যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসের পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়া ভয়াবহ দাবানলের ব্যাপক প্রভাব পড়েছে বিনোদন অঙ্গনে। অনেক সাধারণ মানুষের মতো তারকাদের বাড়ি পুড়েছে, বাতিল হয়েছে শুটিং, ছবির প্রিমিয়ার। ধীরে ধীরে আরও ক্ষয়ক্ষতির চিত্র প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে।
গত বুধবার রাতে অস্কার, এমি ও গোল্ডেন গ্লোবজয়ী অভিনেত্রী জেমি লি কার্টিস সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানিয়েছেন, তাঁর পরিবার নিরাপদ; কিন্তু তাঁদের বাড়ি রক্ষা পায়নি। তিনি উদ্ধারকারীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। এবার তিনি দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য তৈরি তহবিলে ১০ লাখ ডলার বা প্রায় ১২ কোটি টাকা অনুদানের ঘোষণা দিলেন। ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টে এ ঘোষণা দেন ৬৬ বছর বয়সী অভিনেত্রী।
জেমি লি কার্টিস ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন, ‘আগুন এখনো জ্বলছে, উদ্ধারকারী দল, ফায়ার ফাইটারসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো এখনো কঠোর পরিশ্রম করছে। প্রতিবেশীরা ও বন্ধুরা একে অপরকে বাঁচানোর জন্য একসঙ্গে লড়াই করছে। এমন পরিস্থিতিতে আমি, আমার স্বামী ও সন্তানেরা মিলে আমাদের পরিবারের ফাউন্ডেশন থেকে এক মিলিয়ন ডলার অনুদানের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।’
সেলেনা গোমেজ.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মোবাইল আসক্তিতে ছোট ভাইকে হত্যা করে বড় ভাই
সোনারগাঁয়ে নিখোঁজের পর মাদরাসাছাত্র ইব্রাহিম মিয়াকে (৯) হত্যার ঘটনার রহস্য উৎঘাটন করেছে সোনারগাঁ থানা পুলিশ। ইব্রাহিম মিয়াকে তারই আপন বড় ভাই দশম শ্রেণি ছাত্র সাব্বির হোসেন (১৫) খুন করেছে। মূলত সাব্বির হোসেন মোবাইল ফোনে ফ্রি ফায়ার গেমস আসক্ত ছিল।
ছোট ভাই ইব্রাহিম ফোন নিয়ে খেলা করায় ক্ষিপ্ত হয়ে সাব্বির হোসেন তাকে বাড়ির পাশের লিচু বাগানে নিয়ে নিহতের পায়জামা গলায় পেচিয়ে ফাঁস দিয়ে হত্যা করে।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল বারী।
গত শুক্রবার বিকেলে ইব্রাহীম নিখোঁজ হওয়ার পর বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজির পর বাড়ির পাশের লিচু বাগানে তার লাশ পাওয়া যায়। নিহত ইব্রাহিম মিয়া সোনারগাঁ পৌরসভার জয়রামপুর গ্রামের মহব্বত আলীর ছেলে। হত্যার ঘটনায় বাবা মহব্বত আলী বাদী হয়ে একটি মামলা করেন।
ওসি মোহাম্মদ আব্দুল বারী বলেন, আসামি সাব্বির হোসেনকে গ্রেপ্তার করে নারায়ণগঞ্জের আদালতে পাঠানো হয়। সেখানে সে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে ছোট ভাইকে হত্যার কথা স্বীকার করে। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠায়।
তিনি আরও বলেন, বড় ভাইয়ের হাতে ছোট ভাইয়ের খুনের বিষয়টি দুঃখজনক। আমাদের প্রতিটি পরিবারের সন্তানদের প্রতি নজর দেওয়া উচিত। তারা যেন মোবাইল আসক্ত হয়ে না পড়ে।