নানা পদের ভর্তায় কাওসারের দোকানের পিঠার চাহিদা বেড়েছে
Published: 11th, January 2025 GMT
পটুয়াখালী জেলা শহরের বিভিন্ন স্থানে শীতের সন্ধ্যায় বসছে পিঠার দোকান। গরম পিঠার ধোঁয়ায় ছড়িয়ে পড়ে নতুন চালের গন্ধ। বাহারি গরম পিঠা খেতে ভিড় করছেন স্থানীয় লোকজন।
জেলা শহরের সার্কিট হাউস-সংলগ্ন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সন্ধ্যায় নানা ধরনের ভর্তা ও পিঠার পসরা নিয়ে বসেন কাওসার খান (৩০) নামের এক যুবক। বিভিন্ন মাছ ও সবজির মিশ্রণে তিনি তৈরি করেন সুস্বাদু ভর্তা, যা খেতে শিশু-নারীসহ নানা বয়সী মানুষ ভিড় জমান।
বুধবার রাতে কাওসার খানের দোকানে বেশ কিছু বাটিতে সাজানো রূপচাঁদা, চ্যাবা, টাকি, ইলিশ, পুঁটি, শুঁটকি ও কাঁচা চিংড়ি মাছের ভর্তা দেখা গেল। আরও আছে শর্ষে, আলু, বেগুন, থানকুনি পাতা, ধনেপাতা, কাঁচা মরিচ ও কাঁচা-পাকা টমেটো এবং শীতকালীন শাকসবজির ভর্তা। কাওসার জানালেন, পাঁচ মিশালি ভর্তাসহ তাঁর দোকানে আছে ২০ থেকে ২৫ প্রকারের ভর্তা। বিভিন্ন ভর্তার কারণে তাঁর দোকানে পিঠার চাহিদা বেড়ে গেছে।
কাওসার খানের বাড়ি পটুয়াখালী সদর উপজেলার লোহালিয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে। তিনি এক সময় ঢাকার ধানমন্ডির গ্রিন রোডে পিঠা বিক্রি করতেন। ছয় মাস আগে বাবা মারা গেলে নিজ গ্রামে আসেন। এরপর সরকার পতনের পর নানা সংকটে দুঃসময় চলে তাঁর। এরই মধ্যে নতুন করে পিঠার বিক্রির উদ্যোগ নেন তিনি। দুই মাস আগে শহরের সার্কিট হাউস-সংলগ্ন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে পিঠার দোকান বসান।
নানা পদের ভর্তা দিয়ে কাওসার খানের দোকানে পিঠা খেতে মানুষের ভিড়। বুধবার রাতে পটুয়াখালী জেলা শহরের সার্কিট হাউস-সংলগ্ন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
জার্মানিতে ভিড়ের মধ্যে গাড়ির ধাক্কায় নিহত ২, আহত ২৫
জার্মানির পশ্চিমাঞ্চলীয় ম্যানহেইম শহরে জনতার ভিড়ের মধ্যে গাড়ির ধাক্কায় দু’জন নিহত হয়েছেন। সোমবারের এ ঘটনায় অন্তত ২৫ জন আহতের খবর পাওয়া গেছে।
ঘটনাস্থলের আশপাশে অভিযান চালিয়ে সন্দেহভাজন একজনকে আটক করেছে পুলিশ। তবে ঘটনাটি ‘দুর্ঘটনা’ নাকি ‘হামলা’, তা নিশ্চিত করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। খবর- বিবিসি
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, শহরের কেন্দ্রে অবস্থিত প্যারেডপ্ল্যাটজ স্কয়ার থেকে ওয়াটার টাওয়ারের দিকে যেতে থাকা লোকজনের ওপর কালো রঙের একটি প্রাইভেটকার দ্রুতগতিতে আঘাত হানে।
চালক ইচ্ছাকৃত গাড়ি চালিয়ে দিয়েছেন, নাকি জার্মানির কার্নিভাল উদযাপনের সঙ্গে এ ঘটনার কোনো সম্পর্ক আছে, তা স্পষ্ট নয়। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে দেশটির ম্যাগডেবুর্গে ও গত মাসে মিউনিখে জনতার ওপর গাড়ি চালিয়ে দেওয়ার প্রাণঘাতী ঘটনা ঘটে।