ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে শুরু হচ্ছে ৭৫তম বার্লিন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। এই উৎসবে জুরি হিসেবে বাংলাদেশ থেকে থাকছেন চলচ্চিত্র সমালোচক বিধান রিবেরু। ফিপ্রেসি জুরি হিসেবে উৎসবের প্যানারোমা বিভাগের বিচারক থাকবেন তিনি। আজ শুক্রবার দুপুরে প্রথম আলোকে খবরটি জানিয়েছেন বিধান। জানান, উৎসবে অংশ নিতে আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকা ছাড়বেন তিনি।

আরও পড়ুন২২০ চলচ্চিত্র নিয়ে ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব০৯ জানুয়ারি ২০২৫

এর আগে বিধান রিবেরু ৭৫তম কান চলচ্চিত্র উৎসবে ফিপ্রেসি জুরি হিসেবে বাংলাদেশ থেকে অংশ নিয়েছিলেন।

বিধান বলেন, ‘চলচ্চিত্রকে ভালোবাসার জায়গা থেকে চলচ্চিত্র দেখা। এ ধরনের উৎসবে অংশ নেওয়ার মাধ্যমে চলচ্চিত্র সম্পর্কে অন্য মানুষের মতামত জানা যেমন যায়, তেমনি নিজের মতামতকেও ঝালাই করে নেওয়া যায়। এত বড় উৎসবে আমি যখন যাচ্ছি, এর মাধ্যমে নিজের যেমন অংশগ্রহণ হচ্ছে, ঠিক তেমনি বাংলাদেশেরও প্রতিনিধিত্ব করছি। এটা একটা বড় ব্যাপার এই কারণে যে বাংলাদেশ থেকে একজন চলচ্চিত্র সমালোচক বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছে, জুরি হিসেবে কাজ করছে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে। আমি মনে করি যে এটা আমার জন্য আনন্দের, ভালো লাগার ব্যাপার। তবে দেশের মানুষ কীভাবে দেখে, সেটা অবশ্য আমি জানি না।’

কথায় কথায় বিধান রিবেরু জানান, এ ধরনের উৎসবে অংশ নেওয়ার মধ্য দিয়ে ব্যক্তিগতভাবেও লাভবান হয়ে থাকেন।

তিনি বলেন, ‘চলচ্চিত্রজগতে নতুন যেসব ছবি আসছে, বিশ্বের খ্যাতনামা সব নির্মাতাদের, একেবারে ক্ল্যাসিক ঘরানার ছবি, সেসব ছবির প্রথম প্রদর্শনী হয় এ ধরনের বড় সব উৎসবে। সবার আগে এসব ছবি জুরি হিসেবে দেখার একটা সুযোগ তৈরি হয়। আরেকটা বিষয় হচ্ছে, এ বছর ফিপ্রেসি ১০০ বছরে পদার্পণ করতে যাচ্ছে। এই দীর্ঘ সময়ে অনেক বড়মাপের চলচ্চিত্র নির্মাতাও বেরিয়ে এসেছে ফিপ্রেসি পুরস্কারের মাধ্যমে। এই পুরস্কারের মধ্য দিয়ে আগামীতেও ভালো ও প্রতিষ্ঠিত চলচ্চিত্র নির্মাতারা উঠে আসবেন—যা কোনো একদিন হয়তো আমিও বলতে পারব। ফিল্মের প্রতি যেহেতু আমার ভালোবাসা আছে, এতে করে আমারও একধরনের সন্তুষ্টি ঘটে।’

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

মুনীর চৌধুরী জাতীয় নাট্য উৎসবের মঞ্চে ‘ইংগিত’

মুনীর চৌধুরী জাতীয় নাট্য উৎসবে ৬৩ জেলা হতে নির্বাচিত ১৬ নাটক নিয়ে ঢাকায় জাতীয় নাট্যশালায় উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির প্রশিক্ষণ বিভাগের আয়োজনে উৎসবের শেষ দিনে (শুক্রবার) মঞ্চায়ন করা হয় নাটক ‘ইংগিত’।

‘ইংগিত’র নাট্য ভাবনা, পরিকল্পনা, আলো ও নির্দেশনায় ছিলেন সুবীর মহাজন। সহকারী নির্দেশনায় আছাদ বিন রহমান ও পরিবেশনায় ছিল বান্দরবান পার্বত্য জেলা শিল্পকলা একাডেমি। বান্দরবানের বসবাসরত বিভিন্ন ভাষার জনগোষ্ঠীর মানুষ এত অংশ নেন।

নাটকের গল্পে দেখা যায়, পারিপার্শ্বিক অবস্থার কারণে তরুণদের বড় একটি অংশ হতাশায় নিমজ্জিত। অথচ তারুণ্যই বারবার পথ খুঁজে দিয়েছে। বহুভাষার মানুষের জেলা বান্দরবানের এক তরুণ বর্তমানের নানা পারিপার্শ্বিকতায় ক্লান্ত হয়ে যখন ঘুমের রাজ্যে, ঠিক তখন তার চোখ জুড়ে ফিরে আসে শৈশব-কৈশোর। ক্লান্ত শরীর তাকে ফিরিয়ে নিয়ে আসে বাস্তবে। স্বপ্নের ঘোরে সে ঘুরে বেড়ায় প্রকৃতির রাজ্য বান্দরবানে, যেখানে রয়েছে জীবন ও সংস্কৃতির বৈচিত্র্যময় বিশাল ভাণ্ডার। ঘুম তাকে ফিরিয়ে দেয় সোনালী সময়। যখন বর্তমানে ফিরে আসে নানা জটিলতায় আবদ্ধ হয়ে পড়ে। সিস্টেম নামে এক জগদ্দল পাথর সরাতে চায় সে। পাহাড় আর সমতলকে সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যতার এক সুতায় মেলবন্ধন ঘটাতে যে বদ্ধ পরিকর।

১৫ দিনব্যাপী কর্মশালার মধ্যে দিয়ে নাটকটি নির্মাণ করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অস্কার: সেরা সিনেমা ‘আনোরা’
  • সেরা সিনেমা ‘আনোরা’
  • টিএসসিতে সংগীত উৎসব
  • রমজানে গাজায় সাময়িক যুদ্ধবিরতি নিয়ে মার্কিন প্রস্তাবে রাজি ইসরায়েল
  • মুনীর চৌধুরী জাতীয় নাট্য উৎসবের মঞ্চে ‘ইংগিত’