়েছে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ