এক মাস আগেও দুজন ভারতের হয়ে একসঙ্গে খেলেছেন, কিন্তু ব্রিসবেনে বোর্ডার–গাভাস্কার ট্রফির তৃতীয় টেস্ট শেষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। তিনি এখন ঋষভ পন্তের সদ্য সাবেক সতীর্থ।

তবে জাতীয় দলের হয়ে একসঙ্গে ৪৪ ম্যাচ খেলায় পন্তের শক্তিমত্তা–দুর্বলতার জায়গাগুলো ভালোভাবেই জানা অশ্বিনের। সেই জানাশোনা থেকেই অশ্বিন বলেছেন, পন্তের পক্ষে সব ম্যাচেই সেঞ্চুরি করা সম্ভব, যদি নিজের প্রতিভা যথাযথভাবে প্রয়োগ করেন।

সিডনিতে বোর্ডার–গাভাস্কার ট্রফির শেষ ম্যাচে দারুণ দুটি ইনিংস খেলেছেন পন্ত। ইনিংস দুটি ছিল ভিন্ন মেজাজের। প্রথম ইনিংসে ৯৮ বলে করেন ৪০ রান, দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে ৩৩ বলে করেন ৬১ রান। একই ম্যাচে পন্তের ভিন্নধর্মী ব্যাটিং দেখে অশ্বিন মোটেও বিস্মিত নন। বরং তিনি মনে করেন, ডিফেন্সের দিক থেকে পন্ত অন্যতম সেরা এবং সিডনিতে তিনি তাঁর লড়াকু মানসিকতাকে ফুটিয়ে তুলেছেন।

সিডনি টেস্টে শরীরে আঘাত পাওয়ার পরও পন্তের লড়াকু মানসিকতা অশ্বিনকে মুগ্ধ করেছে.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

এক বোনের বুয়েটে আরেকজনের মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ, প্রথমবার আলাদা হচ্ছেন তাঁরা

যারীন তাসনীম ও যাহরা তাসনীম যমজ বোন। মায়ের পেট থেকে স্কুল-কলেজের বেঞ্চে একসঙ্গে ছিলেন। এক টেবিলে পড়াশোনা, এক বিছানায় ঘুমানো—এভাবেই কেটেছে ১৭টি বছর। একজনের স্বপ্ন চিকিৎসক হওয়া, অন্যজনের প্রকৌশলী। সম্প্রতি যারীন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) এবং যাহরা টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। স্বপ্ন পূরণে এখন থেকে তাঁদের আলাদা থাকতে হবে।

যারীন ও যাহরা টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার শিক্ষক দম্পতি আবু জুয়েল ও চায়না আক্তারের যমজ মেয়ে। শিক্ষাজীবনে পিএসসি থেকে শুরু করে সব পরীক্ষায় তাঁরা জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন। যারীন-যাহরার বাবা আবু জুয়েল উপজেলার সূর্য তরুণ শিক্ষাঙ্গন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক আর মা চায়না আক্তার উপজেলার শান্তিকুঞ্জ একাডেমির সহকারী প্রধান শিক্ষক। তাঁদের বাড়ি উপজেলার কচুয়া গ্রামে।

যারীন তাসনীম এবার বুয়েটে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। এর আগে এইচএসসি পরীক্ষায় রাজধানীর হলিক্রস কলেজের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে মায়ের পেটে ছিলাম। এক দোলনায় শুয়েছি। বড় হয়ে একই বিছানায় ঘুমিয়েছি। স্কুল-কলেজে একই বেঞ্চে বসে পড়াশোনা করেছি। শুধু কলেজ ছাড়া ওয়ান থেকে টেন পর্যন্ত এক সেট বইয়ে দুজন পড়েছি। আমাদের কখনো মুঠোফোন দেওয়া হয়নি। তবে কলেজে দুজনে মিলে একটি বাটন ফোন চালিয়েছি। ১৭ বছর একসঙ্গে থেকেছি। স্বপ্নপূরণে ও ভবিষ্যৎ জীবন গড়তে এখন থেকে আমাদের আলাদা থাকতে হবে।’

মায়ের পেট থেকে স্কুল-কলেজের বেঞ্চে একসঙ্গে ছিলেন যমজ দুই বোন। স্বপ্ন পূরণে এখন থেকে তাঁদের আলাদা থাকতে হবে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ফের একসঙ্গে তারা
  • ফের একসঙ্গে ‘তোরা দেখ রে চাহিয়া’ বিজ্ঞাপনের সেই তিনজন
  • চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদার খালাসের রায় বহাল
  • একসঙ্গে জাহিদ-তমা-সারিকা, অবিচারের সত্য ঘটনা তুলে আনলেন রাফী
  • তুর্কমেনিস্তানে ইফতারির টেবিল সেজে ওঠে বাহারি সব খাবার দিয়ে
  • বেনুভিটা মানমন্দির থেকে ‘প্ল্যানেটারি প্যারেড’ দর্শন
  • ‘বইয়ের ভেতর দিয়ে আলাদা জগতের দেখা’
  • মেহেরপুরে হেডলাইটের আলো দেখে ৩টি হাতবোমা ফেলে পালাল ‘ডাকাত দল’, পরে উদ্ধার
  • জেন-জিদের হাত ধরে কর্মজগতে যে পরিবর্তন আসছে, আপনি কতটা মানিয়ে নিতে পারছেন
  • এক বোনের বুয়েটে আরেকজনের মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ, প্রথমবার আলাদা হচ্ছেন তাঁরা