লস অ্যাঞ্জেলেসের দাবানলে ঘরবাড়ি হারিয়েছেন অনেক তারকা। পিছিয়েছে পুরস্কার অনুষ্ঠান, বাতিল হয়েছে শুটিং। এর মধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য ১০ লাখ ডলার অনুদানের ঘোষণা দিয়েছেন অস্কারজয়ী অভিনেত্রী জেমি লি কার্টিস। এবার বড় অঙ্কের অনুদানের ঘোষণা দিল প্রভাবশালী স্টুডিও ডিজনি।

গত শুক্রবার ১৫ মিলিয়ন ডলার বা ১৮৩ কোটি টাকা অনুদানের ঘোষণা দিয়েছে ডিজনি। বিনোদনবিষয়ক মার্কিন গণমাধ্যম দ্য হলিউড রিপোর্টার জানিয়েছে, ডিজনির এই অনুদান যাবে লস অ্যাঞ্জেলেস ফায়ার বিভাগের ফাউন্ডেশন, লস অ্যাঞ্জেলেস আঞ্চলিক ফুড ব্যাংকসহ অন্যান্য সংস্থায়।

ডিজনির পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘দ্য ওয়াল্ট ডিজনি কোম্পানির সব কর্মচারী দুর্ভাগ্যজনক এ ঘটনার প্রভাব কাটিয়ে উঠতে একসঙ্গে কাজ করবে।’
দ্য হলিউড রিপোর্টার জানিয়েছে, আরেকটি প্রযোজনা সংস্থা প্যারামাউন্ট গ্লোবালও ১০ লাখ ডলার অনুদানের ঘোষণ দিয়েছে।

সংস্থাটি জানিয়েছে, দাবানলের ঘটনায় তারা ভীষণভাবে মর্মাহত। এ ঘটনায় যাঁদের জানমালের ক্ষতি হয়েছে, তাঁদের প্রতি প্রতিষ্ঠানটির পূর্ণ সমবেদনা আছে। সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করলে এ ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করে প্যারামাউন্ট গ্লোবাল।

আরও পড়ুনপুড়েছে মেল গিবসনের বাড়িও৬ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

এক বোনের বুয়েটে আরেকজনের মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ, প্রথমবার আলাদা হচ্ছেন তাঁরা

যারীন তাসনীম ও যাহরা তাসনীম যমজ বোন। মায়ের পেট থেকে স্কুল-কলেজের বেঞ্চে একসঙ্গে ছিলেন। এক টেবিলে পড়াশোনা, এক বিছানায় ঘুমানো—এভাবেই কেটেছে ১৭টি বছর। একজনের স্বপ্ন চিকিৎসক হওয়া, অন্যজনের প্রকৌশলী। সম্প্রতি যারীন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) এবং যাহরা টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। স্বপ্ন পূরণে এখন থেকে তাঁদের আলাদা থাকতে হবে।

যারীন ও যাহরা টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার শিক্ষক দম্পতি আবু জুয়েল ও চায়না আক্তারের যমজ মেয়ে। শিক্ষাজীবনে পিএসসি থেকে শুরু করে সব পরীক্ষায় তাঁরা জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন। যারীন-যাহরার বাবা আবু জুয়েল উপজেলার সূর্য তরুণ শিক্ষাঙ্গন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক আর মা চায়না আক্তার উপজেলার শান্তিকুঞ্জ একাডেমির সহকারী প্রধান শিক্ষক। তাঁদের বাড়ি উপজেলার কচুয়া গ্রামে।

যারীন তাসনীম এবার বুয়েটে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। এর আগে এইচএসসি পরীক্ষায় রাজধানীর হলিক্রস কলেজের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে মায়ের পেটে ছিলাম। এক দোলনায় শুয়েছি। বড় হয়ে একই বিছানায় ঘুমিয়েছি। স্কুল-কলেজে একই বেঞ্চে বসে পড়াশোনা করেছি। শুধু কলেজ ছাড়া ওয়ান থেকে টেন পর্যন্ত এক সেট বইয়ে দুজন পড়েছি। আমাদের কখনো মুঠোফোন দেওয়া হয়নি। তবে কলেজে দুজনে মিলে একটি বাটন ফোন চালিয়েছি। ১৭ বছর একসঙ্গে থেকেছি। স্বপ্নপূরণে ও ভবিষ্যৎ জীবন গড়তে এখন থেকে আমাদের আলাদা থাকতে হবে।’

মায়ের পেট থেকে স্কুল-কলেজের বেঞ্চে একসঙ্গে ছিলেন যমজ দুই বোন। স্বপ্ন পূরণে এখন থেকে তাঁদের আলাদা থাকতে হবে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ফের একসঙ্গে তারা
  • ফের একসঙ্গে ‘তোরা দেখ রে চাহিয়া’ বিজ্ঞাপনের সেই তিনজন
  • চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদার খালাসের রায় বহাল
  • একসঙ্গে জাহিদ-তমা-সারিকা, অবিচারের সত্য ঘটনা তুলে আনলেন রাফী
  • তুর্কমেনিস্তানে ইফতারির টেবিল সেজে ওঠে বাহারি সব খাবার দিয়ে
  • বেনুভিটা মানমন্দির থেকে ‘প্ল্যানেটারি প্যারেড’ দর্শন
  • ‘বইয়ের ভেতর দিয়ে আলাদা জগতের দেখা’
  • মেহেরপুরে হেডলাইটের আলো দেখে ৩টি হাতবোমা ফেলে পালাল ‘ডাকাত দল’, পরে উদ্ধার
  • জেন-জিদের হাত ধরে কর্মজগতে যে পরিবর্তন আসছে, আপনি কতটা মানিয়ে নিতে পারছেন
  • এক বোনের বুয়েটে আরেকজনের মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ, প্রথমবার আলাদা হচ্ছেন তাঁরা