আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশগ্রহণ করতে পারবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন বলেছেন, ‘আমাদের কাজ হলো যখন আমরা শিডিউল ঘোষণা করি, তার আগে নিবন্ধিত যে কয়টি দল থাকে, তাদের মধ্যে সুন্দর একটা নির্বাচন আয়োজন করা। সময় আসুক, দেখবেন কারা কারা নিবন্ধিত অবস্থায় থাকে। যারা যারা থাকবে, তাদের নিয়ে নির্বাচন করব। অপেক্ষা করুন, আমরাও অপেক্ষা করি।’

আজ শনিবার সকালে ভোটার তালিকা হালনাগাদ ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে সিলেটের নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শুরুর আগে এ কথাগুলো বলেন সিইসি। সিলেট সার্কিট হাউসের সম্মেলনকক্ষে এই মতবিনিময় সভা হয়।

স্থানীয় সরকার নির্বাচন কবে হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হয়ে গেছে। এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে চাই না। আমি সফরে ছিলাম, মৌলভীবাজার থাকা অবস্থায় পত্রিকায় খবরটি দেখেছি। বিস্তারিত জানি না। ঢাকা ফিরে গিয়ে কমিশনে আলাপ–আলোচনা করে পরে এটা নিয়ে রিঅ্যাকশন দেব, আমি এ ব্যাপারে মন্তব্য করতে চাই না।’

এ এম এম নাসির উদ্দীন বলেন, ‘একটি বিষয় ক্ল্যারিফাই করা খুব প্রয়োজন মনে করছি। পত্রপত্রিকায় দেখছি, অনেকে বলছেন যে এক দিনে সব স্থানীয় সরকার নির্বাচন করার সুপারিশ কেউ কেউ করছেন। বিষয়টি আমরা পরীক্ষা করে দেখেছি, এটা কোনোমতেই সম্ভব নয়। এটা বাস্তবায়নযোগ্য কোনো পরামর্শ নয়। স্থানীয় সরকার নির্বাচন মানে পাঁচ স্তরের নির্বাচন। সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, উপজেলা, জেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ। আমাদের সিটি করপোরেশন ১২টি, পৌরসভা ৩৩০টি, তিনটি পার্বত্য জেলা বাদে জেলা ৬১টি, উপজেলা ৪৯৫টি ও ইউনিয়ন ৪ হাজার ৫৯৫টি, সব কটি নির্বাচন এক দিনে করা! আমাদের জন্য আদৌ গ্রহণযোগ্য একটা সুপারিশ নয়, এটা বাস্তবায়নযোগ্য নয়।’

জাতীয় নির্বাচন কবে হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘১৬ ডিসেম্বরের ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা যে বক্তব্য দিয়েছেন জাতীয় নির্বাচনের টাইম ফ্রেম নিয়ে, সেটা মাথায় রেখে ইসি কাজ করছে। আমরা আমাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। ওনার বক্তব্য অনুযায়ী যাতে আমরা নির্বাচন করতে পারি, সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’

আগামী জাতীয় নির্বাচন ইভিএমের মাধ্যমে হবে না বলে জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার। তিনি বলেন, ‘ইভিএমের মাধ্যমে করার কোনো পরিকল্পনা আমাদের নেই। নির্বাচনী ব্যবস্থার সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন এখনো পাইনি। প্রতিবেদনটি পাওয়ার পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত আসবে।’

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

মুম্বাই থেকে ফিরে মিরপুরে যাচ্ছেন শাকিব খান

ঢাকাই সিনেমার  জনপ্রিয় নায়ক শাকিব খানের পরবর্তী মিশন হচ্ছে ‘বরবাদ’ সিনেমাটি নিয়ে। মুম্বাইতে করছিলেন সিনমাটির শুটিং। দ্বিতীয় লটে দুই সপ্তাহ ধরে এ ছবির শুটিং শেষ করে বুধবার বিকেলে ঢাকায় ফিরেছেন তিনি। দুইদিন বিশ্রাম নিয়ে এবার শাকিব খান ছুটে যাচ্ছেন মিরপুর স্টেডিয়ামে। 

প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ (বিপিএল)-এ ঢাকা ক্যাপিটালসের টিমের মালিকানা নিয়েছেন শাকিব খান। প্রথম রাউন্ড থেকে ছিটকে পড়েছে দলটি। শনিবার হবে তাদের শেষ ম্যাচ।   খুলনা টাইগার্সের সঙ্গে ঢাকা ক্যাপিটালের এই শেষ ম্যাচটি মাঠে বসে উপভোগ করবেন শাকিব খান।  

শাকিব খানের ম্যানেজার বিষয়টি নিশ্চিত করছেন।  তার ভাষ্য, ১ ফেব্রুয়ারি মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খুলনা টাইগার্সের সঙ্গে শেষ ম্যাচে লড়বে ঢাকা ক্যাপিটালস। দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই ম্যাচে শাকিব খান নিজেও গ্যালারিতে উপস্থিত থাকবেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ